ETV Bharat / state

Bilaimari Gram Panchayat: সাড়ে 13 কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তৃণমূল পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে - Allegation of embezzlement

পঞ্চায়েত দফতরে কাজ চলছে স্বাভাবিকভাবেই । নিজেদের কাজ করে চলেছেন কর্মীরা । আছেন ক’জন জনপ্রতিনিধিও । দফতর চত্বরের এক কোনে ডাঁই করে রাখা আছে 2017-18 অর্থবর্ষের 100 দিনের কাজ প্রকল্পের অসংখ্য বোর্ড । সেসব পঞ্চায়েত চত্বরে কেন? খোঁজ নিতেই চক্ষু চড়কগাছ (Allegation of embezzlement) ।

Bilaimari Gram Panchayat
টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তৃণমূল পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে
author img

By

Published : Jul 19, 2022, 10:16 PM IST

মালদা, 19 জুলাই: মনরেগা প্রকল্পে শুধু ওই আর্থিক বর্ষেই দুর্নীতির পরিমাণ নাকি সাড়ে তেরো কোটি টাকার বেশি । শুধু গ্রামবাসীরা নয়, এই অভিযোগ এলাকার শিক্ষক মহল থেকে শুরু করে খোদ উপপ্রধানের (Allegation of embezzlement) । এনিয়ে তাঁরা অভিযোগ দায়ের করেছেন ডিভিশনাল কমিশনারের কাছে । শুরু হয়েছে দুর্নীতির প্রশাসনিক তদন্ত ।

এবারের ঘটনা রতুয়া 1 নম্বর ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত বিলাইমারি গ্রাম পঞ্চায়েতে । অভিযোগ, 2017-18 অর্থবর্ষে মনরেগা প্রকল্পে (NREGA Project) এই পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় 400টি স্কিম পাস হয়েছিল । কিন্তু একটি স্কিমেরও কাজ হয়নি । শুধু বোর্ড বানিয়ে কোনও গোপন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ছবি তোলা হয়েছে । সেই বোর্ড ফের পঞ্চায়েত দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । আর ওই ছবি জমা করে তুলে নেওয়া হয়েছে সাড়ে তেরো কোটি টাকার বেশি ।

আরও পড়ুন : পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দলেরই একাংশের, প্রকাশ্যে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব

ওই পঞ্চায়েতের আজিজটোলার বাসিন্দা জেসারত আলি বলেন, "এখানে 400টির বেশি স্কিমে সাড়ে তেরো কোটি টাকার বেশি অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল । কোনও স্কিমের কাজ না করে সম্পূর্ণ টাকা প্রধান, নির্মাণ সহায়ক-সহ অন্যান্য পঞ্চায়েত কর্মীরা তুলে নিয়েছেন । এসব স্কিমের কথা গ্রামবাসীদেরও জানানো হয়নি । গরিব মানুষকে বঞ্চিত করা হয়েছে । বিষয়টি জানতে পেরে গ্রামবাসীরা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন । আমরা চাই, এই ঘটনার প্রশাসনিক তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা করা হোক ।" একই বক্তব্য ওই গ্রামের সাদ্দাম, দেওনলা গ্রামের মণিরুল ইসলাম, জাহিদটোলার সুকুরুদ্দিন-সহ আরও অনেকের ।

শুধু গ্রামবাসীরাই নয়, এনিয়ে অভিযোগ রয়েছে শিক্ষক মহলেরও । আইনুদ্দিন আজিজটোলা প্রাইমারি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহম্মদ ফারুক আজম বলছেন, সম্প্রতি শুনেছি, স্কুলে গাছ লাগানোর জন্য নাকি স্কিম ধরা হয়েছিল । কিন্তু এখনও পর্যন্ত একটি গাছও লাগানো হয়নি । স্কিমের টাকা কী হয়েছে, তা পঞ্চায়েত বলতে পারবে । বিলাইমারি ম্যানেজড প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক টিংকু মণ্ডলের বক্তব্য, 2010 সাল থেকে এই স্কুলে শিক্ষকতা করছি । তখন থেকে স্কুলে কোনও গাছ লাগানো হয়নি । কী হয়েছে তা পঞ্চায়েত বলতে পারবে ।

টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তৃণমূল পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে

আরও পড়ুন : দলীয় পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, প্রাণনাশের আশঙ্কায় তৃণমূল নেতা

এ তো গেল সাধারণ মানুষের কথা । কী বলছেন খোদ উপপ্রধান সেন্টু আলম । তিনি জানান, 2017-18 বর্ষে নরেগা প্রকল্পে 400টি স্কিমের মধ্যে একটিতেও কাজ হয়নি । এসব স্কিমের কথা আমাকেও জানানো হয়নি । 400 স্কিমের প্রায় 13 কোটি টাকা প্রধান ও পঞ্চায়েতের কিছু কর্মী তুলে নিয়েছে । শুধু কি তাই, আমার স্ত্রীর নামে হর্টিকালচারের একটি স্কিম মঞ্জুর হয়েছিল । সেই টাকাও ওরা খেয়ে নিয়েছে । গরিব মানুষের জবকার্ট জমা রেখে টাকা তুলে নিচ্ছে । আমি এসবের সঙ্গে জড়িত নেই বলে পঞ্চায়েতে আমার একটি চেয়ারও নেই । এই ঘটনার তদন্ত হোক, দোষীদের শাস্তি হোক ।

সবই নাকি বিরোধীদের চক্রান্ত । গ্রামবাসীদের সবাই নাকি বিরোধী । তেমনই দাবি প্রধান লুৎফর রহমানের । তাঁর দাবি, আমরা কাজ করেছি । সবাই মিথ্যে বলছে । আমরা দুর্নীতি করিনি । মানুষকে ভুল বোঝাতে অভিযোগ করা হয়েছে ।

মালদা, 19 জুলাই: মনরেগা প্রকল্পে শুধু ওই আর্থিক বর্ষেই দুর্নীতির পরিমাণ নাকি সাড়ে তেরো কোটি টাকার বেশি । শুধু গ্রামবাসীরা নয়, এই অভিযোগ এলাকার শিক্ষক মহল থেকে শুরু করে খোদ উপপ্রধানের (Allegation of embezzlement) । এনিয়ে তাঁরা অভিযোগ দায়ের করেছেন ডিভিশনাল কমিশনারের কাছে । শুরু হয়েছে দুর্নীতির প্রশাসনিক তদন্ত ।

এবারের ঘটনা রতুয়া 1 নম্বর ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত বিলাইমারি গ্রাম পঞ্চায়েতে । অভিযোগ, 2017-18 অর্থবর্ষে মনরেগা প্রকল্পে (NREGA Project) এই পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় 400টি স্কিম পাস হয়েছিল । কিন্তু একটি স্কিমেরও কাজ হয়নি । শুধু বোর্ড বানিয়ে কোনও গোপন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ছবি তোলা হয়েছে । সেই বোর্ড ফের পঞ্চায়েত দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । আর ওই ছবি জমা করে তুলে নেওয়া হয়েছে সাড়ে তেরো কোটি টাকার বেশি ।

আরও পড়ুন : পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দলেরই একাংশের, প্রকাশ্যে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব

ওই পঞ্চায়েতের আজিজটোলার বাসিন্দা জেসারত আলি বলেন, "এখানে 400টির বেশি স্কিমে সাড়ে তেরো কোটি টাকার বেশি অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল । কোনও স্কিমের কাজ না করে সম্পূর্ণ টাকা প্রধান, নির্মাণ সহায়ক-সহ অন্যান্য পঞ্চায়েত কর্মীরা তুলে নিয়েছেন । এসব স্কিমের কথা গ্রামবাসীদেরও জানানো হয়নি । গরিব মানুষকে বঞ্চিত করা হয়েছে । বিষয়টি জানতে পেরে গ্রামবাসীরা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন । আমরা চাই, এই ঘটনার প্রশাসনিক তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা করা হোক ।" একই বক্তব্য ওই গ্রামের সাদ্দাম, দেওনলা গ্রামের মণিরুল ইসলাম, জাহিদটোলার সুকুরুদ্দিন-সহ আরও অনেকের ।

শুধু গ্রামবাসীরাই নয়, এনিয়ে অভিযোগ রয়েছে শিক্ষক মহলেরও । আইনুদ্দিন আজিজটোলা প্রাইমারি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহম্মদ ফারুক আজম বলছেন, সম্প্রতি শুনেছি, স্কুলে গাছ লাগানোর জন্য নাকি স্কিম ধরা হয়েছিল । কিন্তু এখনও পর্যন্ত একটি গাছও লাগানো হয়নি । স্কিমের টাকা কী হয়েছে, তা পঞ্চায়েত বলতে পারবে । বিলাইমারি ম্যানেজড প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক টিংকু মণ্ডলের বক্তব্য, 2010 সাল থেকে এই স্কুলে শিক্ষকতা করছি । তখন থেকে স্কুলে কোনও গাছ লাগানো হয়নি । কী হয়েছে তা পঞ্চায়েত বলতে পারবে ।

টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তৃণমূল পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে

আরও পড়ুন : দলীয় পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, প্রাণনাশের আশঙ্কায় তৃণমূল নেতা

এ তো গেল সাধারণ মানুষের কথা । কী বলছেন খোদ উপপ্রধান সেন্টু আলম । তিনি জানান, 2017-18 বর্ষে নরেগা প্রকল্পে 400টি স্কিমের মধ্যে একটিতেও কাজ হয়নি । এসব স্কিমের কথা আমাকেও জানানো হয়নি । 400 স্কিমের প্রায় 13 কোটি টাকা প্রধান ও পঞ্চায়েতের কিছু কর্মী তুলে নিয়েছে । শুধু কি তাই, আমার স্ত্রীর নামে হর্টিকালচারের একটি স্কিম মঞ্জুর হয়েছিল । সেই টাকাও ওরা খেয়ে নিয়েছে । গরিব মানুষের জবকার্ট জমা রেখে টাকা তুলে নিচ্ছে । আমি এসবের সঙ্গে জড়িত নেই বলে পঞ্চায়েতে আমার একটি চেয়ারও নেই । এই ঘটনার তদন্ত হোক, দোষীদের শাস্তি হোক ।

সবই নাকি বিরোধীদের চক্রান্ত । গ্রামবাসীদের সবাই নাকি বিরোধী । তেমনই দাবি প্রধান লুৎফর রহমানের । তাঁর দাবি, আমরা কাজ করেছি । সবাই মিথ্যে বলছে । আমরা দুর্নীতি করিনি । মানুষকে ভুল বোঝাতে অভিযোগ করা হয়েছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.