মালদা, 20 এপ্রিল: কোরোনার জেরে অর্থনীতিতে যে ধাক্কা এসেছে তার সামাল দিতে আজ থেকে কিছুটা লকডাউন শিথিল করা হয়েছে ৷ কিন্তু এই সিদ্ধান্তের প্রভাব মালদা জেলায় যেভাবে পড়েছে তাতে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় ৷ লকডাউন উঠে গিয়েছে এই ভেবে সকাল থেকেই শহরের রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে অটো-টোটো-ট্যাক্সি ৷ শুধু কি তাই ! বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রীকে স্কুলের পোশাক পরে অভিভাবকদের হাত ধরে স্কুলে যেতেও দেখা গিয়েছে ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে কালঘাম ছুটেছে মালদা পুলিশের ৷
আজ থেকে রাজ্য সরকার কিছু কিছু ক্ষেত্রে লকডাউন শিথিল করার কথা ঘোষণা করে ৷ তারই জেরে আজ যেন কিছুক্ষণের জন্য বন্দীদশা কাটিয়ে রাস্তায় উঠে এসেছিল পুরাতন মালদার মানুষ ৷ রাস্তাঘাটে আগের মতো ভিড় ৷ মুখে মাস্ক নেই অনেকেরই ৷ যাত্রী নিয়ে চলছে টোটো-অটোগুলি ৷ স্কুল ইউনিফর্ম পরে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে ছাত্রীরা ৷ সোমবার সকালে শহরের এই পরিস্থিতির কথা জানতে পেরে হতভম্ব হয়ে পড়ে পুলিশকর্মীরা ৷ খবর পেয়ে মঙ্গলবাড়ি মোড়ে ছুটে আসেন মালদা থানার IC শান্তিনাথ পাঁজা ৷ তাঁর নেতৃত্বে আসরে নামে পুলিশ ৷ মানুষজনকে ধরে ধরে লকডাউন শিথিলতার বিষয়টি বোঝানো হয় ৷ ফের ঘরমুখী করা হয় সবাইকে ৷ একইভাবে রাস্তা থেকে সরানো হয় যানবাহনগুলিকেও ৷
মালদা থানার IC শান্তিনাথ পাঁজার কথায়, "লকডাউনের শিথিলতা নিয়ে বিভ্রান্তির জেরেই এমন ঘটনা ঘটেছে ৷ আমরা সবাইকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলেছি ৷ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা অপ্রয়োজনে বাড়ি থেকে বেরোনো মানুষজনের বিরুদ্ধে অভিযানও চালাচ্ছি ৷ একইভাবে অভিযান চালানো হচ্ছে যানবাহনের ক্ষেত্রেও ৷ ইতিমধ্যে আমরা পাঁচজনকে আটক করেছি ৷ অনেক গরিব মানুষ টাকার অভাবে মাস্ক কিনতে পারেনি ৷ তাদের মাস্ক দিচ্ছি ৷ হাতে স্যানিটাইজ়ারও লাগিয়ে দিচ্ছি ৷ খুব প্রয়োজন ছাড়া যাতে কেউ বাড়ি থেকে না বেরোয় তা নিয়ে সবাইকে সতর্ক করেছি ৷"