কলকাতা, 31 অক্টোবর: কন্যাসন্তান জন্মের পর শহরে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হল এক মহিলার (Mother's mysterious death)৷ তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের পর তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে (National Medical College)৷ হাসপাতালের ওয়ার্ডের বাইরে থেকে উদ্ধার হয় ওই মহিলার রক্তাক্ত দেহ (Woman Body Recovered)। দেহের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে । জানা গিয়েছে, গতকাল থেকে ওই মহিলাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না । কীভাবে এই ঘটনা ঘটল হাসপাতাল চত্বরে, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন (Woman dies mysteriously)।
কন্যাসন্তান প্রসবের পাঁচ দিন পর প্রসূতির ভয়ংকর পরিণতির সাক্ষী থাকল কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে । হাসপাতালের স্ত্রী-রোগ বিভাগের পিছন থেকে ওই মহিলার দেহ উদ্ধার হয় । হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, বুধবার প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ওই গৃহবধূ । সেদিনই সন্ধ্যায় কন্যাসন্তান প্রসব করেন তিনি । জানা গিয়েছে, তাঁর নাম আছিয়া বিবি ৷ তিনি সন্দেশখালির বাসিন্দা ৷
পরিবারের অভিযোগ, আচমকাই রবিবার দুপুর থেকে নিখোঁজ হয়ে যান গৃহবধূ । হাসপাতালে ভিজিটিং আওয়ার্সে গিয়ে তাঁর দেখা পাননি পরিবারের সদস্যরা । পরিজনদের দাবি, রবিবারই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ন্যাশনালের পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁরা । কিন্তু কোনও লাভ হয়নি । ওই গৃহবধূকে খোঁজার জন্য কোনও চেষ্টা করা হয়নি বলে অভিযোগ ।
আরও পড়ুন: মোরবি ব্রিজ দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচেও অনাথ হয়ে গেল 4 বছরের জিয়াংশ
সোমবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ স্ত্রী-রোগ বিভাগের পিছন থেকে গৃহবধূর দেহ উদ্ধার হয় । প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ওই গৃহবধূর হাত পিছমোড়া করে বাঁধা ছিল । মাথা ফেটে গিয়েছিল । কান ও হাতের একাধিক জায়গায় মাংস খুবলে নেওয়ার চিহ্নও রয়েছে । রোগিণীর পরিজনরা মনে করছেন, কুকুর, বিড়াল আঁচড়ে খেয়েছে মৃতার শরীর ! ওয়ার্ডেই রোগিণীকে মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ।
পরিজনদের প্রশ্ন, রবিবারই শৌচাগারে কেন খোঁজ করা হল না ? শৌচাগারের পিছনের জায়গায় দেহ এল কীভাবে ? কাল থেকে নিখোঁজ থাকার পর আজ সকাল সাড়ে দশটার সময় কেন দেহ উদ্ধার হল ? সংবাদমাধ্যম পৌঁছনোর পর দুপুর 12টা নাগাদ দেহ উদ্ধারস্থল পুলিশের তরফে ঘিরে ফেলা হয় । গোটা বিষয়টি আপাতত খতিয়ে দেখছে ফাঁড়ির পুলিশ । ঘটনাস্থলে রয়েছেন উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা । দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে ৷