কলকাতা, 24 মার্চ: রাজ্যে ডেঙ্গি ভয়াবহ আকার ধারণ করে গত বছর ৷ শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক- বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এই রোগ ৷ তাই এবার ডেঙ্গি মোকাবিলার জন্য আগে থেকে বৈঠক করল স্বাস্থ্য দফতর ৷ বৃহস্পতিবার নবান্নে ডেঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি বৈঠক হয় ৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম-সহ বিভিন্ন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরা ৷ সেই বৈঠকে একাধিক বিষয় উঠে আসে (Dengue preventive measures are being taken in West Bengal) ৷
পরিস্থিতিতে নজরে রাখতে স্বাস্থ্য দফতর ইতিমধ্যে নির্দেশ জারি করেছে ৷ তাতে বলা হয়েছে- ভেক্টর কন্ট্রোল অর্থাৎ মশাবাহিত রোগ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে শহর ও গ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় 1.32 লক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীকে মোতায়েন করা হচ্ছে ৷ শহরাঞ্চলে মার্চ মাস থেকেই মশাবাহিত রোগ থেকে মানুষকে সচেতন করার কর্মসূচি শুরু হয়েছে। চলবে বছরের শেষ পর্যন্ত ৷ গ্রামাঞ্চলে প্রত্যেকটি গ্রামপঞ্চায়েতে 15 জনের একটি কমিটি তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ যারা বছরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগ নিয়ে সচেতনতা এবং কর্মসূচি গ্রহণ করবে ৷ ডেঙ্গি পরীক্ষা করতে অতিরিক্ত 60টি রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল এবং পৌরসভা ক্লিনিকগুলিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ৷ প্রায় 1 হাজার 500 কিলোমিটার খাল সপ্তাহে দু'বার সংস্কার করা হবে ৷ বন্ধ কারখানা, সরকারি অফিস চত্বর, বাস ডিপো, ডাম্পিং গ্রাউন্ড, পরিত্যক্ত খালি জমি, ডেঙ্গিপ্রবণ এলাকাতে বিশেষ নজরদারির নির্দেশ ৷ সপ্তম, ডেঙ্গি সচেতনতায় রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর, সমাজকল্যাণ দফতর, পুলিশ এবং হাউজিং বিভাগকে বিভিন্ন সচেতনতা কর্মসূচি নেওয়ার নির্দেশ ৷
এছাড়া শহর ও গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন বাড়িতে বাড়িতে যাঁরা সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালনের জন্য যাবেন, তাঁদের আলাদা পরিচয়পত্র ও জ্যাকেট দেওয়া হবে ৷ 29 মে থেকে 4 জুন পর্যন্ত ডেঙ্গি সপ্তাহ পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য 8 হাজার 500 জন মেডিক্যাল আধিকারিক এবং প্যারামেডিক্যাল স্টাফকে ট্রেনিং দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে ৷ আশাকর্মী এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের গ্রামাঞ্চলের সচেতনতা তৈরিতে ব্যবহার করার ভাবনা রয়েছে প্রশাসনের ৷
আরও পড়ুন: ডেঙ্গি, চিকনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাসের লক্ষণ প্রায় একই রকমের