মালদা, 29 ডিসেম্বর: অধ্যক্ষ কলেজে আসেননি। তিনি এক অধ্যাপিকাকে সেই দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছেন। বিকেল পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। তাল কাটল হঠাৎ ফোন মারফৎ ৷ কলেজে কর্মরত কর্মীদের অধ্যক্ষ জানান, যিনি কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্বে আছেন তিনি করোনা পজিটিভ (Covid Positive Professor At Chanchal)। এরপরেই শোরগোল পড়ে যায় কলেজজুড়ে। বন্ধ করে দেওয়া হয় কলেজের গেট। সংক্রমণের আতঙ্কে ভুগছেন কলেজকর্মী থেকে শুরু করে কলেজে আসা শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাঁরা আপাতত কলেজ বন্ধ রাখার প্রস্তাব দিচ্ছেন। যদিও এ নিয়ে জেলা প্রশাসন শেষ সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছে, কলেজের প্রশাসক।
ঘটনাটি ঘটেছে চাঁচল কলেজে। মঙ্গলবার কলেজে যাননি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অজিত বিশ্বাস। বিশেষ কাজে তিনি মালদা শহরে ছিলেন। অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এক অধ্যাপিকাকে। জানা গিয়েছে, কয়েকদিন বাইরে ছিলেন ওই অধ্যাপিকা। সামান্য কিছু উপসর্গও ছিল তাঁর। বাইরে থাকাকালীনই তিনি করোনা পরীক্ষা করান। সোমবার তিনি কলকাতা থেকে চাঁচলে ফেরেন। মঙ্গলবার কলেজেও যান। বিকেলের দিকে তিনি খবর পান, দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপিকা করোনা পজিটিভ। নিজেই সেকথা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে জানান। এরপরেই অজিতবাবু কলেজকর্মীদের বিষয়টি জানান। সঙ্গে সঙ্গে কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। অফিস রুম, স্টাফ রুম-সহ কলেজের কিছু অংশ স্যানিটাইজ করেন উপস্থিত কলেজকর্মীরা।
কলেজের ক্যাশিয়ার সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "অনলাইনেই ক্লাস হচ্ছিল। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মঙ্গলবার কলেজে আসেননি। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এক অধ্যাপিকাকে অধ্যক্ষের চার্জ দিয়ে যান। তিনি কলেজে এসেছিলেন। আমরাও যথারীতি কাজ করছিলাম। বিকেল তিনটের কিছু পর টিআইসি মালদা থেকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করেন, কলেজে কে কে রয়েছেন। আমরা তাঁর প্রশ্নের উত্তর দিতেই তিনি জানান, আমাদের সবাইকে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। কারণ, যিনি অধ্যক্ষের চার্জে ছিলেন, তাঁর করোনা ধরা পড়েছে। ওই অধ্যাপিকা বাইরে কোথাও গিয়েছিলেন বলে শুনেছি। এই ঘটনায় আমরা খুবই আতঙ্কিত। ছেলেমেয়েদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এই অবস্থায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে আমরা কলেজ বন্ধ রাখার প্রস্তাব দিয়েছি। "
আরও পড়ুন: সরকারি নির্দেশিকার পরেও পুনর্বহাল করা হয়নি, আন্দোলনের পথে অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মীরা
চাঁচল কলেজের প্রশাসক তথা মহকুমাশাসক কল্লোল পাল বলেন, "আজই বিষয়টি সামনে এসেছে। ইতিমধ্যে এনিয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। যাঁরা ওই অধ্যাপিকার সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। তাঁদের সবাইকে হোম আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে। তাঁদের প্রত্যেকের করোনা পরীক্ষা করা হবে। যিনি আক্রান্ত বলে মনে করা হচ্ছে, তাঁর চিকিৎসার সমস্ত ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। "