মালদা, 15 জুন : অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের দায়ে ধৃত চিনা নাগরিক হান জুনেইকে নিয়ে ক্রমশই রহস্য বাড়ছে ৷ এখনও পর্যন্ত 36 বছর বয়সী এই চিনাকে নিয়ে যে সমস্ত তথ্য মিলেছে তা ভাবিয়ে তুলেছে পুলিশকে ৷ তবে এখনও পুলিশ তার ল্যাপটপ ও আইফোন থেকে কোনও তথ্য বের করতে পারেনি ৷ কারণ তার ল্যাপটপ ও আইফোনের পাসওয়ার্ড রয়েছে ম্যান্ডারিন ভাষায় ৷ কীভাবে এই চিনা বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ পেতে ইতিমধ্যে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেছে পুলিশ ৷ আগামী 18 জুন তাকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চলেছে লখনউ এসটিএফ (Lucknow STF) ৷
গত 10 জুন সকালে এদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে কালিয়াচক 1 নম্বর ব্লকের আকন্দবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মিলিক সুলতানপুর গ্রাম থেকে হান জুনেইকে গ্রেফতার করে বিএসএফ ৷ বাড়ি চিনের হুবেই প্রদেশে ৷ তার কাছ থেকে একটি দামি ল্যাপটপ, দু'টি আইফোন, একটি বাংলাদেশি সিমকার্ড, একটি ভারতীয় সিমকার্ড, দু'টি চিনা সিমকার্ড, একটি পেনড্রাইভ, মানি ট্র্যানজাকশন মেশিন, দু'টি মাস্টারকার্ড, মার্কিন ডলার-সহ বেশ ভালো পরিমাণে বাংলাদেশি ও ভারতীয় টাকা উদ্ধার করা হয় ৷ বিএসএফের তরফে তাকে তুলে দেওয়া হয় কালিয়াচক থানার পুলিশের হাতে ৷ জেলা আদালতের অনুমতিক্রমে আগামী 18 তারিখ পর্যন্ত তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে কালিয়াচক থানার পুলিশ ৷ ইতিমধ্যে জেলা পুলিশ সুপার-সহ একাধিক আইপিএস পদমর্যাদার অফিসার তাকে বিভিন্ন সময়ে জেরা করেছেন ৷ বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার সোনা মসজিদ এলাকা থেকে সে কীভাবে এদেশে প্রবেশ করেছিল, তা জানতে গতকাল ফের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয় ৷
ধৃত হান ইংরেজিতে পারদর্শী ৷ সে চিনের চুন শি গং চেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতক ৷ এই বিশ্ববিদ্যালয়টি আবার চিনের সেনাবাহিনী পরিচালনা করে ৷ এটাই ভাবাচ্ছে পুলিশকে ৷ চিনে সাধারণত ইংরেজি ভাষায় ব্যবহার হয় না ৷ এমনকি বাইরে থেকে যাওয়া পর্যটকদের সঙ্গেও চিনারা ইংরেজিতে কথা বলতে চান না ৷ সেখানে হানের ইংরেজি শিক্ষা সন্দেহজনক বলে মনে করছে পুলিশ ৷ তবে কি চরবৃত্তির জন্যই তার ইংরেজি শিক্ষা ? ভাবছে পুলিশও ৷
আগামী 18 জুনই হানকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় লখনউ এসটিএফ ৷ কারণ নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণে এর আগে তার ব্যবসার অংশীদার সান জিয়াংকে লখনউ এসটিএফ গ্রেফাতার করে ৷ হানের বিরুদ্ধেও মামলা রুজু হয় ৷ ফলে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে হানকে জেরা করতে চায় তারা ৷
আরও পড়ুন : ইন্দো-বাংলা সীমান্তে ধৃত চিনা নাগরিকের ছ’দিনের পুলিশি হেফাজত