মালদা, 13 মে : নতুন করে ছয়জন কোরোনায় আক্রান্ত মালদায় ৷ এর মধ্যে দু’জন পুরাতন মালদার ৷ এই প্রথম পুরাতন মালদা ব্লকে কোরোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলল ৷ আতঙ্কিত স্থানীয়রা ৷ মঙ্গলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের জলঙ্গা গ্রামে ভিনরাজ্য ফেরত এক শ্রমিক কোরোনায় আক্রান্ত হন । এর পরই পাশের গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন ওই গ্রামের লোকজন ৷ দুই গ্রামের সংযোগকারী বেহুলা নদীর উপর থাকা বাঁশের সাঁকোর একাংশ খুলে নেওয়া হয়েছে ৷ যদিও গ্রামবাসীদের এই কাজের তীব্র বিরোধিতা করেছেন ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক ৷ তিনি স্পষ্ট জানান, এইভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা যাবে না ৷
সোমবার রাতে জানা যায়, পুরাতন মালদার জলঙ্গা ও বলাতুলি গ্রামের দুই ভিনরাজ্য ফেরত শ্রমিক কোরোনা পজ়িটিভ ৷ রাতেই তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ এই খবর ছড়িয়ে যায় গোটা এলাকায় ৷ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ ৷ জলঙ্গার পাশে রয়েছে মৌলপুর গ্রাম ৷ দুই গ্রামের মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়েছে বেহুলা নদী ৷ নদীর উপর রয়েছে বাঁশের সাঁকো ৷ দুপুরে জলঙ্গা গ্রামের বাসিন্দারা সেই সাঁকোর একাংশ খুলে দেন ৷ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় দুই গ্রামকে ৷ অবশ্য এই কাজে সায় রয়েছে মৌলপুর গ্রামের বাসিন্দাদেরও ৷
জলঙ্গা গ্রামের এক বাসিন্দা মহম্মদ মহিবুর বলেন, “মঙ্গলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও কোরোনা ঢুকে পড়েছে ৷ আমাদের গ্রামের শ্রমিক কোরোনায় আক্রান্ত ৷ এই পরিস্থিতিতে আমরা সঠিকভাবে লকডাউন মানতে চাই ৷ যাতে গ্রামে অবাঞ্ছিত লোকজন না ঢুকে পড়েন, তার জন্য আমরা বেহুলার সাঁকো খুলে ফেলেছি ৷ এই সাঁকো দিয়ে বাইরের লোকজন যাতায়াত করেন ৷ গ্রামের কেউ যেন কোরোনায় সংক্রমিত না হয় তার জন্যই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি ।”
যদিও গ্রামবাসীদের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছেন পুরাতন মালদার ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক ইরফান হাবিব ৷ তিনি বলেন, “কোরোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সবাইকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে ৷ কিন্তু তার জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা কিছুতেই বিচ্ছিন্ন করা যাবে না ৷ আমি বুধবারই ওই এলাকা পরিদর্শনে যাব ৷ এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে যাতে সাঁকো দিয়ে যাতায়াত দ্রুত স্বাভাবিক করা যায়, তার ব্যবস্থা করা হবে ।”