কলকাতা, 29 মে : মালদার বাসিন্দা মহম্মদ সামিউল আখতার । MBBS পাশ করে বর্তমানে মেডিসিনে MD করছেন । থাকেন কলকাতায় । চলতি মাসে মালদা থানার সাব ইনস্পেকটর বিশ্বজিৎ গুহ ফোন করে সামিউলকে জানান যে, তার নামে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে । একজন মহিলা নিজেকে তার স্ত্রী বলে দাবি করেছেন । সমিউলকে আরও জানানো হয় যে, বধূ নির্যাতনের মামলা দায়ের করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে ।
এর প্রেক্ষিতে সামিউল পুলিশকে জানায়, সে এখন পোস্ট গ্রাজুয়েট কোর্স করতে ব্যস্ত । ওই মহিলা যে অভিযোগ করেছে সেটা তাকে স্পষ্ট করে জানানো হোক । পুলিশ আধিকারিক জানান যে, মালদার পুলিশ সুপার নির্দেশ দিয়েছেন সমিউল ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে । তাই তিনি এই বিষয়ে কোনও নথি দিতে সমিউলকে বাধ্য নন ।
এরপর 22 মে সামিউল মালদার পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগের নথিপত্র চান । কিন্ত পুলিশ সুপার সামিউলকে কোনও নথি দেননি । বাধ্য হয়ে গতকাল সামিউল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন । বিচারপতি প্রতীক প্রকাশ ব্যানার্জি বিষয়টি শোনার পর নির্দেশ দেন, "আগামী 15 দিনের মধ্যে কী অভিযোগ সেটা জানাতে হবে । ইতিমধ্যে কোনও কঠোর পদক্ষেপ (গ্রেপ্তার) করা যাবে না সামিউলের বিরুদ্ধে ।"
সামিউলের আইনজীবী ইব্রাহিম শেখ বলেন, "জোর করে সামিউলকে বিয়ে করতে বাধ্য করেছিল মেয়েটি ও তার পরিবার । ঘটনা 2013 সালের । বিয়েটা বৈধ কি না সেটা নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে । এতদিন পর সেই মেয়ে স্ত্রীর মর্যাদা দাবি করে মালদার রতুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে । সামিউল যখন মেডিকেলের ছাত্র তখন বহরমপুর স্টেশন থেকে ট্রেনে কলকাতায় আসত । মেয়েটি তখন বহরমপুর কলেজে পড়ত । সেই সূত্রেই পরিচয় । একসাথে ঘোরাঘুরি করত । একদিন মেয়েটি ওকে তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বলে বিয়ে করতে হবে । না হলে সে আত্মহত্যা করবে । সেই দিনই সামিউলকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয় । তার পরদিনই সামিউল কলকাতায় চলে আসে । সামিউল মেয়েটির বাবাকে পর্যন্ত চিনত না । এখন সেই মেয়েটি স্ত্রীর মর্যাদা চাইছে।"