ETV Bharat / state

BJP Agitation: বিজেপির নেতৃত্বে গাজোল থানা ঘেরাও অভিযান - Calcutta High Court

19 দিন পরেও গ্রেফতার হয়নি খুনিরা ৷ বিজেপির নেতৃত্বে গাজোল থানা ঘেরাও অভিযানে সশস্ত্র আদিবাসীরাও (BJP Agitation) ৷

BJP Agitation
BJP Agitation
author img

By

Published : Nov 14, 2022, 9:56 PM IST

মালদা, 14 নভেম্বর: কালীপুজোর মেলায় গিয়ে 26 অক্টোবর রাতে খুন হয়েছিলেন ধনঞ্জয় সরকার (52) ৷ তিনি গাজোল ব্লকের বৈরগাছি 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের খোসলাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন ৷ বাড়ি থেকে মাত্র 200 মিটার দূরে একটি আমবাগানে তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় ৷ এই ঘটনায় নাম জড়ায় ওই পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান সুবোধ সরকার, অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি ইমদাদুর রহমান-সহ আরও কয়েকজনের ৷

এ নিয়ে গাজোল থানায় সুবোধ-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ধনঞ্জয়ের স্ত্রী লতিকা সরকার ৷ পবিবারের সদস্যরা দাবি করেন, 100 দিনের কাজ প্রকল্পে পুকুর খনন করার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা পকেটে পুরেছেন অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান ৷ এমনকী তিনি নিহতের নিজের খনন করা পুকুরকেও 100 দিনের প্রকল্পের কাজ দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেন ৷

BJP Agitation
গাজোল থানা ঘেরাও অভিযানে সশস্ত্র আদিবাসীরাও

এই ঘটনায় প্রধানের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) আর্থিক দুর্নীতির মামলা করেছেন ধনঞ্জয়ের ভাই ৷ সেই মামলা এখনও বিচারাধীন ৷ তারই জেরে সুবোধ সরকার ও তাঁর দলবল এই খুন করেছেন বলে পরিবারের অভিযোগ ৷ কিন্তু পুলিশ কাউকে গ্রেফতার না করায় পরিবারের লোকজনের সঙ্গে গ্রামবাসীরা এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি তুলতে শুরু করেন ৷ 2 নভেম্বর ধনঞ্জয়ের বাড়ি গিয়ে পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ উগড়ে দেন জাতীয় তফশিলি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার ৷ তিনি সাফ বলেন, "পঞ্চায়েত প্রধানের দুর্নীতি ধরে ফেলাতেই ধনঞ্জয় সরকারকে খুন করা হয়েছে ৷ এটা পরিষ্কার ৷ কিন্তু তবু পুলিশ এই মামলায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি ৷"

BJP Agitation
বিজেপি কর্মীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে

পুলিশের ভূমিকার প্রতিবাদে আজ গাজোল থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি (BJP gheraos Gajole Police Station in Malda) ৷ উপস্থিত ছিলেন উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু, এলাকার বিধায়ক চিন্ময় দেব বর্মন, দলের উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত-সহ আরও অনেকে ৷

আজ দুপুরে বিজেপির বেশ কয়েকটি মিছিল বিভিন্ন জায়গা থেকে গাজোল থানা মোড়ে এসে মিলিত হয় ৷ সেখান থেকে মিছিল করেই গেরুয়া শিবিরের নেতা-কর্মীরা গাজোল থানার সামনে আসেন ৷ সেখানে আগে থেকেই মোতায়েন ছিল পুলিশবাহিনী ৷ থানার গেট ব্যারিয়ার দিয়ে রাখা হয়েছিল ৷ বিজেপি কর্মীরা সেই ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয় ৷ এরপর পদ্ম শিবিরের নেতা-কর্মীরা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ৷ বিক্ষোভে অংশ নেন বহু আদিবাসী মানুষজন (BJP Agitation) ৷

পুলিশি ভূমিকায় ক্ষুব্ধ সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, "পুলিশ ধনঞ্জয় সরকারের খুনিদের ধরছে না ৷ তারা গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে ৷ কিন্তু উর্দিধারীরা আদিবাসীদের বিনা অপরাধে থানায় ধরে আনছে ৷ আইসিকে বলব, আপনি আগুন নিয়ে খেলবেন না ৷ আজ পুলিশকর্মীরা থানার সামনে দাঁড়িয়ে আইসিকে নিরাপত্তা দিচ্ছেন ৷ কিন্তু কতক্ষণ পারবেন? মানুষের ধৈর্যের সীমা ভেঙে গেলে দলদাস পুলিশকর্মীরা তাঁকে বাঁচাতে পারবেন না ৷ বিজেপি এই দলদাসদের কৈফিয়ৎ চাইবে ৷ ধনঞ্জয় সরকারের খুনিকে যতক্ষণ না গ্রেফতার করা হচ্ছে, বিজেপির সব কর্মকর্তা এখান থেকে নড়বেন না ৷ এরা খুনিদের সঙ্গে বনভোজন করে ৷ রাতে এদের সঙ্গে বসে পুলিশ মদ খায় ৷ পুলিশ কত টাকা খেয়েছে? তৃণমূল সরকার 100 দিনের কাজের টাকা এরা মেরে ফাঁক করে দিয়েছে ৷ তিন বছরের হিসাব দিতে পারছে না ৷ তাই কেন্দ্র এই খাতে টাকা পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে ৷ সেই টাকা পুলিশের পকেটেও ঢুকছে ৷"

বিজেপির নেতৃত্বে গাজোল থানা ঘেরাও অভিযান

আরও পড়ুন: মাটি ফেলে ভরাট করে প্লটে বিক্রি হচ্ছে আস্ত নদী, অভিযুক্ত তৃণমূল

সাংসদ আরও বলেন, "তৃণমূল একদিকে খুন করছে, অন্যদিকে মানুষকে অপমান করছে ৷ এমনকী এরা রাষ্ট্রপতিকে অপমান করতেও ছাড়ছে না ৷ অখিল গিরি রাষ্ট্রপতিকে অপমান করেছেন ৷ তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে ৷ অথচ তিনি বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ৷ এখনও তাঁকে গ্রেফতার কিংবা মন্ত্রীসভা থেকে বরখাস্ত করা হয়নি ৷ আদিবাসীদের অপমান করার অধিকার অখিল গিরিকে কে দিয়েছে?"

মালদা, 14 নভেম্বর: কালীপুজোর মেলায় গিয়ে 26 অক্টোবর রাতে খুন হয়েছিলেন ধনঞ্জয় সরকার (52) ৷ তিনি গাজোল ব্লকের বৈরগাছি 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের খোসলাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন ৷ বাড়ি থেকে মাত্র 200 মিটার দূরে একটি আমবাগানে তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় ৷ এই ঘটনায় নাম জড়ায় ওই পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান সুবোধ সরকার, অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি ইমদাদুর রহমান-সহ আরও কয়েকজনের ৷

এ নিয়ে গাজোল থানায় সুবোধ-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ধনঞ্জয়ের স্ত্রী লতিকা সরকার ৷ পবিবারের সদস্যরা দাবি করেন, 100 দিনের কাজ প্রকল্পে পুকুর খনন করার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা পকেটে পুরেছেন অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান ৷ এমনকী তিনি নিহতের নিজের খনন করা পুকুরকেও 100 দিনের প্রকল্পের কাজ দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেন ৷

BJP Agitation
গাজোল থানা ঘেরাও অভিযানে সশস্ত্র আদিবাসীরাও

এই ঘটনায় প্রধানের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) আর্থিক দুর্নীতির মামলা করেছেন ধনঞ্জয়ের ভাই ৷ সেই মামলা এখনও বিচারাধীন ৷ তারই জেরে সুবোধ সরকার ও তাঁর দলবল এই খুন করেছেন বলে পরিবারের অভিযোগ ৷ কিন্তু পুলিশ কাউকে গ্রেফতার না করায় পরিবারের লোকজনের সঙ্গে গ্রামবাসীরা এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি তুলতে শুরু করেন ৷ 2 নভেম্বর ধনঞ্জয়ের বাড়ি গিয়ে পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ উগড়ে দেন জাতীয় তফশিলি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার ৷ তিনি সাফ বলেন, "পঞ্চায়েত প্রধানের দুর্নীতি ধরে ফেলাতেই ধনঞ্জয় সরকারকে খুন করা হয়েছে ৷ এটা পরিষ্কার ৷ কিন্তু তবু পুলিশ এই মামলায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি ৷"

BJP Agitation
বিজেপি কর্মীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে

পুলিশের ভূমিকার প্রতিবাদে আজ গাজোল থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি (BJP gheraos Gajole Police Station in Malda) ৷ উপস্থিত ছিলেন উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু, এলাকার বিধায়ক চিন্ময় দেব বর্মন, দলের উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত-সহ আরও অনেকে ৷

আজ দুপুরে বিজেপির বেশ কয়েকটি মিছিল বিভিন্ন জায়গা থেকে গাজোল থানা মোড়ে এসে মিলিত হয় ৷ সেখান থেকে মিছিল করেই গেরুয়া শিবিরের নেতা-কর্মীরা গাজোল থানার সামনে আসেন ৷ সেখানে আগে থেকেই মোতায়েন ছিল পুলিশবাহিনী ৷ থানার গেট ব্যারিয়ার দিয়ে রাখা হয়েছিল ৷ বিজেপি কর্মীরা সেই ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয় ৷ এরপর পদ্ম শিবিরের নেতা-কর্মীরা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ৷ বিক্ষোভে অংশ নেন বহু আদিবাসী মানুষজন (BJP Agitation) ৷

পুলিশি ভূমিকায় ক্ষুব্ধ সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, "পুলিশ ধনঞ্জয় সরকারের খুনিদের ধরছে না ৷ তারা গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে ৷ কিন্তু উর্দিধারীরা আদিবাসীদের বিনা অপরাধে থানায় ধরে আনছে ৷ আইসিকে বলব, আপনি আগুন নিয়ে খেলবেন না ৷ আজ পুলিশকর্মীরা থানার সামনে দাঁড়িয়ে আইসিকে নিরাপত্তা দিচ্ছেন ৷ কিন্তু কতক্ষণ পারবেন? মানুষের ধৈর্যের সীমা ভেঙে গেলে দলদাস পুলিশকর্মীরা তাঁকে বাঁচাতে পারবেন না ৷ বিজেপি এই দলদাসদের কৈফিয়ৎ চাইবে ৷ ধনঞ্জয় সরকারের খুনিকে যতক্ষণ না গ্রেফতার করা হচ্ছে, বিজেপির সব কর্মকর্তা এখান থেকে নড়বেন না ৷ এরা খুনিদের সঙ্গে বনভোজন করে ৷ রাতে এদের সঙ্গে বসে পুলিশ মদ খায় ৷ পুলিশ কত টাকা খেয়েছে? তৃণমূল সরকার 100 দিনের কাজের টাকা এরা মেরে ফাঁক করে দিয়েছে ৷ তিন বছরের হিসাব দিতে পারছে না ৷ তাই কেন্দ্র এই খাতে টাকা পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে ৷ সেই টাকা পুলিশের পকেটেও ঢুকছে ৷"

বিজেপির নেতৃত্বে গাজোল থানা ঘেরাও অভিযান

আরও পড়ুন: মাটি ফেলে ভরাট করে প্লটে বিক্রি হচ্ছে আস্ত নদী, অভিযুক্ত তৃণমূল

সাংসদ আরও বলেন, "তৃণমূল একদিকে খুন করছে, অন্যদিকে মানুষকে অপমান করছে ৷ এমনকী এরা রাষ্ট্রপতিকে অপমান করতেও ছাড়ছে না ৷ অখিল গিরি রাষ্ট্রপতিকে অপমান করেছেন ৷ তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে ৷ অথচ তিনি বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ৷ এখনও তাঁকে গ্রেফতার কিংবা মন্ত্রীসভা থেকে বরখাস্ত করা হয়নি ৷ আদিবাসীদের অপমান করার অধিকার অখিল গিরিকে কে দিয়েছে?"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.