মালদা, 19 জুন: দলেরই প্রধানের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ উপপ্রধান সহ পঞ্চায়েত সদস্যরা৷ আজ BJP পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন ওই পঞ্চায়েতের 16 জন সদস্য৷ যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন পঞ্চায়েত প্রধান ৷ ইতিমধ্যেই নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছে BJP৷ সেই সময় গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে আসায় অস্বস্তিতে মালদা জেলা BJP নেতৃত্ব৷
মানিকচক গ্রাম পঞ্চায়েত BJP পরিচালিত৷ পঞ্চায়েতের প্রধান বিউটি মণ্ডল৷ উপপ্রধান শংকর মণ্ডল৷ অভিযোগ, পঞ্চায়েতের বার্ষিক মিটিং তিন বছর ধরে হয়নি৷ লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে 5 লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে পঞ্চায়েত প্রধান ৷ দলের নেতার বিরুদ্ধে উপপ্রধান সহ 16 জন পঞ্চায়েত সদস্য এই অভিযোগ এনেছেন ৷ BDO ও জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা৷ প্রধানের অপসারণের দাবি তুলেছেন পঞ্চায়েত সদস্যরা ৷
মানিকচক গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শংকর মণ্ডল বলেন, "আমাদের প্রধান দুর্নীতিগ্রস্ত ৷ 5 লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন৷ কোনওরকম মিটিং না করে কোরোনার বিভান্ন খাতের টাকা আত্মসাৎ করেছেন৷ আমাদের কাছে সমস্ত প্রমাণ রয়েছে৷ প্রধান বলছেন, আমি প্রধানের চেয়ারের লোভে ষড়যন্ত্র করছি৷ কিন্তু, ওঁর বিরুদ্ধে 16 জন পঞ্চায়েত সদস্য অভিযোগ করেছেন৷ আমরা চাই, ওঁর বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হোক৷ দলের প্রধান টাকা আত্মসাৎ করায় দলের বদনাম হচ্ছে৷"
একই অভিযোগ বিরোধী দলের পঞ্চায়েত সদস্য আশুষ মণ্ডলের৷
তিনি বলেন, "আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েতে 18 জন সদস্য৷ অর্থাৎ বাজেটে 11 জনের উপস্থিতি প্রয়োজন ৷ তিনটি বাজেট মিটিং ডাকা হয়েছিল৷ সাধারণ মানুষের স্বার্থে বাজেট না হওয়ায় আমরা বাজেটে সহমত পোষণ করিনি৷ বাজেট সম্পূর্ণ না হওয়ায় 2020-21 সালে প্রধান নিজের ইচ্ছেমতো কাজ করছেন৷ এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সাড়ে 5 লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন ৷ উনি পরিযায়ী শ্রমিকের জন্য কিংবা কোরোনা মোকাবিলায় কোনও কাজ করেননি৷"
সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান বিউটি মণ্ডল৷
তিনি বলেন, "আমি যা কাজ করেছি তা সমস্ত পঞ্চায়েত সদস্যকে জানিয়ে করেছি৷ কোরোনা মোকাবিলায় সাবান, স্যানিটাইজার সমস্ত কেনা হয়েছিল৷ তা সমস্ত সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে৷ আমি দুর্নীতিতে যোগ দিতে অস্বীকার করায় আমাদের দলেরই সদস্যরা আমাকে সরিয়ে উপপ্রধানকে প্রধান পদে বসাতে চাইছে৷"