ETV Bharat / state

BJP সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে : শুভেন্দু অধিকারী - suvendu

দক্ষিণ মালদার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেনের সমর্থনে শুভেন্দুবাবু এনায়েতপুরে জনসভা করেন।

শুভেন্দু অধিকারী
author img

By

Published : Mar 19, 2019, 10:57 PM IST

মালদা, ১৯ মার্চ : দক্ষিণ মালদায় আজ নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ তিনি মানিকচকের এনায়েতপুরে এক নির্বাচনী জনসভায় অংশ নেন। এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেনের সমর্থনে শুভেন্দুবাবু প্রচার শুরু করেন। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের এই জনসভায় সাধারণ মানুষের তেমন ভিড় ছিল না।

দক্ষিণ মালদা লোকসভা কেন্দ্রে এবার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন দলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন। ২০১৪ সালেও এই কেন্দ্রে শাসকদল মোয়াজ্জেম সাহেবকেই প্রার্থী করেছিল। আজ তাঁরই সমর্থনে শুভেন্দুবাবু এনায়েতপুরে জনসভা করেন। সকাল ১১ টায় সভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শুভেন্দুবাবু ২ টো নাগাদ সভাস্থানে পৌঁছান। সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবিত্রী মিত্র, কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরি, গৌরচন্দ্র মণ্ডল, সমর মুখোপাধ্যায় সহ একাধিক নেতা-নেত্রী। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে দুর্ঘটনায় মৃত ৯ শ্রমিক পরিবারের সদস্যরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

শুভেন্দু বলেন, "মালদা জেলার উন্নয়নের কাজ সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী দেখেন। মালদার মানুষের কথা তাঁকে মাঝেমধ্যে জানাই। আমরাই কৃষকদের সমস্যার সমাধান করতে পারব। আমরাই এলাকার উন্নয়ন করতে পারব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলের ভালো করে দেখিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী একাধিক ভাষাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। আমরা জানি, এই লড়াই সাম্প্রদায়িক মোদিবাবুর সঙ্গে। কংগ্রেসের সঙ্গে কখন যে CPI(M)-র ভাব হয়, কখন ঝগড়া হয় কেউ জানে না। ২০১৬ সালে ওরা একসঙ্গে লড়াই করেছিল। আর এবার তারা আলাদা লড়বে বলছে। এখানকার এতগুলো মানুষ ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মারা গেল। কিন্তু এখানকার NRI সাংসদকে তখন দেখা যায়নি। তাঁর এই পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর সময় হয়নি। আর BJP যে কথা বলে ক্ষমতায় এসেছিল, তারা কী দিয়েছে? নোটবন্দি, GST-তে কার লাভ হয়েছে? কিছু করতে পারেনি বলে তারা এখন দেশপ্রেমের কথা, হিন্দুত্বের কথা বলছে। এরা শুধু সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে।"

শুভেন্দুর বক্তব্যে আজ কাঠুয়াকাণ্ড, যোগী আদিত্যনাথ, ইমাম ও মোয়াজ্জিনদের ভাতা, রাজস্থানে কাজ করতে গিয়ে খুন হওয়া আফরাজুলের প্রসঙ্গ উঠে আসে। যদিও তিনি বার বার বলেন, "তৃণমূল ধর্মের কথা বলে ভোট চায় না। উন্নয়নের কথা বলে ভোট চায়।" যদিও এই জেলার দুই কেন্দ্রেই তৃণমূলের প্রার্থী মুসলিম কেন, এই প্রশ্ন তাঁকে করা হলে তার কোনও সরাসরি জবাব তিনি দেননি।

মালদা, ১৯ মার্চ : দক্ষিণ মালদায় আজ নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ তিনি মানিকচকের এনায়েতপুরে এক নির্বাচনী জনসভায় অংশ নেন। এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেনের সমর্থনে শুভেন্দুবাবু প্রচার শুরু করেন। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের এই জনসভায় সাধারণ মানুষের তেমন ভিড় ছিল না।

দক্ষিণ মালদা লোকসভা কেন্দ্রে এবার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন দলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন। ২০১৪ সালেও এই কেন্দ্রে শাসকদল মোয়াজ্জেম সাহেবকেই প্রার্থী করেছিল। আজ তাঁরই সমর্থনে শুভেন্দুবাবু এনায়েতপুরে জনসভা করেন। সকাল ১১ টায় সভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শুভেন্দুবাবু ২ টো নাগাদ সভাস্থানে পৌঁছান। সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবিত্রী মিত্র, কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরি, গৌরচন্দ্র মণ্ডল, সমর মুখোপাধ্যায় সহ একাধিক নেতা-নেত্রী। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে দুর্ঘটনায় মৃত ৯ শ্রমিক পরিবারের সদস্যরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

শুভেন্দু বলেন, "মালদা জেলার উন্নয়নের কাজ সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী দেখেন। মালদার মানুষের কথা তাঁকে মাঝেমধ্যে জানাই। আমরাই কৃষকদের সমস্যার সমাধান করতে পারব। আমরাই এলাকার উন্নয়ন করতে পারব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলের ভালো করে দেখিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী একাধিক ভাষাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। আমরা জানি, এই লড়াই সাম্প্রদায়িক মোদিবাবুর সঙ্গে। কংগ্রেসের সঙ্গে কখন যে CPI(M)-র ভাব হয়, কখন ঝগড়া হয় কেউ জানে না। ২০১৬ সালে ওরা একসঙ্গে লড়াই করেছিল। আর এবার তারা আলাদা লড়বে বলছে। এখানকার এতগুলো মানুষ ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মারা গেল। কিন্তু এখানকার NRI সাংসদকে তখন দেখা যায়নি। তাঁর এই পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর সময় হয়নি। আর BJP যে কথা বলে ক্ষমতায় এসেছিল, তারা কী দিয়েছে? নোটবন্দি, GST-তে কার লাভ হয়েছে? কিছু করতে পারেনি বলে তারা এখন দেশপ্রেমের কথা, হিন্দুত্বের কথা বলছে। এরা শুধু সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে।"

শুভেন্দুর বক্তব্যে আজ কাঠুয়াকাণ্ড, যোগী আদিত্যনাথ, ইমাম ও মোয়াজ্জিনদের ভাতা, রাজস্থানে কাজ করতে গিয়ে খুন হওয়া আফরাজুলের প্রসঙ্গ উঠে আসে। যদিও তিনি বার বার বলেন, "তৃণমূল ধর্মের কথা বলে ভোট চায় না। উন্নয়নের কথা বলে ভোট চায়।" যদিও এই জেলার দুই কেন্দ্রেই তৃণমূলের প্রার্থী মুসলিম কেন, এই প্রশ্ন তাঁকে করা হলে তার কোনও সরাসরি জবাব তিনি দেননি।

Intro:মালদা, ১২ মার্চ : শেষ পর্যন্ত জল্পনার অবসান হল৷ দিল্লিতে বিজেপির হাত ধরলেন মালদার একমাত্র সিপিএম বিধায়ক খগেন মুর্মু৷ দল পালটানোর পরেই তাঁকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেছে জেলা সিপিএম৷ এদিকে তাঁর বিজেপিতে যোগদান খোলা মনে মেনে নিতে পারছে না জেলার গেরুয়া শিবিরও৷ এই অবস্থায় বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশ জানাচ্ছেন, খগেনবাবুকেই লোকসভা ভোটে উত্তর মালদার দলীয় প্রার্থী করা হতে পারে৷ এই পরিস্থিতিতে যদি সত্যিই তাঁকে উত্তর মালদার প্রার্থী করা হয়, তবে জেলার গেরুয়া শিবিরের অবস্থান ঠিক কী হতে চলেছে, তা দেখার জন্য প্রহর গুনছে রাজনৈতিক মহল৷ Body:         বেশ কিছুদিন থেকেই জেলার রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়, লোকসভা নির্বাচনের আগেই বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন হবিবপুর কেন্দ্রের ৩ বারের সিপিএম বিধায়ক খগেন মুর্মু৷ এনিয়ে খগেনবাবুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি অবশ্য সরাসরি কিছু বলেননি৷ কয়েকদিন আগে মহম্মদ সেলিমের উপস্থিতিতে সিপিএমের জেলা কমিটির বৈঠকেও অংশ নেন তিনি৷ সেদিনও তিনি সংবাদমাধ্যমের প্রশ্ন এড়িয়ে যান৷ বলেন, তিনি সিপিএমেই আছেন৷ তবে তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের আসন সমঝোতা নিয়ে নিজের ক্ষোভ গোপন রাখেননি৷ তিনি সিপিএমের গঠনতন্ত্র নিয়েও প্রশ্ন তোলেন৷ তবে তিনি স্বীকার করেছিলেন, বিজেপি ও তৃণমূল, দুই দলই তাঁকে উত্তর মালদা কেন্দ্রে প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করাতে চাইছে৷
         এই অবস্থায় আজ দিল্লিতে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়ের হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে পা রাখলেন বাম ছাত্র আন্দোলনের এই নেতা৷ তবে দলবদলের পরেই সিপিএম থেকে খগেনবাবুকে বহিষ্কার করা হয়েছে৷ সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, "একটু আগে খগেন মুর্মু দল বদল করেছেন৷ তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন৷ আমরা ভারতীয় মার্কসবাদি কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে তাঁকে সরাসরি বহিষ্কার করছি৷ তাঁর সঙ্গে আর আমাদের দলের কোনও স্তরের কেউ কোনোরূপ সম্পর্ক রাখবেন না৷ দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিনি সরাসরি বহিষ্কৃত হলেন৷ তবে এর আগেও দল থেকে ছোটোবড়ো অনেক নেতা বিভিন্ন প্রলোভনে পড়ে দলত্যাগ করেছেন৷ তাতে কমিউনিস্ট পার্টির কোনও ক্ষতি হয়নি৷ কাল থেকেই কর্মীরা নতুন উদ্যমে কাজে নামবেন৷ যে বেইমানরা এভাবে দলত্যাগ করছেন, তাদের জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন করবেন৷" এদিকেবিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর দিল্লি থেকে খগেনবাবু জানান, জঙ্গলের রাজত্ব থেকে রাজ্যকে মুক্তি দিতেই তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন৷ একই সঙ্গে বিজেপিতে থেকে তিনি উন্নয়নের কাজও করতে চান৷ সিপিএম তাঁকে বহিষ্কার করলেও তাঁর কিছু যায় আসে না৷
         অন্যদিকে বিজেপিও খগেনবাবুকে নিজেদের দলে খোলা মনে মেনে নিতে পারছে না৷ তাঁকে উত্তর মালদা কেন্দ্রে প্রার্থী হিসাবেও অনেকে মানতে চাইছেন না বলে দলীয় সূত্রে খবর৷ দলের জেলা সভাপতি সঞ্জিৎ মিশ্র প্রথমে ফোনে ইটিভি ভারতকে বলেন, "আমার সঙ্গে কোনও আলোচনা না করে খগেন মুর্মুকে দলে নেওয়া হয়েছে৷ তবে আমার যতটুকু জানা আছে, খগেনবাবু উত্তর মালদা কেন্দ্রে প্রার্থী হচ্ছন না৷ কারণ, খগেনবাবু এমন কোনও ব্যক্তিত্ব নন যে মানুষ ওঁর নামে ভোট দেবে৷ উনি একটি সাংগঠনিক দলে ছিলেন৷ সংগঠনের জোরেই ভোটে জিততেন৷ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিধায়ক হিসাবে হবিবপুরে তিনি একটি পঞ্চায়েতও জেতাতে পারেননি৷ গাজোলে তাঁর বাড়ি৷ সেখানেও একটি পঞ্চায়েত তাঁর জেতানোর ক্ষমতা হয়নি৷ কাজেই ব্যক্তিগত ক্যারিশমা বলে ওনার কিছু নেই৷ বরং এখন ওনার দায় রয়েছে৷ আমার মনে হয় একজন কর্মী হিসাবেই তাঁকে দলে যোগ দেওয়ানো হয়েছে৷ মাস ৩-৪ আগে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আমাকে খগেনবাবু সম্পর্কে একবার বলেছিলেন, তিনি নাকি বিজেপি দলে যোগ দিতে চান৷ দিলীপবাবু ওনাকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, দলের জেলা সভাপতির সঙ্গে কথা বলেই যা করার তাঁকে করতে হবে৷ খগেনবাবু আমার সঙ্গে যোগাযোগও করেন৷ আমি তাঁকে জানিয়ে দিয়েছিলাম, কোনও শর্ত ছাড়াই তাঁকে দলে যোগ দিতে হবে৷ এটাই আমাদের রাজ্য সভাপতির নির্দেশ৷ কিন্তু তিনি তারপর আমার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেননি৷ হঠাৎ আজ শুনলাম, তিনি দলে যোগ দিতে দিল্লি যাচ্ছেন৷ তাই যিনি খগেনবাবুকে দলে যোগদান করিয়েছেন, তিনিই এব্যাপারে কিছু বলতে পারবেন৷" সঞ্জিতবাবু আরও বলেন, "এই মুহূর্তে জেলার আদিবাসী ভোট ব্যাংক সম্পূর্ণ আমাদের দিকে চলে এসেছে৷ একটি ভোটও অন্য কোথাও নেই৷ তাই অনেক অংক কষেই খগেনবাবু বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন৷ তবে তাঁর বিজেপিতে যোগদান অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না৷ এনিয়ে আমার কাছে অনেক ফোন আসছে৷ আমি যতটা পারি তাদের বোঝাচ্ছি৷ তবে আমি জেলার কোনও কেন্দ্রে প্রার্থী হতে রাজি নই৷ আমি শুধু জেলার দুটি কেন্দ্রে দলের প্রার্থীদের জেতাতে চাই৷ খগেনবাবুকে দল প্রার্থী করলে আমাদের তা মানতে হবে৷ কারণ, আমাদের কাছে দলের স্বার্থই আগে৷ তবে আমরা তৃণমূলস্তরে কাজ করি৷ আমরা সেখানকার পরিস্থিতিটা ভালো বুঝব৷"
Conclusion:         পরে সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে আরও আক্রমণাত্মক হন সঞ্জিতবাবু৷ তখন তিনি বলেন, "বেশ কয়েকদিন ধরে মালদায় গুঞ্জন চলছে, খগেন মুর্মু উত্তর মালদা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হচ্ছেন৷ আমি জানি না, কে বা কারা তাঁকে নিয়ে এমন স্বপ্ন দেখছেন৷ দলের যে কোনও কর্মীকে দাঁড় করালেই ওই আসনে আমরা জিতব৷ সাধারণ মানুষের সেটাই ধারনা৷ সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, বিজেপি কি মৌসম নূরকে জেতাতেই ওই আসনে খগেন মুর্মুকে প্রার্থী করছে? সাধারণ মানুষ ধরে নিয়েছে, মৌসম নূরের হয়ে বিজেপিতে কেউ এমন কাজ করছে৷ এনিয়ে আমিও চিন্তিত৷"

For All Latest Updates

TAGGED:

suvendumalda
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.