কলকাতা, 6 ফেব্রুয়ারি : সকালে কোরোনা টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়ার পর ডায়ালিসিস করান রোগী । অথচ, সন্ধ্যার পরে একই রোগীকে একই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কোরোনার জন্য আইসোলেশন আইসিইউ না থাকায় রোগীকে ভরতি না নেওয়ায় গাড়িতে অপেক্ষারত অবস্থায় মৃত্যু রোগীর । গত মে মাসের এমনই ঘটনার জেরে সল্টলেকের বেসরকারি এক হাসপাতালকে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলল রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশন ।
ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন (ডব্লিউবিসিইআরসি) জানিয়েছে, মৃত রোগী সল্টলেকের বাসিন্দা ছিলেন । 2011 থেকে সল্টলেকের ওই হাসপাতালে প্রায় নিয়মিত চিকিৎসা করান তিনি । কিডনি, সিওপিডি সহ তাঁর বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা ছিল । যে কারণে মাঝে মধ্যেই ওই হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি হতে হত । সেখানে নিয়মিত তাঁর ডায়ালিসিসও চলত । গত বছরের 12 মে সকালে ওই হাসপাতালে তাঁর ডায়ালিসিস করানো হয় । ডায়ালিসিসের সময়, হাসপাতালে কোরোনা টেস্ট করানো হয় । টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে । ওই দিন বিকেলে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে অসুস্থ বোধ করায়, রাত সাড়ে ন'টা নাগাদ তাঁকে ফের একই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । হাসপাতালের চিকিৎসকরা রোগীর উপসর্গ দেখে কোরোনার সন্দেহ করেন । হাসপাতালে আইসোলেশন আইসিইউ নেই একথা জানিয়ে রোগীকে তিনি ভরতি নেওয়া হয় না । রোগীর মেয়ে সকালে হওয়া কোরোনা পরীক্ষা এবং ডায়ালিসিসের কথা জানানো হলেও হাসপাতালের চিকিৎসক কোনও কথা শোনেননি । এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালে পৌঁছানোর পরেও 45 মিনিট গাড়িতেই ছিলেন । গাড়িতেই মৃত্যু হয় রোগীর ।
আরও পড়ুন : রোগীকে বাড়িতে পাঠানো যেত না ? প্রশ্ন তুলে বিলের অর্ধেক টাকা ফেরতের নির্দেশ
মৃত এই রোগীর মেয়ে কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন । অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালের সঙ্গে কথা বলার পর ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন-এর চেয়ারপার্সন, বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, " হাসপাতালের বক্তব্য মেনেই আমরা বলেছি, যদি আধ ঘন্টা-ই হয়ে থাকে, সেটাও হওয়া উচিত ছিল না । হাসপাতালের বক্তব্য, পিপিপি কিট আসার জন্য চিকিৎসকদের 15-20 মিনিট দেরি হয়েছে । আমরা মনে করি, হাসপাতালে খামতি হয়েছে । ঘটনায় পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ।"