ETV Bharat / state

কোন্নগরে অধ্যাপক নিগ্রহ : কলেজ প্রশাসন ও অধ্যক্ষকে দায়ি করল তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠন

হিরালাল কলেজের অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায় নিগ্রহের ঘটনায় কলেজ প্রশাসন ও অধক্ষ্যর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল তৃণমূল কংগ্রেসের অধ্যাপক সংগঠন । WBCUPA-র সভানেত্রী কৃষ্ণকলি বসু বলেন, "এই ঘটনা নিন্দনীয় । রাজনৈতিক রং লাগানো ঠিক নয় । ঘটনার সময় কলেজ প্রশাসন কী করছিল? কলেজ অধ্যক্ষ কোথায় ছিলেন? কলেজ প্রশাসনের তরফেও গাফিলতি রয়েছে ৷"

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Jul 25, 2019, 8:36 PM IST

Updated : Jul 25, 2019, 11:33 PM IST

কলকাতা, ২৫ জুলাই : হিরালাল কলেজের অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায় নিগ্রহের ঘটনায় কলেজ প্রশাসন ও অধক্ষ্যকে কাঠগোড়ায় তুলল তৃণমূল কংগ্রেসের অধ্যাপক সংগঠন ।

আজ কলকাতা প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক বৈঠকে WBCUPA-র সভানেত্রী কৃষ্ণকলি বসু বলেন, "এই ঘটনা নিন্দনীয় । রাজনৈতিক রং লাগানো ঠিক নয় ।" প্রশ্ন তোলেন, "ঘটনার সময় কলেজ প্রশাসন কী করছিল? কলেজ অধ্যক্ষ কোথায় ছিলেন? হঠাৎ করে তো আর হয়নি ৷ কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ? কলেজ প্রশাসনের তরফেও গাফিলতি রয়েছে ৷ ঘটনা নিন্দনীয় ৷ কিন্তু ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কে রাজনৈতিক রং দেখা উচিত নয় ৷ ঘটনাটিকে মূল্যবোধের দিক থেকে দেখা হোক ৷ রাজনৈতিক দিক থেকে নয় ৷"

ভিডিয়োয় শুনুন WBCUPA-র সভানেত্রী কৃষ্ণকলি বসুর বক্তব্য

আজ তৃণমূল অধ্যাপক সংগঠনের সভানেত্রী কৃষ্ণকলি বসু দলীয় ছাত্র সংগঠনকে কার্যত আড়াল করলেন । তিনি দায় চাপালেন কলেজ কর্তৃপক্ষের ওপর । বলেন, "এই ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক রং দেখা উচিত নয় । কলেজ প্রশাসন এবং অধ্যক্ষের দায়িত্ব ছিল । তাঁরা সেইসময় কী করছিলেন? কোথায় ছিলেন ? একজন শিক্ষক মার খাচ্ছেন আর বাকিরা সবাই চুপ করে দেখছে ৷ আমি চুপ করে বসে রইলাম আর আপনি মার খাচ্ছেন দূরে । এটাই তো ইন্ধন । সব কলেজে এমন ঘটনা ঘটে না । একটা বা দুটো কলেজে ঘটে ৷ সবাই কোথায় ছিলেন ৷ বিষয়টি কলেজ প্রশাসনের দেখা উচিত ।"

গতকাল হিরালাল কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায় TMCP সদস্যদের হাতে নিগৃহীত হন ৷ ঘটনাটি নিয়ে উত্তরপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় । আজ সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিগৃহীত অধ্যাপককে ফোন করে অভয়বার্তা দেন । পাশে থেকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাসও দেন ৷ তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে হাত জোড় করে ক্ষমা চান ‌।

কলকাতা, ২৫ জুলাই : হিরালাল কলেজের অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায় নিগ্রহের ঘটনায় কলেজ প্রশাসন ও অধক্ষ্যকে কাঠগোড়ায় তুলল তৃণমূল কংগ্রেসের অধ্যাপক সংগঠন ।

আজ কলকাতা প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক বৈঠকে WBCUPA-র সভানেত্রী কৃষ্ণকলি বসু বলেন, "এই ঘটনা নিন্দনীয় । রাজনৈতিক রং লাগানো ঠিক নয় ।" প্রশ্ন তোলেন, "ঘটনার সময় কলেজ প্রশাসন কী করছিল? কলেজ অধ্যক্ষ কোথায় ছিলেন? হঠাৎ করে তো আর হয়নি ৷ কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ? কলেজ প্রশাসনের তরফেও গাফিলতি রয়েছে ৷ ঘটনা নিন্দনীয় ৷ কিন্তু ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কে রাজনৈতিক রং দেখা উচিত নয় ৷ ঘটনাটিকে মূল্যবোধের দিক থেকে দেখা হোক ৷ রাজনৈতিক দিক থেকে নয় ৷"

ভিডিয়োয় শুনুন WBCUPA-র সভানেত্রী কৃষ্ণকলি বসুর বক্তব্য

আজ তৃণমূল অধ্যাপক সংগঠনের সভানেত্রী কৃষ্ণকলি বসু দলীয় ছাত্র সংগঠনকে কার্যত আড়াল করলেন । তিনি দায় চাপালেন কলেজ কর্তৃপক্ষের ওপর । বলেন, "এই ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক রং দেখা উচিত নয় । কলেজ প্রশাসন এবং অধ্যক্ষের দায়িত্ব ছিল । তাঁরা সেইসময় কী করছিলেন? কোথায় ছিলেন ? একজন শিক্ষক মার খাচ্ছেন আর বাকিরা সবাই চুপ করে দেখছে ৷ আমি চুপ করে বসে রইলাম আর আপনি মার খাচ্ছেন দূরে । এটাই তো ইন্ধন । সব কলেজে এমন ঘটনা ঘটে না । একটা বা দুটো কলেজে ঘটে ৷ সবাই কোথায় ছিলেন ৷ বিষয়টি কলেজ প্রশাসনের দেখা উচিত ।"

গতকাল হিরালাল কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায় TMCP সদস্যদের হাতে নিগৃহীত হন ৷ ঘটনাটি নিয়ে উত্তরপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় । আজ সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিগৃহীত অধ্যাপককে ফোন করে অভয়বার্তা দেন । পাশে থেকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাসও দেন ৷ তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে হাত জোড় করে ক্ষমা চান ‌।

Intro:কলকাতা, ২৫ জুলাই : হীরালাল কলেজের অধ‍্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের নিগ্রহের ঘটনায় কলেজ প্রশাসন ও অধক্ষ‍কে কাঠগড়ায় তুলল তৃণমূল কংগ্রেসের অধ‍্যাপক সংগঠন। আজ কলকাতা প্রেস ক্লাবে সংগঠনের একটি সাংবাদিক সম্মেলন শেষ করে অধ্যাপক সংগঠন wbcupa-র সভাপতি কৃষ্ণকলি বসু ইটিভি ভারতকে বলেন, এই ঘটনা নিন্দনীয় । রাজনৈতিক রং লাগানো ঠিক নয় । তিনি প্রশ্ন তোলেন, ঘটনার সময় কলেজ প্রশাসন কি করছিল ? কলেজ অধক্ষ কোথায় ছিলেন ? ঘটনাতো হঠাৎ করে হয় না অনেক সময় ধরে চলে, কেন ব‍্যবস্থা নেয়নি ?


Body:গতকাল হীরালাল কলেজের বাংলা বিভাগের অধ‍্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের দ্বারা নিগ্রিহিত হন বলে অভিযোগ‌ । যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। ঘটনাটি নিংয়ে উত্তর পাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। আজ সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিগ্রিহিত অধ‍্যাপককে ফোন করে তাকে অভয় বার্তা দেন। পাশে থেকে সমস্ত রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন তিনি। তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে হাত জোড় করে ক্ষমা চান ‌। আজ তৃণমূলের অধ‍্যাপক সংগঠনের সভাপতি কৃষ্ণ কলি বসু দলীয় ছাত্র সংগঠনকে কার্যত আড়াল করলেন। তিনি দায় চাপালেন কলেজ কতৃপক্ষর ওপরে। ইটিভি ভারতকে বলেন,
এই ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক রং দেখা উচিত নয় । কলেজ প্রশাসন এবং অধক্ষের দায়িত্ব ছিল । তারা সে সময় কি করছিলেন? কোথায় ছিলেন ? একজন শিক্ষক মার খাচ্ছেন আর সবাই চুপ করে দেখছে এটাই তো ইন্ধন । সব কলেজে এমন ঘটনা ঘটেনা। একটা বা দুটো কলেজে ঘটে কলেজ প্রশাসনের দেখা উচিত।


Conclusion:
Last Updated : Jul 25, 2019, 11:33 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.