ETV Bharat / state

Body Recovered: 2 দিন নিখোঁজ থাকার পর চাষের জমি থেকে উদ্ধার যুবকের দেহ, মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধন্দে পুলিশ

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 11, 2023, 11:01 PM IST

সোমবার বেলা তিনটে থেকে নিখোঁজ ছিলেন যুবক ৷ বুধবার তাঁরই দেহ মিলল চাষের জমিতে ৷ ঘটনাস্থলে এসে দেহ পড়ে থাকতে দেখে মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধন্দে পুলিশ ৷

Etv Bharat
চাষের জমি থেকে উদ্ধার যুবকের দেহ

মালদা, 11 অক্টোবর: দু'দিন নিখোঁজ থাকার পর বুধবার জমি থেকে মিলল এক যুবকের মৃতদেহ ৷ এই মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বাঁধছে হবিবপুর ও পুরাতন মালদায় ৷ বুধবার পুরাতন মালদার মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষ্মীপুর গ্রামের একটি কৃষিজমি থেকে ওই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে মালদা থানার পুলিশ ৷ মৃতদেহের অবস্থান নিয়ে পুলিশের মনেও সন্দেহ রয়েছে ৷ এই ঘটনায় পরিবারের তরফে যদিও এখনও পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি ৷ ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি মালদা মেডিক্যালে পাঠিয়েছে পুলিশ ৷ আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ এই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে হবিবপুর থানার পুলিশও ৷

মৃত যুবকের নাম মনমোহন দাস ৷ বয়স 25 বছর ৷ বাড়ি হবিবপুর ব্লকের আইহো গ্রাম পঞ্চায়েতের রতিরাম পাড়ায় ৷ তিনি খানিকটা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানা গিয়েছে ৷ সোমবার বিকেল থেকে তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না ৷ চারদিকে খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান না পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে হবিবপুর থানায় তাঁর নামে মিসিং ডায়েরি করেন পরিবারের সদস্যরা ৷ হবিবপুর থানার পুলিশ তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করলেও সফল হয়নি ৷ আজ রতিরামপাড়ার এক যুবক বাড়ি গিয়ে খবর দেন, মুচিয়ার লক্ষ্মীপুর গ্রামের একটি কৃষিজমিতে মনমোহনের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে ৷ খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান পরিবারের সদস্যরা ৷ তাঁরাই মৃতদেহ শনাক্ত করেন ৷

মনমোহনের বাবা রাধেশ্যাম দাস পেশায় কৃষক ৷ তিনি বলেন, "সোমবার বেলা তিনটে থেকে ছেলের আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না ৷ সেদিন থেকেই আমরা চারদিকে ওর খোঁজ চালাতে থাকি ৷ মঙ্গলবারও ওর খোঁজ না পেয়ে হবিবপুর থানায় মিসিং ডায়েরি করি ৷ আজ পাড়ার একটি ছেলে আমাদের খবর দেয়, ছেলের দেহ মুচিয়া লক্ষ্মীপুর গ্রামের মাঠে পড়ে রয়েছে ৷ সেই খবর পেয়েই আমি দৌড়ে সেখানে যাই ৷ দেখি, লক্ষ্মীপুরের মাঠে জমে থাকা জলে ও মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছে ৷ কীভাবে ও মারা গেল, সেটা ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে ৷ পুলিশ সেটা দেখবে ৷"

তবে যেভাবে মনমোহনের দেহ কৃষিজমিতে পড়ে ছিল, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে পুলিশেরও ৷ এই মুহূর্তে টাঙন নদীর জল অনেক কম ৷ চাষের জমিতে খুব বেশি হলে গোড়ালি পর্যন্ত জল ৷ এই জলে কোনও পূর্ণবয়স্ক মানুষ ডুবে যেতে পারে না ৷ তবে কি এই মৃত্যুর পিছনে অন্য কারও হাত রয়েছে ? ভাবাচ্ছে পুলিশকেও ৷ যদিও দুই থানার পুলিশই জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত এই নিয়ে কিছু বলা যাবে না ৷

আরও পড়ুন : ধান জমির পুকুর থেকে উদ্ধার রাতভর নিখোঁজ মহিলার দেহ

মালদা, 11 অক্টোবর: দু'দিন নিখোঁজ থাকার পর বুধবার জমি থেকে মিলল এক যুবকের মৃতদেহ ৷ এই মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বাঁধছে হবিবপুর ও পুরাতন মালদায় ৷ বুধবার পুরাতন মালদার মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষ্মীপুর গ্রামের একটি কৃষিজমি থেকে ওই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে মালদা থানার পুলিশ ৷ মৃতদেহের অবস্থান নিয়ে পুলিশের মনেও সন্দেহ রয়েছে ৷ এই ঘটনায় পরিবারের তরফে যদিও এখনও পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি ৷ ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি মালদা মেডিক্যালে পাঠিয়েছে পুলিশ ৷ আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ এই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে হবিবপুর থানার পুলিশও ৷

মৃত যুবকের নাম মনমোহন দাস ৷ বয়স 25 বছর ৷ বাড়ি হবিবপুর ব্লকের আইহো গ্রাম পঞ্চায়েতের রতিরাম পাড়ায় ৷ তিনি খানিকটা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানা গিয়েছে ৷ সোমবার বিকেল থেকে তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না ৷ চারদিকে খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান না পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে হবিবপুর থানায় তাঁর নামে মিসিং ডায়েরি করেন পরিবারের সদস্যরা ৷ হবিবপুর থানার পুলিশ তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করলেও সফল হয়নি ৷ আজ রতিরামপাড়ার এক যুবক বাড়ি গিয়ে খবর দেন, মুচিয়ার লক্ষ্মীপুর গ্রামের একটি কৃষিজমিতে মনমোহনের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে ৷ খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান পরিবারের সদস্যরা ৷ তাঁরাই মৃতদেহ শনাক্ত করেন ৷

মনমোহনের বাবা রাধেশ্যাম দাস পেশায় কৃষক ৷ তিনি বলেন, "সোমবার বেলা তিনটে থেকে ছেলের আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না ৷ সেদিন থেকেই আমরা চারদিকে ওর খোঁজ চালাতে থাকি ৷ মঙ্গলবারও ওর খোঁজ না পেয়ে হবিবপুর থানায় মিসিং ডায়েরি করি ৷ আজ পাড়ার একটি ছেলে আমাদের খবর দেয়, ছেলের দেহ মুচিয়া লক্ষ্মীপুর গ্রামের মাঠে পড়ে রয়েছে ৷ সেই খবর পেয়েই আমি দৌড়ে সেখানে যাই ৷ দেখি, লক্ষ্মীপুরের মাঠে জমে থাকা জলে ও মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছে ৷ কীভাবে ও মারা গেল, সেটা ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে ৷ পুলিশ সেটা দেখবে ৷"

তবে যেভাবে মনমোহনের দেহ কৃষিজমিতে পড়ে ছিল, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে পুলিশেরও ৷ এই মুহূর্তে টাঙন নদীর জল অনেক কম ৷ চাষের জমিতে খুব বেশি হলে গোড়ালি পর্যন্ত জল ৷ এই জলে কোনও পূর্ণবয়স্ক মানুষ ডুবে যেতে পারে না ৷ তবে কি এই মৃত্যুর পিছনে অন্য কারও হাত রয়েছে ? ভাবাচ্ছে পুলিশকেও ৷ যদিও দুই থানার পুলিশই জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত এই নিয়ে কিছু বলা যাবে না ৷

আরও পড়ুন : ধান জমির পুকুর থেকে উদ্ধার রাতভর নিখোঁজ মহিলার দেহ

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.