ETV Bharat / state

"আরও কিছুদিন বেঁচে থাকুন উনি, তারজন্য তো কেমো প্রয়োজন" - nrs

চিকিৎসকদের আন্দোলনের জেরে কেমোথেরাপি পেলেন না ক্যানসার আক্রান্ত ব্যক্তি ।

বিজয় হালদার
author img

By

Published : Jun 17, 2019, 3:18 PM IST

Updated : Jun 17, 2019, 3:57 PM IST

মালদা, 17 জুন : দেশজুড়ে চলছে চিকিৎসকদের আন্দোলন । আন্দোলনের জেরে ফিরতে হয়েছে বাড়িতে । বেঁচে থাকার ইচ্ছে রয়েছে । কিন্তু বাঁচার জন্য দরকার কেমোথেরাপি । তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত । তাই সরকারের কাছে আর্জি জানাচ্ছেন মালদার বিজয় হালদার (61) । যেকোনও মূল্যে চিকিৎসা ব্যবস্থা আগের মতো শুরু করা হোক ।

ইংরেজবাজার ব্লকের যদুপুর 2 গ্রাম পঞ্চায়েতের হরেকৃষ্ণ কোঙার কলোনি । ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ধারে এই গ্রামের বাসিন্দা বিজয়বাবু । বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্যান্ডেল বাঁধতেন । তাঁর কাজের চর্চা জেলাজুড়ে । ফলে কাজের অভাবও হয়নি । বর্তমানে শরীরে থাবা বসিয়েছে মারণ ক্যানসার । কয়েক মাস আগে কাশির সঙ্গে রক্ত বেরোতে শুরু করে বিজয়বাবুর । মালদা শহরের এক চিকিৎসক তাঁর চিকিৎসা শুরু করেন । বিজয়বাবুর অভিযোগ, সেই চিকিৎসক তাঁর ভুল চিকিৎসা করেছেন । পরে CT স্ক্যান ও MRI করে চিকিৎসকরা জানান, তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত । রোগ থাবা বসিয়েছে তাঁর ফুসফুসে ।

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

প্রথমে বিজয়বাবুকে রেফার করা হয় চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে । পরে PG হাসপাতাল এবং শেষে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয় NRS হাসপাতালে । সেটাও প্রায় ছ'মাস আগের ঘটনা । ইতিমধ্যে 5টি কেমো নেওয়া হয়েছে । 8 জুন তিনি কলকাতা যান পরবর্তী কেমো নেওয়ার জন্য । কিন্তু 10 জুন NRS-এ শুরু হয় ঝামেলা । তাঁরা দু-তিন দিন সেখানে অপেক্ষা করেও চিকিৎসকের দেখা পাননি । কেমোও নেওয়া হয়নি । বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরে আসতে হয়েছে তাঁদের ।

বিজয়বাবুর স্ত্রী লক্ষ্মী হালদার বলেন, "গিয়ে ঘুরে এসেছি । ওখানে গেলে অনেক খরচ । আমার ছেলেরা দিনমজুরির কাজ করে । এত টাকা কোথায় পাব ? কী করে যাওয়া-আসা করব ? ডাক্তারদের দেখা পাইনি ঝামেলার জন্য । দু-তিনদিন থেকে ফিরে চলে এসেছি । আমি চাই চিকিৎসার দ্বারা উনি আরও বেশি কিছু দিন বেঁচে থাকুন ।"

মালদা, 17 জুন : দেশজুড়ে চলছে চিকিৎসকদের আন্দোলন । আন্দোলনের জেরে ফিরতে হয়েছে বাড়িতে । বেঁচে থাকার ইচ্ছে রয়েছে । কিন্তু বাঁচার জন্য দরকার কেমোথেরাপি । তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত । তাই সরকারের কাছে আর্জি জানাচ্ছেন মালদার বিজয় হালদার (61) । যেকোনও মূল্যে চিকিৎসা ব্যবস্থা আগের মতো শুরু করা হোক ।

ইংরেজবাজার ব্লকের যদুপুর 2 গ্রাম পঞ্চায়েতের হরেকৃষ্ণ কোঙার কলোনি । ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ধারে এই গ্রামের বাসিন্দা বিজয়বাবু । বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্যান্ডেল বাঁধতেন । তাঁর কাজের চর্চা জেলাজুড়ে । ফলে কাজের অভাবও হয়নি । বর্তমানে শরীরে থাবা বসিয়েছে মারণ ক্যানসার । কয়েক মাস আগে কাশির সঙ্গে রক্ত বেরোতে শুরু করে বিজয়বাবুর । মালদা শহরের এক চিকিৎসক তাঁর চিকিৎসা শুরু করেন । বিজয়বাবুর অভিযোগ, সেই চিকিৎসক তাঁর ভুল চিকিৎসা করেছেন । পরে CT স্ক্যান ও MRI করে চিকিৎসকরা জানান, তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত । রোগ থাবা বসিয়েছে তাঁর ফুসফুসে ।

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

প্রথমে বিজয়বাবুকে রেফার করা হয় চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে । পরে PG হাসপাতাল এবং শেষে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয় NRS হাসপাতালে । সেটাও প্রায় ছ'মাস আগের ঘটনা । ইতিমধ্যে 5টি কেমো নেওয়া হয়েছে । 8 জুন তিনি কলকাতা যান পরবর্তী কেমো নেওয়ার জন্য । কিন্তু 10 জুন NRS-এ শুরু হয় ঝামেলা । তাঁরা দু-তিন দিন সেখানে অপেক্ষা করেও চিকিৎসকের দেখা পাননি । কেমোও নেওয়া হয়নি । বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরে আসতে হয়েছে তাঁদের ।

বিজয়বাবুর স্ত্রী লক্ষ্মী হালদার বলেন, "গিয়ে ঘুরে এসেছি । ওখানে গেলে অনেক খরচ । আমার ছেলেরা দিনমজুরির কাজ করে । এত টাকা কোথায় পাব ? কী করে যাওয়া-আসা করব ? ডাক্তারদের দেখা পাইনি ঝামেলার জন্য । দু-তিনদিন থেকে ফিরে চলে এসেছি । আমি চাই চিকিৎসার দ্বারা উনি আরও বেশি কিছু দিন বেঁচে থাকুন ।"

Intro:মালদা, 17 জুন : চিকিৎসকদের আন্দোলন ঘরে ফিরিয়ে দিয়েছে তাঁকে। অথচ বেঁচে থাকতে হলে তাঁকে নিয়মিত নিতে হবে কেমোথেরাপি। তাই মালদার বিজয় হালদার এখন জানেন না আর কদিন বেঁচে থাকবেন তিনি। চিকিৎসা না পেয়ে। অথচ তিনি আরো বাঁচতে চান। তাঁকে বাঁচিয়ে রাখতে চান তাঁর স্ত্রী সহ পরিবারের সদস্যরা। সরকারের কাছে আর্তি জানাচ্ছেন তাঁরা। যেকোনো মূল্যে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা ব্যবস্থা আগের মতো শুরু করা হোক। তা না হলে অনেকেরই অবস্থা হবে বিজয়বাবুর মতো।


Body:ইংরেজবাজার ব্লকের যদুপুর 2 গ্রাম পঞ্চায়েতের হরেকৃষ্ণ কোঙার কলোনি। ভারত -বাংলাদেশ সীমান্তের ধারে এই গ্রামে বসবাস করেন 61 বছরের বিজয় হালদার। পেশায় ছিলেন প্যান্ডেল মিস্ত্রি। তাঁর কাজের নাম ছিল জেলা জুড়ে। ফলে কাজের অভাব হতো না তাঁর। কিন্তু তাতে থাবা বসিয়েছে মারণ ক্যান্সার। কয়েক মাস আগে কাশির সঙ্গে রক্ত বের হতে শুরু করে বিজয়বাবুর। মালদা শহরের এক খ্যাতনামা চিকিৎসক তাঁর চিকিৎসা শুরু করেন। বিজয়বাবুর অভিযোগ, সেই চিকিৎসক তাঁর ভুল চিকিৎসা করেছেন। পরে স্ক্যান ও এম আর আই করে চিকিৎসকরা নিশ্চিত হন, তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত। কর্কট রোগ থাবা বসিয়েছে তাঁর ফুসফুসে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে কলকাতা রেফার করে দেওয়া হয়। প্রথমে চিত্তরঞ্জন হাসপাতাল, পরে পিজি হাসপাতাল এবং শেষে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয় নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। সেটাও প্রায় ছ'মাস আগের ঘটনা। এনআরএস-এর চিকিৎসকরা তাঁকে কেমোথেরাপি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ইতিমধ্যে 5 টি কেমো নেওয়া হয়েছে তাঁর। এরই মধ্যে গত 11, 12 এবং আগামী 19 তারিখ তাঁর কেমো নেওয়ার কথা ছিল এনআরএস-এ। সেই মতো গত 8 তারিখ তিনি কলকাতা চলে যান। কিন্তু সেদিনই এনআরএ-এ বেধড়ক ঝামেলা শুরু হয়। তাঁরা দু-তিন দিন সেখানে অপেক্ষা করেও চিকিৎসকের দেখা পাননি। কেমোও নেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরে আসতে হয়েছে তাঁকে। তিনি জানেন না কবে আবার তাঁর চিকিৎসা শুরু হবে। তবে তাঁর শরীরের যে অবস্থা, তাতে যে কোনোদিন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। হয়তো ফের চিকিৎসা শুরুর আগেই মারা যেতে পারেন তিনি। কিন্তু তিনি বাঁচতে চান।
বিজয় বাবুর স্ত্রী লক্ষ্মী হালদার বলেন, তাঁরা সবাই জানেন স্বামীকে বেশিদিন বাঁচিয়ে রাখতে পারবেন না। কিন্তু তিনি তাঁকে কিছুদিন বাঁচিয়ে রাখতে চান। তাঁরা গরিব মানুষ। তবুও স্বামীর চিকিৎসার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাঁর চার ছেলে। প্রত্যেকেই শ্রমিক। তারাও বাবাকে বাঁচাতে অমানুষিক পরিশ্রম করে। কিন্তু চিকিৎসাই যদি না করাতে পারেন তবে স্বামীকে বাঁচাবেন কীভাবে? সরকারের কাছে তার আর্তি, রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থা যাতে ফের আগের মতো হয় তার জন্য ব্যবস্থা দ্রুত নেওয়া হোক।


Conclusion:শুধু বিজয়বাবু, লক্ষ্মীদেবী কিংবা তাঁদের পরিবারের সদস্যরায় নন, এলাকার বাসিন্দারাও চান, দ্রুত এনআরএস হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা আগের জায়গায় ফিরে আসুক। দ্রুত চিকিৎসা শুরু হোক ক্যান্সার আক্রান্ত এই বৃদ্ধের। যতদিন বাঁচবেন, ততদিন যেন চিকিৎসাটা অন্তত তিনি করাতে পারেন।
Last Updated : Jun 17, 2019, 3:57 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.