কলকাতা, 19 মে: কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে প্রিভিলেজ মোশন আনার কথা ভাবছে বিধানসভা । নারদ মামলায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম এবং মদন মিত্রদের বিনা অনুমতিতে গ্রেফতার করেছে সিবিআই, যেখানে হাইকোর্টে এবিষয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষের অনুমতি নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল । এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের ভূমিকায় ক্ষুব্দ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় । তাই এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে পালটা আইনি পদক্ষেপের কথা ভাবছে বিধানসভার সচিবালয় ।
সোমবার সকালে খানিকটা আচমকাই রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র এবং প্রাক্তন মন্ত্রী এবং মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা । নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যের বিধায়ক বা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার বা এই ধরনের কোনও আইনি পদক্ষেপ করার আগে তা বিধানসভার স্পিকার এবং সচিবালয়কে জানাতে হয় । শোভনবাবু এই মুহূর্তে রাজ্য বিধানসভার সদস্য না হলেও, এই মামলায় গ্রেফতার হওয়া বাকি তিনজনই বিধানসভার সদস্য । সুতরাং তাঁদের গ্রেফতার করতে হলে আগে থেকে জানানোর প্রয়োজন ছিল স্পিকার এবং বিধানসভার সচিবালয়কে । কিন্তু রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, এই গ্রেফতারি নিয়ে তাঁর বা সচিবালয়ের কারও কাছেই কোনও তথ্য ছিল না । গ্রেফতারের একদিন পর চিঠি লিখে তাঁকে পুরো বিষয়টি জানানো হয়েছে । সেটা নিয়মবিরুদ্ধ ।
বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়দের যেভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ বেআইনি । আমাদের কাছে এবিষয়ে সিবিআই কিছু জানতেও চায়নি, কোনও চিঠিও দেয়নি । গোটাটা আমাকে অন্ধকারে রেখে করা হয়েছিল ।"
সূত্রের খবর, এবার বিধানসভার সচিবালয়ের তরফে সিবিআইকে পাল্টা চিঠি পাঠানো হতে পারে । প্রয়োজনে করা হতে পারে আইনি পদক্ষেপ । যদিও প্রকাশ্যে এনিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেননি স্পিকার । তিনি বলছেন, "আমি এ বিষয়ে এখনই সংবাদমাধ্যমকে কিছু জানতে চাই না । আমার দায়িত্বের মধ্যে কী পড়ে বা না পড়ে দেখে আমি সিদ্ধান্ত নেব ।"
আরও পড়ুন: নারদ মামলাকে প্রভাবিত করার অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীকেও পার্টি করল সিবিআই