ETV Bharat / state

মাধ্যমিক পাশ, বোর্ডে লেখা 'জেনেরাল ফিজ়িশিয়ান'

শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক পাশ। অথচ নামের পাশে জেনেরাল ফিজ়িশিয়ান লিখে দিব্যি চলছে চিকিৎসা পরিষেবা। জ্বর, সর্দি, কাশির ওষুধ শুধু নয় প্রয়োজনে স্যালাইন থেকে ইনজেকশন সবই দেওয়া হচ্ছে রোগীদের। এমনই ছবি ধরা পড়েছে হরিশ্চন্দ্রপুরের সুলতাননগর বাজারে।

author img

By

Published : Sep 24, 2019, 11:02 AM IST

Updated : Sep 24, 2019, 2:37 PM IST

মহম্মদ নাদিম

মালদা, 24 সেপ্টেম্বর : টেনে টুনে মাধ্যমিক পাশ ৷ অথচ বোর্ডে লেখা জেনেরাল ফিজ়িশিয়ান ৷ রোগীর সংখ্যাও নেহাত কম নয় ৷ শিশু থেকে বয়স্ক সকলেরই চিকিৎসা করেন তিনি ৷ দেন ওষুধও ৷ আবার কোনও সময় প্রয়োজন পড়লে দেন ইনজেকশন ও সেলাইন ৷ এরকমই এক ভুয়ো ডাক্তারের খোঁজ মিলল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের সুলতাননগর বাজারে ৷ নাম মহম্মদ নাদিম ৷

মহম্মদ নাদিম বিহারের বাসিন্দা ৷ বছর সাতেক আগে হরিশ্চন্দ্রপুরে এসে বসবাস শুরু করেন তিনি ৷ সুলতাননগর বাজার এলাকায় প্রথম নিজের ওষুধের দোকান খোলেন । এরপরই সাইনবোর্ডে রাতারাতি নিজের নামের সামনে জেনেরাল ফিজ়িশিয়ান লিখে ডাক্তার হয়ে যান । বছর সাতেক ধরে এভাবেই চলছে তাঁর ব্যবসা । শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক স্বীকার করলেও ক্যামেরার মুখোমুখি হতেই চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে উলটো কথা বলতে শুরু করেন নাদিম । বলেন, "সাত বছর ধরে গ্রামে পরিষেবা দিচ্ছি । জরুরি অবস্থায় গ্রামবাসীদের জ্বর, সর্দি, কাশির ওষুধ দিই । প্রয়োজন পড়লে আমি ইনেজশন বা স্যালাইনের কথা লিখে দিই ৷ কিন্তু ওইগুলি আমি দিই না । গ্রামবাসীরা বাইরে থেকে কিনে নিয়ে এসে দিতে বললে দিয়ে দিই । আমার দোকানে জরুরি সময়ের জন্য স্যালাইন মজুত করা আছে ।" নামের সামনে জেনেরাল ফিজ়িশিয়ান লেখা নিয়ে তিনি বলেন, "যাকে বোর্ড লিখতে দিয়েছিলাম সে ভুলবশত জেনেরাল ফিজ়িশিয়ান লিখেছে ।"

ভিডিয়োয় শুনুন মহম্মদ নাদিমের বক্তব্য

যদিও, এবিষয়ে জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, "বিষয়টি আমার জানা ছিল না । আমি এখনই খবর নিয়ে দেখছি । ভুয়ো ডাক্তারের অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ি পদক্ষেপ করা হবে । যেকোনও এলাকায় ভুয়ো ডাক্তার থাকলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় । আমরা উপযুক্ত পদক্ষেপ নেব ।"

মালদা, 24 সেপ্টেম্বর : টেনে টুনে মাধ্যমিক পাশ ৷ অথচ বোর্ডে লেখা জেনেরাল ফিজ়িশিয়ান ৷ রোগীর সংখ্যাও নেহাত কম নয় ৷ শিশু থেকে বয়স্ক সকলেরই চিকিৎসা করেন তিনি ৷ দেন ওষুধও ৷ আবার কোনও সময় প্রয়োজন পড়লে দেন ইনজেকশন ও সেলাইন ৷ এরকমই এক ভুয়ো ডাক্তারের খোঁজ মিলল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের সুলতাননগর বাজারে ৷ নাম মহম্মদ নাদিম ৷

মহম্মদ নাদিম বিহারের বাসিন্দা ৷ বছর সাতেক আগে হরিশ্চন্দ্রপুরে এসে বসবাস শুরু করেন তিনি ৷ সুলতাননগর বাজার এলাকায় প্রথম নিজের ওষুধের দোকান খোলেন । এরপরই সাইনবোর্ডে রাতারাতি নিজের নামের সামনে জেনেরাল ফিজ়িশিয়ান লিখে ডাক্তার হয়ে যান । বছর সাতেক ধরে এভাবেই চলছে তাঁর ব্যবসা । শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক স্বীকার করলেও ক্যামেরার মুখোমুখি হতেই চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে উলটো কথা বলতে শুরু করেন নাদিম । বলেন, "সাত বছর ধরে গ্রামে পরিষেবা দিচ্ছি । জরুরি অবস্থায় গ্রামবাসীদের জ্বর, সর্দি, কাশির ওষুধ দিই । প্রয়োজন পড়লে আমি ইনেজশন বা স্যালাইনের কথা লিখে দিই ৷ কিন্তু ওইগুলি আমি দিই না । গ্রামবাসীরা বাইরে থেকে কিনে নিয়ে এসে দিতে বললে দিয়ে দিই । আমার দোকানে জরুরি সময়ের জন্য স্যালাইন মজুত করা আছে ।" নামের সামনে জেনেরাল ফিজ়িশিয়ান লেখা নিয়ে তিনি বলেন, "যাকে বোর্ড লিখতে দিয়েছিলাম সে ভুলবশত জেনেরাল ফিজ়িশিয়ান লিখেছে ।"

ভিডিয়োয় শুনুন মহম্মদ নাদিমের বক্তব্য

যদিও, এবিষয়ে জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, "বিষয়টি আমার জানা ছিল না । আমি এখনই খবর নিয়ে দেখছি । ভুয়ো ডাক্তারের অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ি পদক্ষেপ করা হবে । যেকোনও এলাকায় ভুয়ো ডাক্তার থাকলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় । আমরা উপযুক্ত পদক্ষেপ নেব ।"

Intro:মালদা, ২৩ সেপ্টেম্বরঃ বাংলা-বিহার সীমান্ত লাগোয়া হরিশ্চন্দ্রপুরে রমরমিয়ে চলছে ভুয়ো ডাক্তারের ব্যবসা। মাধ্যমিক পাশ করে জেনারেল ফিজিসিয়ানের বোর্ড লাগিয়ে এলাকায় চিকিৎসা পরিসেবা চলছে। ভুয়ো ডাক্তারের বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন মালদার জেলাশাসক।Body:শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক পাশ। অথচ দোকানঘরের মতো জায়গায় জেনারেল ফিজিসিয়ান লিখে দিব্যি চলছে চিকিৎসা পরিসেবা। জ্বর, সর্দি, কাশির ওষুধ শুধু নয় প্রয়োজনে স্যালাইন থেকে ইনজেকশন সবই দেওয়া হচ্ছে রোগীদের। এমনই ছবি ধরা পড়েছে হরিশ্চন্দ্রপুরের সুলতাননগর বাজারে। বিহারের এক বাসিন্দা মহঃ নাদিম বছর সাতেক আগে হরিশ্চন্দ্রপুরে এসে বসবাস শুরু করেন। সুলতাননগর বাজার এলাকায় প্রথমে ওষুধের দোকান খোলেন তিনি। রাতারাতি সাইনবোর্ডে জেনারেল ফিজিসিয়ান লিখে কেমিস্ট থেকে ডাক্তার হয়ে যান। বছর সাতেক ধরে এভাবেই চলছে তার ব্যবসা।
শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক স্বীকার করলেও ক্যামেরার মুখোমুখি হতেই চিকিৎসা পরিসেবা নিয়ে উলটে যান নাদিম। বলেন, “সাত বছর ধরে গ্রামে পরিসেবা দিচ্ছি। জরুরি অবস্থায় গ্রামবাসীদের জ্বর, সর্দি, কাশির ওষুধ দিই। ইনজেকশন বা স্যালাইন আমি দিই না। গ্রামবাসীরা বাইরে থেকে কিনে নিয়ে এসে দিতে বললে দিয়ে দিই। আমার দোকানে জরুরি সময়ের জন্য স্যালাইন মজুত করা আছে। যাঁকে বোর্ড লিখতে দিয়েছিলাম সেভুলবশত জেনারেল ফিজিসিয়ান লিখেছে।”
Conclusion:এবিষয়ে জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য জানান, “বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি এখনই খবর নিয়ে দেখছি। ভুয়ো ডাক্তারের অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যে কোনও এলাকায় ভুয়ো ডাক্তার থাকলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়। আমরা উপযুক্ত পদক্ষেপ নেব।”
Last Updated : Sep 24, 2019, 2:37 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.