কলকাতা, 24 ডিসেম্বর: ধোপে টিকল না আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বারণ । যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তবর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউয়ের নেতৃত্বে শুরু হল সমাবর্তন অনুষ্ঠান । কোর্টের বৈঠক শেষ করে প্রায় পৌনে এগারোটা নাগাদ শুরু হল সমাবর্তন অনুষ্ঠান । এই অনুষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের ডিগ্রি প্রদান করছেন সহ উপাচার্য অমিতাভ দত্ত ও রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু । কিন্তু এই ডিগ্রিতে উপাচার্য হিসাবে স্বাক্ষর রয়েছে বুদ্ধদেব সাউয়ের । শুধু তাই নয়, বুদ্ধদেব সাউ উপাচার্য লেখা যে চেয়ার, সেখানেই বসে রয়েছেন ।
এছাড়াও এ বারের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অন্যতম বিষয় হল আচার্যের অনুপস্থিতি । আচার্যর উপস্থিতি ছাড়াই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হচ্ছে 66তম সমাবর্তন অনুষ্ঠান । আর পাশেই বসে রয়েছেন সদ্য অপসারিত উপাচার্য ৷ সমাবর্তন হবে কি না, তা নিয়ে সকাল পর্যন্তও ধন্ধ ছিল ৷ চিঠি দিয়ে উচ্চশিক্ষা দফতর ইঙ্গিত দিয়েছিল যে, তারা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্যের পাশেই রয়েছে ৷ তারপরেই শুক্রবার সকালে শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্টের বৈঠক । সেই বৈঠকেই আলোচনা হয় আজকের সমাবর্তন অনুষ্ঠান নিয়ে ।
আচার্যের তরফ থেকে উপাচার্যকে অপসারণের নির্দেশের পর সেখানে বুদ্ধদেব সাউকেই উপাচার্য হিসাবে মেনে নেয় দফতর । উচ্চশিক্ষা দফতরের চিঠিতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, উপাচার্য হিসাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বহাল থাকবেন বুদ্ধদেব সাউ । তাঁর নেতৃত্বেই আজ সেখানে হবে সমাবর্তন অনুষ্ঠান।
উচ্চশিক্ষা দফতরের যে চিঠি তাতে উল্লেখ রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের কথাও । সেখানে বলা হয়েছে, "সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও উপাচার্য নিয়োগ করতে পারবেন না।" ফলে আচার্যের এই ধরনের নির্দেশ অপ্রাসঙ্গিক বলে মত দফতরের । তার সঙ্গে দফতর জানিয়েছে, "প্রতি বছর ঐতিহ্য ও রীতি মেনে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান হয় 24 ডিসেম্বর । সেই মতো এ বারেও হবে সমাবর্তন। দফতরের এই চিঠির সঙ্গে বলা হয়, এইভাবে কারওকে অপসারণ করা যায় না । তাঁর (বুদ্ধদেব সাউ) কথাও শুনতে হবে ।"
আরও পড়ুন: