ETV Bharat / state

ওড়িশাকে হারিয়ে 'মিষ্টি' জয়, রসগোল্লা বাংলারই - GI ট্যাগ পায় বাংলার রসগোল্লা

এবছর 30 জুলাই GI ট্যাগ পায় ওড়িশার রসগোল্লা ৷ দু'বছর আগে সেই ট্যাগ পেয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ৷ তবুও পিছু ছাড়েনি বিতর্ক ৷ ফের GI ডিপার্টমেন্টের দ্বারস্থ হয় উভয় রাজ্য ৷শেষমেশ জিতল বাংলা ৷

ছবি
author img

By

Published : Nov 1, 2019, 9:50 AM IST

Updated : Nov 1, 2019, 12:43 PM IST

চেন্নাই, 1 নভেম্বর : দীর্ঘদিনের বিতর্কের পর ওড়িশাকে হারিয়ে দু'বছর আগেই GI (জিওগ্র্যাফিকাল ইন্ডিকেটর) তকমা পেয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের রসগোল্লা । দেরিতে হলেও এবছর 30 জুলাই সেই তকমা (ট্যাগ) পায় ওড়িশার রসগোল্লাও । কিন্তু পিছু ছাড়েনি বিতর্ক ৷ ফের GI দপ্তরের দ্বারস্থ হয় উভয় রাজ্য ৷ শেষমেশ জিতল বাংলা ৷ ওড়িশার রসগোল্লার পক্ষে সওয়ালকারীরা দিতে পারল না উপযুক্ত যুক্তি ৷ তাই রসগোল্লা আর ওড়িশার নয় ৷ পশ্চিমবঙ্গের ৷

2017 সালের 14 নভেম্বর GI ট্যাগ পায় বাংলার রসগোল্লা । 2015 সালে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রসগোল্লার পেটেন্ট দাবি করে ওড়িশা সরকার । GI তকমা পেতে গতবছর ওড়িশার হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা । শেষ পর্যন্ত এবছর 30 জুলাই GI ট্যাগ পেল ওড়িশার রসগোলা । GI ডিপার্টমেন্টের তরফে জানানো হয়েছিল, ওড়িশার রসগোলা খুব নরম, রসালো । মুখে দেওয়া মাত্র মিলিয়ে যায় । অন্য যেসব জায়গায় রসগোল্লা তৈরি হয় সেগুলি আকারে গোল, সাদা ও স্পঞ্জ । তাই "ওড়িশার রসগোলা"-কে আলাদা করে GI তকমা দেওয়া হল ।

ওড়িশার তরফে যে রসগোল্লার পেটেন্ট চাওয়া হয়েছিল, তার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বিস্তর অমিল রয়েছে । ওড়িশা যাকে রসগোল্লা বলে দাবি করে, তার স্থানীয় নাম ক্ষীরমোহন । এটি মূলত সুজি, ক্ষীর ও গুড় দিয়ে তৈরি করা হয় । অন্যদিকে, বাংলার রসগোল্লার মূল উপাদান ছানা ও চিনির রস ।

প্রচলিত, তুলসীদাস রচিত রামায়ণের আগে 15 শতকে ওড়িশার কবি বলরাম দাসের রচনায় রসগোল্লার উল্লেখ পাওয়া যায় । ওড়িশা সরকার আগেই দাবি করেছিল, জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে আসার সময় রসগোল্লা বিতরণের প্রথা প্রচলিত আছে । অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের বক্তব্য ছিল, নবীনচন্দ্র দাসের হাতে জন্ম নেয় সাদা তুলতুলে মিষ্টি রসগোল্লা ।

তবে এতে তৃপ্তি পায়নি কেউ ৷ দীর্ঘ দড়ি টানাটানিতে উভয় রাজ্য নিজেদের দাবি নিয়ে ফের দ্বারস্থ হয় GI ডিপার্টমেন্টের ৷ কিন্তু উপযুক্ত নথি ও যুক্তি খাড়া করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হল ওড়িশা ৷ স্বাভাবিকভাবেই খারিজ হল আপত্তি ৷ গতকাল চেন্নাইয়ের GI দপ্তরের তরফে চূড়ান্তভাবে জানিয়ে দেওয়া হল, রসগোল্লা একেবারে পশ্চিমবঙ্গের ।

চেন্নাই, 1 নভেম্বর : দীর্ঘদিনের বিতর্কের পর ওড়িশাকে হারিয়ে দু'বছর আগেই GI (জিওগ্র্যাফিকাল ইন্ডিকেটর) তকমা পেয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের রসগোল্লা । দেরিতে হলেও এবছর 30 জুলাই সেই তকমা (ট্যাগ) পায় ওড়িশার রসগোল্লাও । কিন্তু পিছু ছাড়েনি বিতর্ক ৷ ফের GI দপ্তরের দ্বারস্থ হয় উভয় রাজ্য ৷ শেষমেশ জিতল বাংলা ৷ ওড়িশার রসগোল্লার পক্ষে সওয়ালকারীরা দিতে পারল না উপযুক্ত যুক্তি ৷ তাই রসগোল্লা আর ওড়িশার নয় ৷ পশ্চিমবঙ্গের ৷

2017 সালের 14 নভেম্বর GI ট্যাগ পায় বাংলার রসগোল্লা । 2015 সালে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রসগোল্লার পেটেন্ট দাবি করে ওড়িশা সরকার । GI তকমা পেতে গতবছর ওড়িশার হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা । শেষ পর্যন্ত এবছর 30 জুলাই GI ট্যাগ পেল ওড়িশার রসগোলা । GI ডিপার্টমেন্টের তরফে জানানো হয়েছিল, ওড়িশার রসগোলা খুব নরম, রসালো । মুখে দেওয়া মাত্র মিলিয়ে যায় । অন্য যেসব জায়গায় রসগোল্লা তৈরি হয় সেগুলি আকারে গোল, সাদা ও স্পঞ্জ । তাই "ওড়িশার রসগোলা"-কে আলাদা করে GI তকমা দেওয়া হল ।

ওড়িশার তরফে যে রসগোল্লার পেটেন্ট চাওয়া হয়েছিল, তার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বিস্তর অমিল রয়েছে । ওড়িশা যাকে রসগোল্লা বলে দাবি করে, তার স্থানীয় নাম ক্ষীরমোহন । এটি মূলত সুজি, ক্ষীর ও গুড় দিয়ে তৈরি করা হয় । অন্যদিকে, বাংলার রসগোল্লার মূল উপাদান ছানা ও চিনির রস ।

প্রচলিত, তুলসীদাস রচিত রামায়ণের আগে 15 শতকে ওড়িশার কবি বলরাম দাসের রচনায় রসগোল্লার উল্লেখ পাওয়া যায় । ওড়িশা সরকার আগেই দাবি করেছিল, জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে আসার সময় রসগোল্লা বিতরণের প্রথা প্রচলিত আছে । অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের বক্তব্য ছিল, নবীনচন্দ্র দাসের হাতে জন্ম নেয় সাদা তুলতুলে মিষ্টি রসগোল্লা ।

তবে এতে তৃপ্তি পায়নি কেউ ৷ দীর্ঘ দড়ি টানাটানিতে উভয় রাজ্য নিজেদের দাবি নিয়ে ফের দ্বারস্থ হয় GI ডিপার্টমেন্টের ৷ কিন্তু উপযুক্ত নথি ও যুক্তি খাড়া করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হল ওড়িশা ৷ স্বাভাবিকভাবেই খারিজ হল আপত্তি ৷ গতকাল চেন্নাইয়ের GI দপ্তরের তরফে চূড়ান্তভাবে জানিয়ে দেওয়া হল, রসগোল্লা একেবারে পশ্চিমবঙ্গের ।

Kalpeni (Lakshadweep), Nov 01 (ANI): Lakshadweep islands witnessed rough sea and heavy rain due to cyclone Maha. Navy personnel are on their toes to help the affected people. Water also entered residential areas hitting normal lives. Navy is co-ordinating with Lakshadweep Administration to shift people to shelters from affected areas. Heavy rainfall is expected very likely at isolated places over Lakshadweep, according to India Meteorological Department (IMD).
Last Updated : Nov 1, 2019, 12:43 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.