মালদা, 10 মে : গরমে মৃত্যু হল তিন কৃষকের । মালদার হবিবপুর ব্লকের জাজৈল গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত জয়দেবপুর গ্রামের কমল কিস্কু (35), ভৈরবপুরের ভূদেব বর্মণ (60) ও ভবানীপুরের মুংলি টুডুর (47) । কৃষক মৃত্যুর খবর দিয়েছেন হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ত্রিদীপ রায় । বিষয়টি জানেন বলে জানিয়েছেন হবিবপুরের BDO শুভজিৎ জানা । তবে মৃতদের কাউকেই হাসপাতালে না নিয়ে যাওয়ায় ময়নাতদন্ত করা সম্ভব হয়নি ।
গত ক'দিন ধরেই খুব গরম পড়েছে মালদায় । গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ । আজ তাপমাত্রা ছিল 40.3 ডিগ্রি সেলসিয়াস । যা স্বাভাবিকের থেকে 5 ডিগ্রি বেশি । সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল 28.4 ডিগ্রি সেলসিয়াস । যা স্বাভাবিকের থেকে 4 ডিগ্রি বেশি । বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ছিল 78 শতাংশ ও সর্বনিম্ন 59 শতাংশ । প্রবল গরমে মাঠে ধান কাটতে গিয়েই ওই তিনজন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে ।
হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ত্রিদীপ রায় বলেন, "জাজৈল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গতকাল ও আজ প্রবল তাপপ্রবাহে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে । গতকাল জয়দেবপুর গ্রামের কমল কিস্কু নামে 35 বছরের এক যুবক মারা গেছেন । আজ মৃত্যু হয়েছে ভৈরবপুরের ভূদেব বর্মণ (60) ও ভবানীপুরের মুংলি টুডুর (47) । এঁরা প্রত্যেকেই গরিব চাষি । প্রত্যেকেই জমিতে ধান কাটতে গেছিলেন । মাঠেই মৃত্যু হয় তাঁদের । হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়নি । দুর্ভাগ্যবশত এঁদের কারোরই ময়নাতদন্ত করা সম্ভব হয়নি । কারণ মাঠেই মৃত্যু হওয়ায় পরিবারের লোকজন কাউকেই হাসপাতালে নিয়ে যায়নি । আমি এই তিনজনের পরিবারকে কোনও সরকারি সহায়তা দেওয়া যায় কি না তা নিয়ে BDO-র সঙ্গে কথা বলেছি । কিন্তু BDO জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তে মৃত্যুর কারণ প্রমাণিত না হলে সেই সাহায্য করা সম্ভব নয় ।"
অন্যদিকে হবিবপুর ব্লকের BDO শুভজিৎ জানা বলেন, "একটু আগেই হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আমাকে বিষয়টি ফোন করে জানিয়েছেন । কিন্তু গরমে মৃত্যু হয়েছে নিশ্চিত করতে হলে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা প্রয়োজন । তা না হলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে সঠিক কিছু জানা সম্ভব নয় । তবুও বিষয়টি নিয়ে আমি খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছি ।"