কলকাতা, 17 মার্চ : "নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করে আরও পিছিয়ে গেলেন রাজ্যের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, "তৃণমূলকে কটাক্ষ করে আজ এমনই মন্তব্য করেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী । তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, নির্বাচনের আগেই ইস্তাহার ঘোষণার মধ্যে দিয়ে রাজ্যের মানুষকে প্রতারণা করছে তৃণমূল সরকার ।
আজ বিকেলে তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী ম্যানিফেস্টো প্রকাশ হয়েছে । যা নিয়ে শাসক দলকে কটাক্ষ করছেন বিরোধীরা । রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান জানিয়েছেন, নির্বাচনের বৈতরণী পার করার জন্য, ইস্তাহারে মিথ্যে কথার পসরা সাজিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি বলেন,"মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝে গেছেন তিনি আর ক্ষমতায় ফিরবেন না । দিশাহীন ইস্তাহার ঘোষণা করেছেন তিনি ।" যে প্রতিশ্রুতি ইস্তাহারে দেওয়া হয়েছে, তা কীভাবে পালন করবেন তৃণমূল নেত্রী তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন । অতীতে দেওয়া ইস্তাহার অনুযায়ী কোনও প্রতিশ্রুতি রক্ষা হয়নি বলেও দাবি করেন আবদুল মান্নান ।
বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী জানান, নির্বাচনী ইস্তাহারের মূল্য নেই তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে । তাঁর মতে তৃণমূল ভোটের আগে যা বলে, ভোটের পরে তার পুরো উল্টো কাজ করে । সুজনবাবু মনে করিয়ে দেন, 2011 সালে দশ লাখ চাকরির কথা বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আজ বছরে ৫ লাখ কর্মসংস্থানের কথা বললেন । এর ফলেই স্পষ্ট, পিছিয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । তাঁর নির্বাচনী ইস্তাহার পিছিয়ে পড়েছে । আগেরবারে প্রতি ব্লকের শিল্প কেন্দ্র গড়ার কথা বলেছিলেন, যার কোনও উল্লেখ এই ইস্তাহারে নেই । সেই নিয়েও তৃণমূল কংগ্রেসকে খোঁচা দেন সুজন চক্রবর্তী ।
নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে চোট লাগার বিষয়ে সুজন চক্রবর্তী কটাক্ষের সুরে প্রশ্ন করেন, "হাসপাতাল কোথায়? নন্দীগ্রামের ঘটনাই বুঝিয়ে দিল সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে । মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা করেছিলেন, নন্দীগ্রামে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল রয়েছে ।" তিনি সেখানে চিকিৎসা না করিয়ে শহরের পিজি হাসপাতালে এলেন কেন সেই নিয়েই প্রশ্ন তোলেন তিনি ।
আরও পড়ুন : মাহিষ্য-তিলি-তামুল-সাহাদের ওবিসির সুবিধা, ঘোষণা মমতার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেছেন , সেই বিষয়ে মমতাকে একহাত নিলেন সুজন চক্রবর্তী । বলেন, "নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য সহ আলুর মূল্য নিয়ন্ত্রণ করলে মানুষ উপকৃত হত । ভিক্ষা নয়, অধিকার চায় রাজ্যের মানুষ । মানুষকে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা চলছে । অধিকার থেকে মানুষকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য এখন দুয়ারে রেশন দেওয়ার কথা বলছে রাজ্য সরকার । অথচ সমগ্র লকডাউনের সময় কালে রেশন দেওয়া হয়নি ।"