কলকাতা, 7 সেপ্টেম্বর: এবার পাঁচ পদত্যাগী উপাচার্যকে চিঠি দিল উচ্চশিক্ষা দফতর। বৃহস্পতিবার রাজভবনের পক্ষ থেকে ভিডিয়োবার্তায় বলা হয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে উপাচার্যদের নিজ পদ ছেড়ে দেওয়ার জন্য 'হুমকি' দেওয়া হয়েছে। তাতেই পদত্যাগ করেছেন তাঁরা ৷ রাজ্যপাল তথা আচার্যের সেই মন্তব্যের পরেই শিক্ষা দফতর চিঠি পাঠায় পদত্যাগীদের ৷ চিঠিতে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, হুমকির কোনও প্রমাণ থেকে থাকে, তবে তা যেন শিক্ষা দফতরকে জানানো হয় । আর যদি উপাচার্যরা এই ধরনের কোনও প্রমাণ দেখাতে না পারেন, তাহলে বুঝতে হবে রাজ্যপাল রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন ।
একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করে চলেছেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। উচ্চশিক্ষা দফতরকে অন্ধকারে রেখেই একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্ন্তবর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল, অভিযোগ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ না-করেই একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন রাজ্যপাল ৷ অভিযোগ রাজ্য সরকারের। অপরদিকে রাজ্যপালের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, উপাচার্যদের ঘিরে বাংলায় একাধিক দুর্নীতি হয়েছে শিক্ষা দফতরে ৷ শিক্ষা প্রাঙ্গণকে দুর্নীতিমুক্ত করতেই এই পদক্ষেপ। তার এই মন্তব্যের পরে আরও চরমে ওঠে রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাত। সেই সময়ই রাজ্যপালের অভিযোগকে নিশানা করে শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয় পাঁচ পদত্যাগী উপাচার্যকে । চলতি মাসের 11 তারিখের মধ্যে এই সম্পর্কিত সমস্ত নথি শিক্ষা দফতরকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতর ।
আরও পডু়ন: এবার কি মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়েও অসহযোগিতা ! তিনদিন ধরে রাজভবনে পড়ে নবান্নের চিঠি
প্রসঙ্গত, রাজ্যপালের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাজভবনের সামনে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে দ্য এডুকেশনিস্ট'স ফোরাম। প্রাক্তন উপাচার্যদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পরিচালনার প্রক্রিয়া নিয়ে সরাসরি মিথ্যা কথা বলছেন রাজ্যপাল। সেই মিথ্যে ভরা ভিডিয়ো বৃহস্পতিবার রাজভবনের তরফ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে । তারই প্রতিবাদ স্বরূপ এই বিক্ষোভ । অন্যদিকে এদিনই রেজিস্ট্রারদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ।