মালদা, 15 মার্চ : দিল্লির পর পঞ্জাবের মসনদ দখল করে এবার বাংলায় সংগঠন বিস্তারে মন দিচ্ছে আম আদমি পার্টি ৷ বঙ্গভূমে আপের উত্থানের এই প্রচেষ্টাকে নিয়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব সামান্য হলেও চিন্তিত। দিনদু'য়েক আগে ফিরহাদ হাকিমের গলায় এ নিয়ে শোনা গিয়েছিল সেই উদ্বেগের সুর। তবে আপকে নিয়ে এখনই ভাবতে রাজি নয় জেলা তৃণমূল (District TMC not worried on AAP campaign in Malda) । আবার সিপিআইএম মনে করছে এ রাজ্যে আপের পদার্পণ নাকি বিজেপিরই ছক। এরইমধ্যে মালদায় শুরু হয়েছে আপের সদস্য সংগ্রহ অভিযানের কাজ (AAP started member recruitment campaign in Malda)।
পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনের ফলাফল পরবর্তী সময় এ রাজ্যে প্রথম মালদা জেলাতেই নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিয়েছিল আপ। প্রথমে পোস্টার, তারপর শিবির করে সদস্য সংগ্রহ অভিযান চালাচ্ছে তারা। শুরুতে তারা বেছে নিয়েছে রতুয়ার দুটি ব্লককে। এরপর তারা হরিশ্চন্দ্রপুরেও সদস্য সংগ্রহ অভিযানের করবে বলে সূত্রের খবর। আপের মালদা জেলা যুব শাখার সভাপতি শেখ আজহারঊদ্দিন বলেন, "আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা এ রাজ্যের প্রতিটি জেলায় লড়ব। মানুষের সাড়াও পাচ্ছি ভালমতই। ইতিমধ্যেই গঠিত হয়েছে জেলা কমিটি । এবার লক্ষ্য ব্লক থেকে বুথস্তর পর্যন্ত কমিটি গঠন করা। দিল্লি মডেলে এই রাজ্যেও আমরা উন্নয়ন করতে চাই। তৃণমূল আমাদের গুরুত্ব দেবে কি না, সেটা তাদের বিষয়। আমরা নিজেদের কাজ করে যেতে চাই ৷"
যদিও কেজরিওয়ালের দলকে বাংলায় এখন ধর্তব্যের মধ্যেই আনছেন না রতুয়া 1 নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি ফজলুল হক। তিনি বলেন, "যে কোনও দল যে কোনও রাজ্যে সংগঠন বিস্তার করার চিন্তাভাবনা করতেই পারে। তবে পঞ্জাব পেলেও আপ বাংলা পাবে না। এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প একমাত্র তিনিই। তাই আপের কিছু সদস্য তৈরি হতে পারে কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনে তারা একটি বুথেও জিততে পারবে না। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই মোদির বিকল্প হিসাবে দেখতে চাই।"
আরও পড়ুন : আম আদমি পার্টির রোড শো-য়ে উপস্থিত হাজারখানেক সমর্থক
সিপিআইএমের জেলা কমিটির সদস্য জুহুর আলম বলছেন, "আঞ্চলিক দলগুলির উত্থান হয় দ্রুত। পতনও হয় দ্রুত। দিল্লি জয়ের পর আপ এর আগেও পশ্চিমবঙ্গে পা রাখার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি। পঞ্জাব জয়ের পরও তারা একই কাজ করছে। আমাদের ধারণা, বিজেপিই সুকৌশলে আঞ্চলিক দলগুলিকে বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছে। তারা আপকে এবার এই রাজ্যে নিজেদের বিকল্প হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে। কিন্তু এ রাজ্যে বিকল্প একমাত্র বামপন্থাই।"