মালদা, 3 মে: বহরমপুরের মেস থেকে ডেকে ছাত্রী সুতপা চৌধুরীকে খুনের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় গোটা এলাকায় (College Student Murder) ৷ স্থানীয় কিছু লোক নিয়ে বহরমপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন পরিবারের লোকজন । প্রাথমিকভাবে ছাত্রীর বাবা-মাকে মৃত্যুর খবর জানানো হয়নি ৷ প্রতিবেশীরাই গাড়ির ব্যবস্থা করে সুতপার বাবা-মাকে নিয়ে বহরমপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন । পৌঁছন বারোটা নাগাদ ৷
উল্লেখ্য, মৃত ছাত্রী সুতপা চৌধুরী মালদা শহরের এয়ারভিউ কমপ্লেক্সের বাসিন্দা । বাবা স্বাধীন চৌধুরী গাজোলের আলাল হাইস্কুলের শিক্ষক । স্বাধীনবাবুর দুই সন্তান । সুতপা বড়ো মেয়ে । সুতপা পদার্থবিদ্যা নিয়ে বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজের তৃতীয়বর্ষের পাঠরত ছিলেন । পড়াশোনার সুবিধার কারণে বহরমপুরের শহিদ সূর্য সেন রোডের একটি মেসে থাকতেন তিনি । সাংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হতেই স্থানীয় লোকজন সুতপার বাড়িতে ছুটে যান ।
আরও পড়ুন : মেস থেকে ডেকে কলেজ ছাত্রীকে কুপিয়ে খুন ! আতঙ্কে বহরমপুর
স্থানীয় কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ দাস বলেন, "সুতপা খুবই ভাল মেয়ে ছিল । কিছুক্ষণ আগেই আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি । বহরমপুর থানা থেকে পরিবারের লোকজনকে সম্ভবত ফোন করা হয়েছিল । স্থানীয় কিছু লোকজন তাঁর পরিবারকে নিয়ে বহরমপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন । সুতপা ছোটো থেকে আমাদের চোখের সামনে বড় হয়েছে । খুন হওয়ার মতো কোনও স্বভাব আমাদের নজরে আসেনি । পুলিশ তদন্ত করে বিষয়টি ভাল বলতে পারবে । আমরা দোষীর কঠোর শাস্তি দাবি করছি ।”
কমপ্লেক্সের সেক্রেটারি উৎপল দাস বলেন, "আমি স্থানীয় কাউন্সিলরের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারি । আমরা মেয়ের বাড়ির কাছে ছুটে আসি । সুতপার বাবা-মা-বোনকে স্থানীয় কিছু লোকজন নিয়ে বহরমপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন । ছোটো থেকে আমরা সুতপাকে দেখছি । মেধাবী ছাত্রী ছিল সে । কীভাবে তাঁর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটল তা আমরা বুঝে উঠতে পারছি না । মেয়ের পরিবারকে এখনও বিষয়টি জানানো হয়নি । শুধু বলা হয়েছে সুতপার সঙ্গে একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে । ঘটনার পর থেকে আমরা আতঙ্কিত রয়েছি । কারণ, আমাদের এলাকার বেশিরভাগ ছেলেমেয়ে বাইরে পড়াশোনা করতে যায় ।"