ETV Bharat / state

Poppy Cultivation in Bengal: বঙ্গবাসীকে সস্তায় পোস্ত খাওয়াতে চান মুখ্যমন্ত্রী, অনুমতি দেবে কি মোদি সরকার? - মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়

এখন বাংলায় পোস্ত চাষের (Poppy Cultivation) অনুমতি নেই ৷ সেই অনুমতি চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে রাজ্য ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বক্তব্য, কেন্দ্র অনুমতি দিলে বাংলার মানুষকে সস্তায় খাওয়ানো সম্ভব হবে ৷

Poppy Cultivation in Bengal
Poppy Cultivation in Bengal
author img

By

Published : Mar 10, 2023, 4:44 PM IST

কলকাতা, 10 মার্চ: পোস্তর বড়া থেকে পোস্ত বাটা কিংবা আলু-পোস্ত, এই সব খাবারের পদই বাঙালির অত্যন্ত প্রিয় ৷ তাই মহার্ঘ হলেও সব বাঙালির রান্নাঘরে খাবারে ব্যবহৃত এই উপকরণটির দেখা মেলে ৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) চান আরও সস্তায় বাঙালির পাতে পোস্ত তুলে দিতে ৷ সেই কারণে তাঁর সরকারের তরফে কেন্দ্রকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে ৷ মমতার সরকার চায় বাংলাতেও পোস্ত চাষের অনুমতি দিক কেন্দ্র ৷ মুখ্যমন্ত্রীর আশা, বাংলার আবেদনে সাড়া দেবে মোদি সরকার (Modi Government) ৷

কিন্তু সেই আশা কি পূরণ হবে ? কারণ, বাংলার কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে পোস্ত চাষের অনুমতি চেয়ে এই নিয়ে দু’বার কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে ৷ 2019 সালে 2 মে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চিঠি দেয় রাজ্য সরকার ৷ সেই চিঠি পোস্ত চাষের অনুমতি চাওয়া হয় ৷ তার পর চলতি মাসের 3 তারিখ এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে আরও একটি চিঠি লিখেছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (Bengal Seeks Permission for Poppy Cultivation) ৷

কৃষিমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রথম চিঠিতেই বাংলায় পোস্তর চাহিদা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পেশ করা হয়েছিল ৷ বাংলার মানুষ অনেক বেশি পোস্ত ব্যবহার করে ৷ তার পরিমাণ প্রায় 4200 মেট্রিক টন ৷ সেই চাহিদার জন্য পোস্ত চাষের জন্য কেন্দ্রের কাছে অনুমতি চাওয়া হচ্ছে বলে চিঠিতে জানানো হয় ৷ তার পরও এই নিয়ে কোনও উত্তরই দেওয়া হয়নি কেন্দ্রের তরফে ৷ ফলে দ্বিতীয় চিঠিতে কি মত বদল করবে মোদি সরকার, উঠছে এই প্রশ্নও ৷

কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, ‘‘পোস্ত চাষ আমরা করতে পারি না, যতক্ষণ না কেন্দ্রীয় সরকার এর অনুমতি দেয় ৷ ভারতের চারটে রাজ্যকে অনেকদিন ধরেই কেন্দ্র অনুমতি দিয়ে রেখেছে ৷ তারাই চাষ করে৷ কিন্তু সেটা পর্যাপ্ত নয় ৷ এর পরও আমদানি করতে হয় ৷’’ তাঁর যুক্তি, বাংলায় পোস্ত চাষের অনমুতি দিলে ভারত সরকারেরও লাভ হবে ৷ কারণ, বাংলাতেই সবচেয়ে বেশি চাহিদা ৷ তাই আমদানি করতে হবে না ৷ বিদেশি মুদ্রাও বেঁচে যাবে ৷

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, পোস্ত চাষ ইচ্ছে করলেই করা যায় না৷ এর জন্য সরকারি অনুমতির প্রয়োজন হয় ৷ আর সেই অনুমতি প্রথমে কেন্দ্রর তরফে রাজ্যকে দেওয়া হয় ৷ রাজ্য চাইলে অন্য কাউকে অনুমতি দিতে পারে ৷ তবে সেই পোস্ত চাষ বেআইনি কাজে ব্যবহার হচ্ছে কি না, সেই বিষয়ে নজরদারি প্রয়োজন ৷ কারণ, পোস্ত আসলে বীজ ৷ পোস্ত গাছের ফল থেকে আফিম ও অন্যান্য মাদক তৈরির উপকরণ হয় ৷ ফলে ব্যাপকভাবে চাষের অনুমতি দিলে বেআইনি কাজ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে ৷

যদিও কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন, কেন্দ্র অনুমতি দিলে বাংলায় বেআইনিভাবে পোস্ত চাষের কোনও সম্ভাবনাই তৈরি হবে না ৷ কারণ, সারা রাজ্য়ে কৃষি দফতরের মোট 293টি খামার রয়েছে ৷ সেই খামারগুলিতে নির্দিষ্ট জায়গার মধ্য়ে পোস্ত চাষ হবে ৷ সেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশের কোনও অধিকার থাকবে না ৷ কেন্দ্রকে পাঠানো চিঠিতে সেই বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে ৷

এই মুহর্তে দেশের চারটি রাজ্যে পোস্ত চাষের অনুমতি রয়েছে ৷ জানা গিয়েছে, এর মধ্যে তিনটি নাকি বিজেপি শাসিত রাজ্য ৷ বাকি একটিতে অবিজেপি সরকার রয়েছে ৷ সেই কারণেই কি এই ক্ষেত্রেও বঞ্চনার শিকার বাংলা, উঠছে প্রশ্ন ৷ তাই রাজ্য়ের পাঠানো দ্বিতীয় চিঠির পরও কি পোস্তর দাম কমানো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আশাপূরণ হবে ?

আরও পড়ুন: সিভিক ভলেন্টিয়ারদের পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত রাজ্যের, তৈরি হবে নীতি

কলকাতা, 10 মার্চ: পোস্তর বড়া থেকে পোস্ত বাটা কিংবা আলু-পোস্ত, এই সব খাবারের পদই বাঙালির অত্যন্ত প্রিয় ৷ তাই মহার্ঘ হলেও সব বাঙালির রান্নাঘরে খাবারে ব্যবহৃত এই উপকরণটির দেখা মেলে ৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) চান আরও সস্তায় বাঙালির পাতে পোস্ত তুলে দিতে ৷ সেই কারণে তাঁর সরকারের তরফে কেন্দ্রকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে ৷ মমতার সরকার চায় বাংলাতেও পোস্ত চাষের অনুমতি দিক কেন্দ্র ৷ মুখ্যমন্ত্রীর আশা, বাংলার আবেদনে সাড়া দেবে মোদি সরকার (Modi Government) ৷

কিন্তু সেই আশা কি পূরণ হবে ? কারণ, বাংলার কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে পোস্ত চাষের অনুমতি চেয়ে এই নিয়ে দু’বার কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে ৷ 2019 সালে 2 মে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চিঠি দেয় রাজ্য সরকার ৷ সেই চিঠি পোস্ত চাষের অনুমতি চাওয়া হয় ৷ তার পর চলতি মাসের 3 তারিখ এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে আরও একটি চিঠি লিখেছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (Bengal Seeks Permission for Poppy Cultivation) ৷

কৃষিমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রথম চিঠিতেই বাংলায় পোস্তর চাহিদা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পেশ করা হয়েছিল ৷ বাংলার মানুষ অনেক বেশি পোস্ত ব্যবহার করে ৷ তার পরিমাণ প্রায় 4200 মেট্রিক টন ৷ সেই চাহিদার জন্য পোস্ত চাষের জন্য কেন্দ্রের কাছে অনুমতি চাওয়া হচ্ছে বলে চিঠিতে জানানো হয় ৷ তার পরও এই নিয়ে কোনও উত্তরই দেওয়া হয়নি কেন্দ্রের তরফে ৷ ফলে দ্বিতীয় চিঠিতে কি মত বদল করবে মোদি সরকার, উঠছে এই প্রশ্নও ৷

কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, ‘‘পোস্ত চাষ আমরা করতে পারি না, যতক্ষণ না কেন্দ্রীয় সরকার এর অনুমতি দেয় ৷ ভারতের চারটে রাজ্যকে অনেকদিন ধরেই কেন্দ্র অনুমতি দিয়ে রেখেছে ৷ তারাই চাষ করে৷ কিন্তু সেটা পর্যাপ্ত নয় ৷ এর পরও আমদানি করতে হয় ৷’’ তাঁর যুক্তি, বাংলায় পোস্ত চাষের অনমুতি দিলে ভারত সরকারেরও লাভ হবে ৷ কারণ, বাংলাতেই সবচেয়ে বেশি চাহিদা ৷ তাই আমদানি করতে হবে না ৷ বিদেশি মুদ্রাও বেঁচে যাবে ৷

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, পোস্ত চাষ ইচ্ছে করলেই করা যায় না৷ এর জন্য সরকারি অনুমতির প্রয়োজন হয় ৷ আর সেই অনুমতি প্রথমে কেন্দ্রর তরফে রাজ্যকে দেওয়া হয় ৷ রাজ্য চাইলে অন্য কাউকে অনুমতি দিতে পারে ৷ তবে সেই পোস্ত চাষ বেআইনি কাজে ব্যবহার হচ্ছে কি না, সেই বিষয়ে নজরদারি প্রয়োজন ৷ কারণ, পোস্ত আসলে বীজ ৷ পোস্ত গাছের ফল থেকে আফিম ও অন্যান্য মাদক তৈরির উপকরণ হয় ৷ ফলে ব্যাপকভাবে চাষের অনুমতি দিলে বেআইনি কাজ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে ৷

যদিও কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন, কেন্দ্র অনুমতি দিলে বাংলায় বেআইনিভাবে পোস্ত চাষের কোনও সম্ভাবনাই তৈরি হবে না ৷ কারণ, সারা রাজ্য়ে কৃষি দফতরের মোট 293টি খামার রয়েছে ৷ সেই খামারগুলিতে নির্দিষ্ট জায়গার মধ্য়ে পোস্ত চাষ হবে ৷ সেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশের কোনও অধিকার থাকবে না ৷ কেন্দ্রকে পাঠানো চিঠিতে সেই বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে ৷

এই মুহর্তে দেশের চারটি রাজ্যে পোস্ত চাষের অনুমতি রয়েছে ৷ জানা গিয়েছে, এর মধ্যে তিনটি নাকি বিজেপি শাসিত রাজ্য ৷ বাকি একটিতে অবিজেপি সরকার রয়েছে ৷ সেই কারণেই কি এই ক্ষেত্রেও বঞ্চনার শিকার বাংলা, উঠছে প্রশ্ন ৷ তাই রাজ্য়ের পাঠানো দ্বিতীয় চিঠির পরও কি পোস্তর দাম কমানো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আশাপূরণ হবে ?

আরও পড়ুন: সিভিক ভলেন্টিয়ারদের পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত রাজ্যের, তৈরি হবে নীতি

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.