মালদা, 17 জুন : দেশজুড়ে চলছে চিকিৎসকদের আন্দোলন । আন্দোলনের জেরে ফিরতে হয়েছে বাড়িতে । বেঁচে থাকার ইচ্ছে রয়েছে । কিন্তু বাঁচার জন্য দরকার কেমোথেরাপি । তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত । তাই সরকারের কাছে আর্জি জানাচ্ছেন মালদার বিজয় হালদার (61) । যেকোনও মূল্যে চিকিৎসা ব্যবস্থা আগের মতো শুরু করা হোক ।
ইংরেজবাজার ব্লকের যদুপুর 2 গ্রাম পঞ্চায়েতের হরেকৃষ্ণ কোঙার কলোনি । ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ধারে এই গ্রামের বাসিন্দা বিজয়বাবু । বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্যান্ডেল বাঁধতেন । তাঁর কাজের চর্চা জেলাজুড়ে । ফলে কাজের অভাবও হয়নি । বর্তমানে শরীরে থাবা বসিয়েছে মারণ ক্যানসার । কয়েক মাস আগে কাশির সঙ্গে রক্ত বেরোতে শুরু করে বিজয়বাবুর । মালদা শহরের এক চিকিৎসক তাঁর চিকিৎসা শুরু করেন । বিজয়বাবুর অভিযোগ, সেই চিকিৎসক তাঁর ভুল চিকিৎসা করেছেন । পরে CT স্ক্যান ও MRI করে চিকিৎসকরা জানান, তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত । রোগ থাবা বসিয়েছে তাঁর ফুসফুসে ।
প্রথমে বিজয়বাবুকে রেফার করা হয় চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে । পরে PG হাসপাতাল এবং শেষে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয় NRS হাসপাতালে । সেটাও প্রায় ছ'মাস আগের ঘটনা । ইতিমধ্যে 5টি কেমো নেওয়া হয়েছে । 8 জুন তিনি কলকাতা যান পরবর্তী কেমো নেওয়ার জন্য । কিন্তু 10 জুন NRS-এ শুরু হয় ঝামেলা । তাঁরা দু-তিন দিন সেখানে অপেক্ষা করেও চিকিৎসকের দেখা পাননি । কেমোও নেওয়া হয়নি । বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরে আসতে হয়েছে তাঁদের ।
বিজয়বাবুর স্ত্রী লক্ষ্মী হালদার বলেন, "গিয়ে ঘুরে এসেছি । ওখানে গেলে অনেক খরচ । আমার ছেলেরা দিনমজুরির কাজ করে । এত টাকা কোথায় পাব ? কী করে যাওয়া-আসা করব ? ডাক্তারদের দেখা পাইনি ঝামেলার জন্য । দু-তিনদিন থেকে ফিরে চলে এসেছি । আমি চাই চিকিৎসার দ্বারা উনি আরও বেশি কিছু দিন বেঁচে থাকুন ।"