ETV Bharat / state

রাজনীতি মুক্ত ত্রাণ পরিষেবা কার্যকর করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'দুয়ারে ত্রাণ' কী মাস্টার স্ট্রোক

নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন 'দুয়ারে সরকার'-এর কায়দায় 'দুয়ারে রেশন' চালু করবেন । সেইমতো পাইলট প্রোজেক্ট পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই । এবার রাজ্য সরকারের কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ দুয়ারে ত্রাণ । সম্ভবত ত্রাণ কর্মসূচির ক্ষেত্রে এই ধারণা একদমই অভিনব । ফলে এই প্রকল্প কীভাবে বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে তৈরি হয়েছে আগ্রহ ।

DUARE TRAN
রাজনীতি মুক্ত ত্রাণ পরিষেবা কার্যকর করতে উদ্যোগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 'দুয়ারে ত্রাণ' তবে কী অভিযোগ মুক্তির ক্ষেত্রে মাস্টার স্ট্রোক
author img

By

Published : May 28, 2021, 10:14 PM IST

কলকাতা, ২৮ মে: নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন 'দুয়ারে সরকার'-এর কায়দায় 'দুয়ারে রেশন' চালু করবেন । সেইমতো পাইলট প্রোজেক্ট পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই । এবার রাজ্য সরকারের কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ 'দুয়ারে ত্রাণ ।' সম্ভবত ত্রাণ কর্মসূচির ক্ষেত্রে এই ধারণা একদমই অভিনব । ফলে এই প্রকল্প কীভাবে বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে তৈরি হয়েছে আগ্রহ । যদিও বিজেপি সহ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি মনে করছে, নামের চমক থাকলেও আসলে এটি নতুন মোড়কে পুরনো দ্রব্য বেচার মতো । বাস্তবে এর থেকে লাভবান হবেন না সাধারণ মানুষ । আর সে কারণেই ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের কাছে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সাহায্যের টাকা পাঠানোর কথা বলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ । কিন্তু বাস্তব এটাই, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর 'দুয়ারে ত্রাণ' প্রকল্পকে রাজনীতির সংযোগ মুক্ত করতে সক্রিয় হয়েছে রাজ্য প্রশাসন । এবার এই প্রকল্পের জন্য শাসকদলের নেতার সুপারিশে নয়, ত্রাণ মিলবে আবেদন এবং প্রশাসনের তদন্তের ভিত্তিতে । এক্ষেত্রে রং বিচার নৈব নৈব চ । রাজ্য সরকারের এক শীর্ষ আমলার কথায়, গোটা প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা আনতে বদ্ধপরিকর সরকার । আর তাই সরাসরি জেলাস্তরের সরকারি কর্মীদের মাধ্যমে আবেদন সংগ্রহ করা হবে ।

প্রত্যেক এলাকায় ক্যাম্প করে আবেদন গ্রহণ করবেন সরকারি আধিকারিকরা । এরপর সেই আবেদন সরাসরি চলে আসবে জেলাশাসকের দফতরে । জেলাশাসক-বিডিওদের মাধ্যমে এই তালিকা যাচাই করবে । আবেদনের সঙ্গে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাচাই করেই মিলবে ক্ষতিপূরণের অর্থ । এক্ষেত্রে কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মীদের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে না । দুর্গতদের রাজনৈতিক পরিচয় বিশ্লেষণ না করেই সরকার সরাসরি ক্ষতিপূরণ দেবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে । ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন ৩ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলিতে আবেদন জমা নেওয়ার জন্য দুয়ারে সরকারের কায়দায় ক্যাম্প বসবে এলাকায় এলাকায় ।

আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের উদ্যোগে ব্যবসায়ী-রিকশাচালকদের টিকাকরণ নবদ্বীপে

এরপর 19 জুন থেকে 30 জুন পর্যন্ত এই আবেদন যাচাই করবে প্রশাসন । তারপর 1 জুলাই থেকে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ শুরু হবে । সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই 'দুয়ারে ত্রাণের' পাশাপাশি ব্লক ধরে ধরে কৃষিজমি ও বিদ্যুতের ক্ষয়ক্ষতির জরিপও শুরু হয়েছে । কৃষিজমির ক্ষেত্রে দেখা হচ্ছে ওই জমি এক ফসলি না দুই ফসলি । যে সমস্ত জলাশয় জলে প্লাবিত হয়েছে, নোনা জলের কারণে পুকুরের মাছ মরে গিয়েছে তারও তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে মৎস্য দফতরকে । আগামী সোমবারের মধ্যে ব্লকভিত্তিক এই রিপোর্ট জমা পড়বে নবান্নে । সোমবার নবান্নে ক্ষয়ক্ষতির পর্যালোচনা নিয়ে আবার বৈঠকে বসবে রাজ্য সরকার । তারপরেই এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।

কলকাতা, ২৮ মে: নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন 'দুয়ারে সরকার'-এর কায়দায় 'দুয়ারে রেশন' চালু করবেন । সেইমতো পাইলট প্রোজেক্ট পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই । এবার রাজ্য সরকারের কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ 'দুয়ারে ত্রাণ ।' সম্ভবত ত্রাণ কর্মসূচির ক্ষেত্রে এই ধারণা একদমই অভিনব । ফলে এই প্রকল্প কীভাবে বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে তৈরি হয়েছে আগ্রহ । যদিও বিজেপি সহ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি মনে করছে, নামের চমক থাকলেও আসলে এটি নতুন মোড়কে পুরনো দ্রব্য বেচার মতো । বাস্তবে এর থেকে লাভবান হবেন না সাধারণ মানুষ । আর সে কারণেই ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের কাছে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সাহায্যের টাকা পাঠানোর কথা বলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ । কিন্তু বাস্তব এটাই, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর 'দুয়ারে ত্রাণ' প্রকল্পকে রাজনীতির সংযোগ মুক্ত করতে সক্রিয় হয়েছে রাজ্য প্রশাসন । এবার এই প্রকল্পের জন্য শাসকদলের নেতার সুপারিশে নয়, ত্রাণ মিলবে আবেদন এবং প্রশাসনের তদন্তের ভিত্তিতে । এক্ষেত্রে রং বিচার নৈব নৈব চ । রাজ্য সরকারের এক শীর্ষ আমলার কথায়, গোটা প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা আনতে বদ্ধপরিকর সরকার । আর তাই সরাসরি জেলাস্তরের সরকারি কর্মীদের মাধ্যমে আবেদন সংগ্রহ করা হবে ।

প্রত্যেক এলাকায় ক্যাম্প করে আবেদন গ্রহণ করবেন সরকারি আধিকারিকরা । এরপর সেই আবেদন সরাসরি চলে আসবে জেলাশাসকের দফতরে । জেলাশাসক-বিডিওদের মাধ্যমে এই তালিকা যাচাই করবে । আবেদনের সঙ্গে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাচাই করেই মিলবে ক্ষতিপূরণের অর্থ । এক্ষেত্রে কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মীদের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে না । দুর্গতদের রাজনৈতিক পরিচয় বিশ্লেষণ না করেই সরকার সরাসরি ক্ষতিপূরণ দেবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে । ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন ৩ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলিতে আবেদন জমা নেওয়ার জন্য দুয়ারে সরকারের কায়দায় ক্যাম্প বসবে এলাকায় এলাকায় ।

আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের উদ্যোগে ব্যবসায়ী-রিকশাচালকদের টিকাকরণ নবদ্বীপে

এরপর 19 জুন থেকে 30 জুন পর্যন্ত এই আবেদন যাচাই করবে প্রশাসন । তারপর 1 জুলাই থেকে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ শুরু হবে । সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই 'দুয়ারে ত্রাণের' পাশাপাশি ব্লক ধরে ধরে কৃষিজমি ও বিদ্যুতের ক্ষয়ক্ষতির জরিপও শুরু হয়েছে । কৃষিজমির ক্ষেত্রে দেখা হচ্ছে ওই জমি এক ফসলি না দুই ফসলি । যে সমস্ত জলাশয় জলে প্লাবিত হয়েছে, নোনা জলের কারণে পুকুরের মাছ মরে গিয়েছে তারও তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে মৎস্য দফতরকে । আগামী সোমবারের মধ্যে ব্লকভিত্তিক এই রিপোর্ট জমা পড়বে নবান্নে । সোমবার নবান্নে ক্ষয়ক্ষতির পর্যালোচনা নিয়ে আবার বৈঠকে বসবে রাজ্য সরকার । তারপরেই এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.