মালদা, 25 জানুয়ারি: পরীক্ষার আগে পড়ুয়াদের মন থেকে ভয় দূর করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) উদ্য়োগেই শুরু হয়েছে 'পরীক্ষা পে চর্চা' কর্মসূচি ৷ দেশের প্রতিটি রাজ্যে এই কর্মসূচি পালন করছেন তাঁর তথা কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা ৷ তাঁরা স্কুলে স্কুলে গিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলছেন ৷ শুধুমাত্র পরীক্ষার ভয় নয়, একইসঙ্গে মানসিক ভার লাঘব করারও দাওয়াই দিচ্ছেন পরীক্ষা নিয়ে চর্চা করতে আসা জনপ্রতিনিধিরা ৷ তাঁদের উদ্যোগেই করা হচ্ছে নানা আয়োজন ৷ সেই আয়োজনের আওতায় পরীক্ষার্থীরা অঙ্কন প্রতিযোগিতায় বসছে ৷ এই ধরনের কাজে পরীক্ষার্থীদের মানসিক দৃঢ়তা বাড়বে বলে মনে করছেন উদ্যক্তারা ৷ বুধবার মালদার (Malda) ইংরেজবাজারের লক্ষ্মীপুরের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে এই কর্মসূচি পালন করেন স্থানীয় বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী (Sreerupa Mitra Chaudhury attends Pariksha Pe Charcha) ৷
এদিন সকাল 10টায় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল ৷ তবে, পরীক্ষার্থীরা হাজির হয়ে যায় নির্ধারিত সেই সময়ের বহু আগে ৷ উল্লেখ্য, এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছাত্রছাত্রীরা সিবিএসই পাঠক্রমের অধীনস্ত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া ৷ একমাস পরই তাদের পরীক্ষা ৷ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এলেও তাদের মুখে উৎকণ্ঠার ছাপ ছিল স্পষ্ট ৷ সেই গুমোট কাটাতে অনুষ্ঠান মঞ্চে শুরু করা হয় রাজস্থানি নাচ ৷ পরে পড়ুয়াদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন বিধায়ক ৷ দেন ছাত্রছাত্রীদের হাজারো প্রশ্নের উত্তর ৷ আর নানা বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বারবার বিধায়কের মুখে উঠে আসেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৷
আরও পড়ুন: "অনলাইন-অফলাইন নয়, সমস্যা তোমার মনে", পরীক্ষা পে চর্চায় প্রধানমন্ত্রী
বিধায়ক কবিগুরু রচিত গান ও কবিতার লাইন বারবার উল্লেখ করে পড়ুয়াদের বোঝান, কঠিন সময়ে কীভাবে মনকে স্থির রাখতে হয় ৷ কীভাবে এককভাবে একের পর এক কঠিন বাধা পেরিয়ে যেতে হয় ৷ একইসঙ্গে, পড়ুয়াদের বেশি করে জল খেতে, নিয়মিত যোগভ্যাস করতেও বলেন বিধায়ক ৷ একইসঙ্গে তাঁর বার্তা, পড়ুয়াদের মানসিকভাবে সুস্থ ও দৃঢ় রাখতে হলে বাবা-মাকেও উদ্যোগী হতে হবে ৷ তাঁদের উচ্চাকাঙ্ক্ষার বোঝা ছোট ছোট মাথায় চাপিয়ে দেওয়া চলবে না ৷
পরে সংবাদমাধ্যমকে বিধায়ক বলেন, "সামনেই পরীক্ষা ৷ বাচ্চারা ভীষণ চাপের মধ্যে রয়েছে ৷ ওদের সঙ্গে কথা বলে আমার সেটাই মনে হয়েছে ৷ ওদের যতটা উদ্বুদ্ধ করা প্রয়োজন, করলাম ৷ আমার পক্ষে যতটা সম্ভব, ওদের প্রশ্নের উত্তর এবং পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করলাম ৷ প্রধানমন্ত্রী বলছেন, বাচ্চাদের পরীক্ষা-যোদ্ধা হতে হবে ৷ কিন্তু, বদলে ওরা পরীক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তা করে চলেছে ৷" পাশাপাশি বিধায়ক বলেন, "আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে জড়িয়ে রয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ৷ তিনি বলেছেন, যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে ! আবার বলেছেন, চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির ! বাচ্চাদের মনে কবিগুরুর সেই সাহসের বার্তাই দেওয়ার চেষ্টা করেছি ৷"