মালদা, 8 মে : জনাদেশে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের মসনদে তৃণমূল ৷ রাজ্য দখলের পর ফের ঘাসফুলের নজর ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের দিকে ৷ বিধানসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে মালদা জেলায় তৃণমূলের প্রথম সাফল্য বামনগোলা পঞ্চায়েত সমিতি ৷ গেরুয়া শিবিরের ঘর ভাঙিয়ে চার সদস্যকে নিয়ে এসে ওই পঞ্চায়েত সমিতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ঘাসফুল ৷ যদিও সরকারিভাবে এখনও সেখানে অনাস্থা আনেনি তৃণমূল ৷ তার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর হেমন্ত শর্মা ৷
আরও পড়ুন : পুরুলিয়ায় BJP পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত দখল তৃণমূলের
হেমন্ত শর্মা জানিয়েছেন, শুধু বামনগোলা পঞ্চায়েত সমিতি নয় ৷ ওই পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে থাকা চাঁদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তারা দ্রুত অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করবে ৷ যদিও ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে কোনও অনাস্থাই কার্যকর হওয়া অসম্ভব ৷ সেই কারণেই তৃণমূলের দখলে থাকা মদনাবতী গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির আনা অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটাভুটি করা সম্ভব কার্যকর করা যায়নি ৷ উল্লেখ্য, 2018-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে 18 আসনবিশিষ্ট বামনগোলা পঞ্চায়েত সমিতিতে বিজেপি 10টি ও তৃণমূল আটটি আসন দখল করে৷ ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে ওই পঞ্চায়েত সমিতি দখল করে গেরুয়া শিবির ৷ কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরই এই পঞ্চায়েত সমিতির চার বিজেপি সদস্য তৃণমূলের পথে পা বাড়ান ৷ গতকাল রাতে তাঁরা ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন ৷ তাঁরা হলেন আন্না রায়, সঞ্জিত মণ্ডল, পারুল কুজুর ও সুমিত্রা রায় ৷ প্রত্যেকেই পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ৷ আন্না রায় আবার বিজেপি মহিলা মোর্চার জেলা সহ সভানেত্রী ৷ তাঁদের হাতে ঘাসফুলের ঝান্ডা তুলে দেন তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর হেমন্ত শর্মা ৷