মালদা, 12 নভেম্বর: সমাজ সেবামূলক কাজের জন্য পদ্মশ্রী (Padma Shri) পেয়েছেন গাজোলের কোটালহাটি গ্রামের কমলি সোরেন (Guru Maa Kamali Soren )। গত 9 নভেম্বর খালি পায়ে হেঁটে গিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হাত থেকে পুরস্কার নেন তিনি । দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান নিয়ে আজ বাড়ি ফিরলেন মালদার পদ্মশ্রী ।
কমলিদেবীর বাবার বাড়ি পুরাতন মালদার বাগমারা গ্রামে । কম বয়সে বিয়ে হয় তাঁর । স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি চলে যান গাজোলের কোটালহাটি গ্রামে । সেখানে রাজেন বাবাজির আশ্রমই এখন কমলি সোরেনের ঠিকানা ।
এখানে থেকেই গত 25 বছর ধরে সমাজসেবায় নিজেকে সমর্পণ করেছেন তিনি ৷ আদিবাসীদের পুরোনো ঐতিহ্যে ফিরিয়ে আনা, তাঁদের উন্নয়নই লক্ষ্য কমলি সোরেনের ৷ আদিবাসীদের প্রাচীন রীতির চিকিৎসা পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে দুঃস্থ মানুষের চিকিৎসা করেন তিনি । মেয়েদের বাল্য বিবাহ রুখে তাদের শিক্ষার আলো দেখাতে সাহায্য করেন ।
আরও পড়ুন: Smugglers Killed in BSF Firing : সিতাইয়ে বিএসএফের গুলিতে মৃত 3 গরুপাচারকারী
দিল্লি থেকে ফিরে আজ সকালে মালদায় এসে পৌঁছন কমলি সোরেন । তাঁকে সংবর্ধনা জানাতে আশ্রম থেকে এসেছিলেন ভক্তরা । মালদা টাউন স্টেশন থেকে হুড খোলা গাড়িতে মিছিল করে গাজোলের উদ্দেশে রওনা দেন পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত 'গুরু মা' ।
আরও পড়ুন: Jagdeep Dhankhar-Amit Mitra : অমিতের কাছে বঙ্গে বিনিয়োগের হিসাব চাইলেন রাজ্যপাল
কীভাবে দেখছেন এই পুরস্কারকে ? ইটিভি ভারতকে কমলিদেবী বলেন, “গত 25 বছর ধরে আমি আশ্রমে থাকি । শিশুদের পড়াই । হিন্দু ধর্মের দুঃস্থ পরিবারগুলিকে নিজের সাধ্যমতো সাহায্য করি । মেয়েদের কম বয়সে বিয়ে রুখে তাদের শিক্ষার আলো দেখানোর চেষ্টা করি । এই পুরস্কার আমাকে নিজের কাজ করার ক্ষেত্রে আরও অনুপ্রেরণা দেবে । সরকার থেকে যদি আশ্রমের উন্নতির জন্য সাহায্য পাওয়া যায়, সেই আবেদন রাষ্ট্রপতি-সহ অন্যান্যদের জানিয়েছি ।”
আরও পড়ুন: Padma Awards 2021 : পদ্মশ্রী বাংলার সাত, রাষ্ট্রপতি ভবনে সম্মান জানানো হল এবছরের পদ্ম প্রাপকদের