মালদা, 13 ডিসেম্বর: মালদা জুড়ে তোলাবাজির অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে ৷ তাই পুলিশি জুলুম থেকে বাঁচতে রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে সংগঠন তৈরি করেছেন ট্রাক মালিকরা ৷ ট্রাক মালিকদের অভিযোগ, টাকা না দিলে রাস্তায় নো-এন্ট্রি করে দেওয়া হয় ৷ আর টাকা দিলে যাতায়াতে বাধা নেই ৷ শুধু তাই নয়, টাকা দিতে রাজি না হলে, মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে ৷
পুলিশের বিরুদ্ধে এর আগেও তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে ৷ তোলাবাজি থেকে রেহাই পেতে রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে সংগঠন তৈরি করেছেন পাঁচশোর বেশি ট্রাক মালিকরা ৷ আজ দুপুরে মালদা বিমানবন্দর চত্বরে মালদা ট্রাক ইউনিয়ন অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সভা করা হয় ৷ কীভাবে তোলাবাজির হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন সংগঠনের সদস্যরা ৷
ট্রাক সংগঠনের সভাপতি রাজকুমার সাহা বলেন, “আমাদের সমস্ত গাড়ি বালি ও পথর বোঝাই করে। সমস্ত নথিপত্র সঠিক থাকা সত্ত্বেও আমাদের পুলিশকে টাকা দিতে হয়। বাধাপুকুর মোড় অর্থাৎ মালদা শহরে ঢোকার রাস্তায় 600 টাকা, কালিয়াচকে 200 টাকা, মোথাবাড়িতে 200 টাকা, গীতা মোড়ে 50 টাকা, রতুয়ায় 400 টাকা এবং ভালুকায় দেড় হাজার টাকা দিতে হয় ৷ অথচ পুলিশ আমাদের কোনও রশিদ দেয় না। টাকা দিলে কোনও নো-এন্ট্রি থাকে না । টাকা না দিলে নো-এন্ট্রির নামে সারাদিন গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা হয় ৷ তাতেও রাজি না হলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। প্রতিটি থানা এলাকাতে যদি আমাদের এভাবে টাকা দিতে হয়, তবে আমরা ব্যবসা করব কীভাবে ?”
সংগঠনের সহ সভাপতি মহম্মদ হুমায়ুন বলেন, “দিনের পর দিন আমাদের যেভাবে রাস্তায় হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে তার প্রতিবাদে আমরা একত্রিত হয়ে লড়াইয়ে নেমেছি ৷ বালি-পাথর নিয়ে আসতে গিয়ে আমাদের বিনা রশিদে পুলিশকে টাকা দিতে হচ্ছে। সকাল আটটা থেকে রাত নটা পর্যন্ত প্রতিটি রুটে নো-এন্ট্রি করা হয়েছে। টাকা না দিতে গাড়ি যেতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ টাকা দিলেই নো-এন্ট্রি থাকছে না ৷ আমরা চাইছি দিনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে আমাদের যাতায়াত করতে দেওয়া হোক। এনিয়ে আমরা সমস্ত ট্রাক মালিক একত্রিত হয়ে সংগঠন তৈরি করেছি। আমরা বিষয়টি নিয়ে পুলিশসুপার, জেলাশাসক সহ নানা আধিকারিকের দ্বারস্থ হতে চলেছি।”
আরও পড়ুন: