মালদা, 20 ডিসেম্বর : এক বাংলাদেশি পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ । তার কাছ থেকে একটি ভারতের আধার কার্ডও উদ্ধার করা হয়েছে ৷ তার সঙ্গে আরও একজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে । হবিবপুর ব্লকের আইহো গ্রাম পঞ্চায়েতের চ্যাঁচাইচণ্ডী গ্রাম থেকে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয় ৷ মালদা জেলা আদালতে তোলা হলে দু’জনকেই পাঁচদিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য দায়রা বিচারক ৷
ধৃত বাংলাদেশির নাম ফারুক শেখ ৷ সে সীমান্ত চোরাপাচারে জড়িত ৷ গতকাল রাতে খবর আসে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার ভিতরে চ্যাঁচাইচণ্ডী গ্রামের বাসিন্দা জয়দেব মাহাত-র বাড়িতে অপরিচিত এক ব্যক্তি আশ্রয় নিয়েছে ৷ সেই খবর পেয়ে রাতেই জয়দেবের বাড়িতে তল্লাশি চালায় হবিবপুর থানার পুলিশ ৷ পুলিশ অপরিচিত ওই ব্যক্তিকে জেরা শুরু করলে সে একটি আধার কার্ড বের করে ৷ তাতে কালিয়াচকের ঠিকানা ছিল ৷ ওই ব্যক্তির দাবি, আধার কার্ডটি তার ৷ কিন্তু কার্ড দেখে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ সেখান থেকেই কালিয়াচকের ওই ঠিকানায় যোগাযোগ করে ৷ জানা যায়, কার্ডে যার নাম ও ঠিকানা লেখা রয়েছে, সেই ব্যক্তি সেখানে থাকে না ৷ তাকে কেউ চেনেও না ৷ তখনই পুলিশ বুঝতে পারে, কার্ডটি জাল ৷ এরপরেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয় ৷ গ্রেপ্তার করা হয় তার আশ্রয়দাতা জয়দেব মাহাতকেও ৷ জেরার মুখে শেষ পর্যন্ত ফারুক শেখ স্বীকার করেন, তার বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার বালুগ্রামে ৷
আরও পড়ুন , ইংরেজবাজারে 20 কেজির বেশি গাঁজা সহ ধৃত মাদক পাচারকারী
হবিবপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, ওই বাংলাদেশি কীভাবে ভারতীয় আধার কার্ড সংগ্রহ করল, কী উদ্দেশে সে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল , তার সঙ্গে জয়দেবের সম্পর্ক কী, এসব জানার জন্য দু’জনকেই সাতদিনের পুলিশি হেপাজতে চেয়ে আজ জেলা আদালতে পেশ করা হয় ৷ তাদের জেরা করে জাল আধার কার্ড তৈরির চক্রেরও খোঁজ চালানো হবে ৷ তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, মহানন্দা পেরিয়েই এই বাংলাদেশি ভারতে এসেছিল ৷ তারপর সে জয়দেবের বাড়িতে ঘাঁটি গেড়েছিল ৷