ETV Bharat / state

Board to Challenge HC Order: 36 হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবেদন করবে পর্ষদ - বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

36 হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবেদন জানাতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ৷ আজ এ কথা জানিয়েছেন পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল ৷

Board to Challenge HC Order
Board to Challenge HC Order
author img

By

Published : May 12, 2023, 8:29 PM IST

Updated : May 12, 2023, 8:52 PM IST

হাইকোর্টের নির্দেশের পর সাংবাদিক বৈঠকে পর্ষদ সভাপতি

কলকাতা, 12 মে: প্রাথমিকের 36 হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ৷ তবে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া এই রায় মানছে না পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ৷ তাদের দাবি, ওই শিক্ষকদের যোগ্যতা আছে বলেই তাঁরা চাকরি পেয়েছেন ৷ পর্ষদ জানিয়েছে যে, নির্দেশের প্রতিলিপি তারা খতিয়ে দেখছে এবং আইনি পরামর্শ নিচ্ছে ৷ এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল ৷

শুক্রবার হাইকোর্ট এই নিয়ে রায় দেওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠক করেন পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল ৷ তিনি জানান, "এখনও পর্যন্ত আমরা হাইকোর্টের নির্দেশ হাতে পাইনি ৷ বিচারব্যবস্থার প্রতি পূর্ণ সম্মান জানিয়ে বলছি, আজ যে রায়দান বিচারপতি করেছেন, তা নিয়ে বোর্ড আইনি পরামর্শ নিচ্ছে ৷ বোর্ড এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আপিল করবে ৷"

গৌতম পাল আরও বলেন যে, দ্ব্যর্থহীন ভাষায় তিনি জানাচ্ছেন, যে 36 হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা আজ আর কেউ অপ্রিশিক্ষিত নেই ৷ বোর্ড সবাইকে প্রশিক্ষণ করিয়েছে ৷ তাঁদের প্রশিক্ষণ 2019 সালের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছে বলে জানান পর্ষদ সভাপতি ৷ বোর্ড এনসিটিই-র নিয়ম মেনে নিয়োগ করেছিল বলে দাবি করেন তিনি ৷ তিনি জানান, 2017 সালের জানুয়ারিতে প্রশিক্ষিতদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল ৷ পরবর্তী পর্যায়ে যাঁরা অপ্রশিক্ষিত হিসেবে চাকরি পেয়েছিলেন এনসিটিই-র নিয়ম মেনে, তাঁদের সবাইকে বোর্ড প্রশিক্ষণ দিয়েছে ৷

গৌতম পালের দাবি, "আমার কাছে যে তথ্য আছে, মেরিট লিস্ট আছে, তৎকালীন যে বিশেষজ্ঞরা অ্যাপটিটিউড টেস্ট নিয়েছিলেন, যাঁরা মূল্যায়ন করেছেন, তাঁরাই যাঁদের যোগ্যতম প্রার্থী বলেছেন, তাঁদের দিয়েই প্যানেল তৈরি হয়েছে ৷ তাঁরাই চাকরি পেয়েছেন ৷" অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়া কোনও প্রার্থীর চাকরি হয়নি বলে দাবি করেন তিনি ৷

আজ বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে নতুন করে ইন্টারভিউ নিতে হবে বোর্ডকে । এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পর্ষদ সভাপতি বলেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়া হলে এই প্রশ্নের প্রাসঙ্গিকতা বদলাবে ৷ বিচারপতি এ দিন বলেছেন, এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার যা খরচ হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ চাইলে মানিক ভট্টাচার্যর থেকে তা আদায় করে নিতে পারে । কারণ, তাঁর সভাপতিত্বেই এই নিয়োগ হয়েছিল । তাই সমস্ত দায় তাঁরই বলে সাফ বক্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের । যদিও এ বিষয়ে কোনও বাক্য খরচ করতে চাননি পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল ৷

আরও পড়ুন: 36 হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

হাইকোর্টের নির্দেশের পর সাংবাদিক বৈঠকে পর্ষদ সভাপতি

কলকাতা, 12 মে: প্রাথমিকের 36 হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ৷ তবে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া এই রায় মানছে না পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ৷ তাদের দাবি, ওই শিক্ষকদের যোগ্যতা আছে বলেই তাঁরা চাকরি পেয়েছেন ৷ পর্ষদ জানিয়েছে যে, নির্দেশের প্রতিলিপি তারা খতিয়ে দেখছে এবং আইনি পরামর্শ নিচ্ছে ৷ এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল ৷

শুক্রবার হাইকোর্ট এই নিয়ে রায় দেওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠক করেন পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল ৷ তিনি জানান, "এখনও পর্যন্ত আমরা হাইকোর্টের নির্দেশ হাতে পাইনি ৷ বিচারব্যবস্থার প্রতি পূর্ণ সম্মান জানিয়ে বলছি, আজ যে রায়দান বিচারপতি করেছেন, তা নিয়ে বোর্ড আইনি পরামর্শ নিচ্ছে ৷ বোর্ড এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আপিল করবে ৷"

গৌতম পাল আরও বলেন যে, দ্ব্যর্থহীন ভাষায় তিনি জানাচ্ছেন, যে 36 হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা আজ আর কেউ অপ্রিশিক্ষিত নেই ৷ বোর্ড সবাইকে প্রশিক্ষণ করিয়েছে ৷ তাঁদের প্রশিক্ষণ 2019 সালের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছে বলে জানান পর্ষদ সভাপতি ৷ বোর্ড এনসিটিই-র নিয়ম মেনে নিয়োগ করেছিল বলে দাবি করেন তিনি ৷ তিনি জানান, 2017 সালের জানুয়ারিতে প্রশিক্ষিতদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল ৷ পরবর্তী পর্যায়ে যাঁরা অপ্রশিক্ষিত হিসেবে চাকরি পেয়েছিলেন এনসিটিই-র নিয়ম মেনে, তাঁদের সবাইকে বোর্ড প্রশিক্ষণ দিয়েছে ৷

গৌতম পালের দাবি, "আমার কাছে যে তথ্য আছে, মেরিট লিস্ট আছে, তৎকালীন যে বিশেষজ্ঞরা অ্যাপটিটিউড টেস্ট নিয়েছিলেন, যাঁরা মূল্যায়ন করেছেন, তাঁরাই যাঁদের যোগ্যতম প্রার্থী বলেছেন, তাঁদের দিয়েই প্যানেল তৈরি হয়েছে ৷ তাঁরাই চাকরি পেয়েছেন ৷" অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়া কোনও প্রার্থীর চাকরি হয়নি বলে দাবি করেন তিনি ৷

আজ বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে নতুন করে ইন্টারভিউ নিতে হবে বোর্ডকে । এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পর্ষদ সভাপতি বলেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়া হলে এই প্রশ্নের প্রাসঙ্গিকতা বদলাবে ৷ বিচারপতি এ দিন বলেছেন, এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার যা খরচ হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ চাইলে মানিক ভট্টাচার্যর থেকে তা আদায় করে নিতে পারে । কারণ, তাঁর সভাপতিত্বেই এই নিয়োগ হয়েছিল । তাই সমস্ত দায় তাঁরই বলে সাফ বক্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের । যদিও এ বিষয়ে কোনও বাক্য খরচ করতে চাননি পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল ৷

আরও পড়ুন: 36 হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

Last Updated : May 12, 2023, 8:52 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.