ETV Bharat / state

স্ত্রীর মর্যাদা পেতে থানায় অভিযোগ তরুণীর, অভিযুক্ত হাইকোর্টের দ্বারস্থ - accused

জোর করে সামিউলকে বিয়ে করতে বাধ্য করেছিল মেয়েটি ও তার পরিবার । ঘটনা 2013 সালের । বিয়েটা বৈধ কি না সেটা নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে । এতদিন পর সেই মেয়ে স্ত্রীর মর্যাদা দাবি করে মালদার রতুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ।

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : May 29, 2019, 11:39 PM IST

কলকাতা, 29 মে : মালদার বাসিন্দা মহম্মদ সামিউল আখতার । MBBS পাশ করে বর্তমানে মেডিসিনে MD করছেন । থাকেন কলকাতায় । চলতি মাসে মালদা থানার সাব ইনস্পেকটর বিশ্বজিৎ গুহ ফোন করে সামিউলকে জানান যে, তার নামে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে । একজন মহিলা নিজেকে তার স্ত্রী বলে দাবি করেছেন । সমিউলকে আরও জানানো হয় যে, বধূ নির্যাতনের মামলা দায়ের করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে ।

এর প্রেক্ষিতে সামিউল পুলিশকে জানায়, সে এখন পোস্ট গ্রাজুয়েট কোর্স করতে ব্যস্ত । ওই মহিলা যে অভিযোগ করেছে সেটা তাকে স্পষ্ট করে জানানো হোক । পুলিশ আধিকারিক জানান যে, মালদার পুলিশ সুপার নির্দেশ দিয়েছেন সমিউল ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে । তাই তিনি এই বিষয়ে কোনও নথি দিতে সমিউলকে বাধ্য নন ।

এরপর 22 মে সামিউল মালদার পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগের নথিপত্র চান । কিন্ত পুলিশ সুপার সামিউলকে কোনও নথি দেননি । বাধ্য হয়ে গতকাল সামিউল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন । বিচারপতি প্রতীক প্রকাশ ব্যানার্জি বিষয়টি শোনার পর নির্দেশ দেন, "আগামী 15 দিনের মধ্যে কী অভিযোগ সেটা জানাতে হবে । ইতিমধ্যে কোনও কঠোর পদক্ষেপ (গ্রেপ্তার) করা যাবে না সামিউলের বিরুদ্ধে ।"

সামিউলের আইনজীবী ইব্রাহিম শেখ বলেন, "জোর করে সামিউলকে বিয়ে করতে বাধ্য করেছিল মেয়েটি ও তার পরিবার । ঘটনা 2013 সালের । বিয়েটা বৈধ কি না সেটা নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে । এতদিন পর সেই মেয়ে স্ত্রীর মর্যাদা দাবি করে মালদার রতুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে । সামিউল যখন মেডিকেলের ছাত্র তখন বহরমপুর স্টেশন থেকে ট্রেনে কলকাতায় আসত । মেয়েটি তখন বহরমপুর কলেজে পড়ত । সেই সূত্রেই পরিচয় । একসাথে ঘোরাঘুরি করত । একদিন মেয়েটি ওকে তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বলে বিয়ে করতে হবে । না হলে সে আত্মহত্যা করবে । সেই দিনই সামিউলকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয় । তার পরদিনই সামিউল কলকাতায় চলে আসে । সামিউল মেয়েটির বাবাকে পর্যন্ত চিনত না । এখন সেই মেয়েটি স্ত্রীর মর্যাদা চাইছে।"

কলকাতা, 29 মে : মালদার বাসিন্দা মহম্মদ সামিউল আখতার । MBBS পাশ করে বর্তমানে মেডিসিনে MD করছেন । থাকেন কলকাতায় । চলতি মাসে মালদা থানার সাব ইনস্পেকটর বিশ্বজিৎ গুহ ফোন করে সামিউলকে জানান যে, তার নামে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে । একজন মহিলা নিজেকে তার স্ত্রী বলে দাবি করেছেন । সমিউলকে আরও জানানো হয় যে, বধূ নির্যাতনের মামলা দায়ের করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে ।

এর প্রেক্ষিতে সামিউল পুলিশকে জানায়, সে এখন পোস্ট গ্রাজুয়েট কোর্স করতে ব্যস্ত । ওই মহিলা যে অভিযোগ করেছে সেটা তাকে স্পষ্ট করে জানানো হোক । পুলিশ আধিকারিক জানান যে, মালদার পুলিশ সুপার নির্দেশ দিয়েছেন সমিউল ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে । তাই তিনি এই বিষয়ে কোনও নথি দিতে সমিউলকে বাধ্য নন ।

এরপর 22 মে সামিউল মালদার পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগের নথিপত্র চান । কিন্ত পুলিশ সুপার সামিউলকে কোনও নথি দেননি । বাধ্য হয়ে গতকাল সামিউল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন । বিচারপতি প্রতীক প্রকাশ ব্যানার্জি বিষয়টি শোনার পর নির্দেশ দেন, "আগামী 15 দিনের মধ্যে কী অভিযোগ সেটা জানাতে হবে । ইতিমধ্যে কোনও কঠোর পদক্ষেপ (গ্রেপ্তার) করা যাবে না সামিউলের বিরুদ্ধে ।"

সামিউলের আইনজীবী ইব্রাহিম শেখ বলেন, "জোর করে সামিউলকে বিয়ে করতে বাধ্য করেছিল মেয়েটি ও তার পরিবার । ঘটনা 2013 সালের । বিয়েটা বৈধ কি না সেটা নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে । এতদিন পর সেই মেয়ে স্ত্রীর মর্যাদা দাবি করে মালদার রতুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে । সামিউল যখন মেডিকেলের ছাত্র তখন বহরমপুর স্টেশন থেকে ট্রেনে কলকাতায় আসত । মেয়েটি তখন বহরমপুর কলেজে পড়ত । সেই সূত্রেই পরিচয় । একসাথে ঘোরাঘুরি করত । একদিন মেয়েটি ওকে তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বলে বিয়ে করতে হবে । না হলে সে আত্মহত্যা করবে । সেই দিনই সামিউলকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয় । তার পরদিনই সামিউল কলকাতায় চলে আসে । সামিউল মেয়েটির বাবাকে পর্যন্ত চিনত না । এখন সেই মেয়েটি স্ত্রীর মর্যাদা চাইছে।"

Intro:স্ত্রীর মর্জাদা পেতে থানায় গিয়ে অভিযোগ জানালেন তরুনী। হাইকোর্টের দ্বা রস্থ তরুন।Body:মানস নস্কর---

স্ত্রীর মর্যাদা
দাবি করে থানার দ্বারস্থ কন্যা --ছেলে বলছে বিয়েই হয়নি

কলকাতা ২৯ মেঃ
মালদার বাসিন্দা মহঃসামিউল আখতার। এমবিবিএস পাশ করে বর্তমানে মেডিসিনে এমডি করছেন।থাকেন কলকাতায়।চলতি মাসে হটাৎ করে মালদা থানার সাব ইনস্পেকটর বিশ্বজিৎ গুহ ফোন করে বলেন তোমার নামে থানায় অভিযোগ আছে।একজন মহিলা তোমার স্ত্রী হিসাবে দাবি করছে। এবং বধু নির্জাতনের মামলা করেছেন।সামিউল বার বার জানায় সে এখন পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেনিং এর কাজে ব্যাস্ত। অভিযোগকারীর যে অভিযোগ সেটা তাকে পরিস্কার করে জানানো হোক।কিন্ত ঐ পুলিশ আধিকারিক জানান বিষয়টা মালদার পুলিশ সুপার নির্দেশ দিয়েছেন আপনার ও আপনার পরিবারের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে। তাই তিনি এ বিষয়ে কোন নথি দিতে বাধ্য নন।উপায়ন্তর না দেখে গত ২২/০৫/১৯ তারিখে সামিউল মালদার পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করে নথিপত্র দেওয়ার আবেদন জানান। কিন্ত তিনি কোন নথি দেননি।বাধ্য হয়ে গতকাল তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।বিচারপতি প্রতীক প্রকাশ ব্যানার্জি বিষয়টি শোনার পর নির্দেশ দেন,"আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কি অভিযোগ সেটা জানাতে হবে। ইতিমধ্যে কোন কঠোর পদক্ষেপ (গ্রেপ্তার) করা যাবেনা সামিউলকে।"


মুল বিষয়টি কি?এ ব্যাপারে সামিউল আখতারের আইনজীবী ইব্রাহিম শেখ জানালেন,
জোর করে বিয়ে করতে বাধ্য করেছিল মেয়েটি ও তার পরিবার। ঘটনা ২০১৩ সালের।বিয়েটা বৈধ কিনা সেটা নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে। তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল প্রবাহিত হয়েছে। এতদিন পর সেই মেয়ে এবার স্ত্রীর মরজাদা দাবি করে মালদার রতুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন চলতি মাসে।এখন সামিউলের ডাক্তারির পাঠ প্রায় শেষের দিকে।এতদিন পর এখন স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবি জানাচ্ছে।সামিউল যখন মেডিকেলের ছাত্র তখন বহরমপুর স্টেশন থেকে ট্রেনে কলকাতায় আসতো। মেয়েটি তখন বহরমপুর কলেজে পড়তো সেই সুত্রে আলাপ পরিচয়।একসাথে ঘোরাঘুরি করতো।একদিন মেয়েটি ওকে তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বলে বিয়ে করতে হবে। নাহলে সে আত্মহত্যা করবে।সেই দিনই কাউকে না জানিয়ে বিয়ে করতে বাধ্য হয় সে। তার পরদিনই সামিউল কলকাতায় চলে আসে।এমনকি সে মেয়েটির বাবাকে পর্যন্ত চিনতো না।এখন তারাই মেয়েটির স্ত্রীর মর্জাদা চাইছে।"Conclusion:

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.