কলকাতা, 31 অক্টোবর : আবার ফাটল তুবড়ি । তুবড়ির খোলের আঘাতে গুরুতর জখম হলেন এক ব্যক্তি । তুবড়ি ফেটে চারটে আঙুল খোয়াল অন্য এক কিশোর । ভাইফোঁটার রাতের এই ঘটনা কালীঘাট এলাকার । জখম দুজনের চিকিৎসা চলছে SSKM হাসপাতালে ।
পুলিশ সূত্রে খবর, কালীঘাট রোডের বাসিন্দা বাবুসোনা নায়েক হাতে করে পোড়াতে গিয়েছিল তুবড়ি । বছর ষোলোর ওই কিশোরের উদ্যমতা কাল হল । হাতেই ফেটে যায় তুবড়ি । গুরুতর আহত হয় সে । রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় SSKM হাসপাতালে । তখন ফেটে গেছে তার হাত । আঙুলের কয়েকটি অংশ নেই । চিকিৎসকরা তার চারটি আঙুল বাদ দিতে বাধ্য হন ।
অন্যদিকে, গতরাতেই ময়ূরভঞ্জ রোডের ভবতোষ রায় চৌধুরি সাইকেল নিয়ে কালীঘাট থানা এলাকার সদানন্দ রোড দিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময় ওই এলাকায় চলছিল বাজি পোড়ানো । হঠাৎই একটি তুরড়ি ফেটে খোল এসে মাথায় লাগে ভবতোষবাবুর । সেখানেই লুটিয়ে পড়েন তিনি ৷ মাথা দিয়ে তখন তাঁর প্রবল রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে । দ্রুত তাঁকে নিয়ে যাওয়া SSKM হাসপাতালে । সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।
কালীপুজোর রাতে বেহালার শীলপাড়ার বছর পাঁচেকের আদি দাস ঠাকুরমার হাত ধরে রাস্তায় হাটছিল । বাজি পোড়ানোর জেরে দৃশ্যমানতা কম ছিল ওই এলাকায় । হঠাৎই তীব্র গতিতে তুবড়ির খোল এসে বেঁধে আদির গলায় । ঠাকুরমার গায়ে ঢলে পরে সে । গলা দিয়ে ফিনকি দিয়ে ওঠে রক্তস্রোত । তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বিদ্যাসাগর হাসপাতালে । সেখানেই মৃত্যু হয় তার । ঘটনার কথা শুনে মুখ্যমন্ত্রী ফোন করেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাকে । বিষয়টি আসলে কী তা জানতে চান । তারপরই পুলিশ কমিশনার ছুটে যান বিদ্যাসাগর হাসপাতালে । অন্যদিকে কসবার উত্তরপাড়ায় নিজেই তুবড়ি পোড়াচ্ছিলেন দীপ কুমার কোলে । বয়স 40 । সেখানেও একটি তুবড়ি ফেটে যায় । খোল গিয়ে বেঁধে গলায় । দ্রুত শিশুমঙ্গল হাসপাতালে নিয়ে গেলেও, কোনও সদর্থক ফল মেলেনি । সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । দীপবাবুর দুই ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং । তার বাড়িতে যান মেয়র ফিরহাদ হাকিম । একইভাবে যদি গতরাতে তুবড়ির খোল ভবতোষবাবুর গলায় বিঁধত তবে বড়সড় ঘটনা ঘটতে পারত বলে মনে করা হচ্ছে । একের পর এক তুবড়ির খোল ফাটার ঘটনায় বাজি প্রস্তুত নিয়েই প্রশ্ন উঠছে সকলের মনে ৷