মালদা, 16 মে: সবজি বাজার থেকে করোনা সংক্রমণ রুখতে উদ্যোগ নিল চাঁচল মহকুমা প্রশাসন। দরিদ্র সবজি বিক্রেতাদের বিনামূল্যে স্যানিটাইজ়ার তুলে দিতে আজ থেকে মহকুমা শাসকের দফতরে স্যানিটাইজ়ার তৈরির কাজ শুরু হল।
করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে আপাতত মানুষের সবচেয়ে বড়ো অস্ত্র ভ্যাকসিন। কিন্তু এখনও বহু মানুষ ভ্যাকসিন নিতে পারেননি। তারপরেই থাকছে মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার ও সামাজিক দূরত্ব বিধি। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী তিন ঘণ্টার বাজারে সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে বাজার করা কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠেছে আম আদমির কাছে। অগত্যা মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার ভরসা হয়ে উঠেছে পথচলতি মানুষের কাছে। কিন্তু সেখানেও যেন পিছিয়ে পড়তে হচ্ছে।
অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়ার সময়ে টাকা দিয়ে স্যানিটাইজ়ার কেনা দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে দরিদ্র পরিবারগুলির কাছে। এই পরিস্থিতিতে সবজি বাজার থেকে সংক্রমণ রুখতে বিক্রেতাদের বিনামূল্যে স্যানিটাইজ়ার বিলির সিদ্ধান্ত নিল চাঁচল মহকুমা প্রশাসন। আজ থেকে মহকুমা শাসকের দফতরেই বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকদের নিয়ে স্যানিটাইজ়ার তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।
অর্ণব সাহা নামে এক শিক্ষক বলেন, “আমরা মহকুমা শাসকের দফতরে অ্যালকোহল বেস্ড স্যানিটাইজার তৈরি করছি। আমরা এই স্যানিটাইজ়ারে 70 থেকে 80 শতাংশ অ্যালকোহল রাখছি। বাজারে বিক্রি হওয়া স্যানিটাইজ়ার থেকে এই স্যানিটাইজ়ার অনেক বেশি কার্যকরী।”
আরও পড়ুন : কিছুটা স্বস্তি, পরপর দু’দিন নামল করোনা আক্রান্তের গ্রাফ
চাঁচলের মহকুমা শাসক সঞ্জয় পাল বললেন, "বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকদের নিয়ে দফতরেই স্যানিটাইজ়ার তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। আজ আমরা 500 বোতল স্যানিটাইজ়ার তৈরি করেছি। আরও কয়েকদিন স্যানিটাইজ়ার তৈরির কাজ চলবে। মলূত সবজি বিক্রেতাদের বিনামূল্যে এই স্যানিটাইজ়ার বিলি করা হবে। কাল সকালে বাজার শুরু হওয়ার আগেই বিক্রেতাদের হাতে স্যানিটাইজ়ার তুলে দেওয়া হবে।"