কলকাতা, 21 ফেব্রুয়ারি : গাড়ির দরজার ফাঁকে ইয়াবা ভরে পাচারের চেষ্টা ৷ ঘটনায় গ্রেপ্তার 3 ৷ উদ্ধার প্রায় আড়াই কোটি টাকারও বেশি মূল্যের ইয়াবা ট্যাবলেট ৷ ধৃতদের নাম আতাউর রহমান (33) , হানিফ শেখ (34) , সৈয়দ আমির হোসেন (25) ৷ আজ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কলকাতা স্পেশাল টাস্ক ফোর্স তল্লাশি চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে ৷
মাদক পাচারের এক অভিনব পদ্ধতি ৷ গোয়েন্দাদের মতে, প্রশিক্ষিত মেকানিক ছাড়া এই কাজ সম্ভব নয় ৷ গাড়ির ফাঁপা অংশে থরে থরে ইয়াবা ট্যাবলেট সাজিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল উপর থেকে ৷ সামনে থেকে দেখলে বোঝার কোনও উপায় নেই ৷ ধোকা খেতে পারে পুলিশও ৷ যদিও স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের চোখকে ফাঁকি দেওয়া গেল না ৷ উদ্ধার হল ইয়াবা ৷ গ্রেপ্তার হল তিন জন ৷ গোয়েন্দা সূত্রে খবর, মূলত মণিপুর এই চক্রের কেন্দ্র ৷ তার সঙ্গে বিহার যোগ ৷ মাদক পাঠানো হচ্ছিল বাংলাদেশে ৷ সেখানে জড়িত পশ্চিমবঙ্গের মাদক কারবারিরাও ৷ সঙ্গে যোগ স্মাগলার চক্রের ৷ সেই চক্রের জাল অনেক বড় ৷ খবর ছিল স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দাদের কাছে ৷ কলকাতায় ঢুকবে ইয়াবা ৷ আনা হবে অসমের গাড়িতে ৷ সেইমতো চলছিল নজরদারি ৷ সেইমতোই তারাতলা থানা এলাকার নেচার পার্কের কাছে গোয়েন্দারা একটি গাড়ি থামায় । যার নম্বর AS 031AH-8944 ৷ গাড়িটি চালাচ্ছিল সৈয়দ (25) । তার লাইসেন্স অনুযায়ী, সে মনিপুরের বাসিন্দা । গাড়িতে থাকা আতাউর রহমান (33) , হানিফ শেখ (34) রীতিমতো বচসা জুড়ে দেয় ৷ গোয়েন্দারা একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যায় ৷ গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রথমে কিছুই পাওয়া যায় না । কিন্তু গোয়েন্দাদের কাছে নিশ্চিত খবর ছিল । দরজায় কিছুটা ফাঁপা অংশ দেখে মেকানিক দিয়ে দরজা খোলানো হয় ৷ তাতেই প্রকাশ্য়ে আসে 8 কেজি 324 গ্রাম ইয়াবা ট্যাবলেট । যার বাজার দর 2 কোটি 30 লাখ টাকারও বেশি ।
এরপরই গ্রেপ্তার করা হয় তিনজনকে ৷ গোয়েন্দা সূত্রে খবর, সৈয়দ ও আতাউর মণিপুরের বাসিন্দা ৷ হানিফ মালদার কালিয়াচকের বাসিন্দা ৷ মূলত মায়ানমার থেকে আসা এই মাদক নিয়ে তারা ঢুকছিল কলকাতায় ৷ সৈয়দ ও আতাউর ওই মাদক তুলে দিত হানিফের হাতে বাংলাদেশে পাচারের জন্য ৷ হানিফ ওই মাদক নিয়ে মালদায় গিয়ে সীমান্ত পার করে দিত ৷