কলকাতা, 19 ফেব্রুয়ারি : এবারেও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল । আট জেলার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ছিল ইন্টারনেট । কিন্তু আর শেষ রক্ষা হল না । মাধ্যমিকের প্রথম দিনেই ফাঁস প্রশ্নপত্র । এনিয়ে পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় অবশ্য কোনওরকম দায় নিতে রাজি নন । কখনও তিনি শিক্ষামন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করার কথা বলেছেন । কখনও বা সংবাদ মাধ্যমের উপরই যাবতীয় দোষ চাপিয়ে দিয়েছেন ।
গত বছর পরপর মাধ্যমিকের ছ'টি বিষয়ের প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়েছিল সোশাল মিডিয়ায় । তাই এবার শুরু থেকেই কড়া নজর রাখছিল পর্ষদ । রাজ্যের আটটি জেলার মোট 42টি ব্লকে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত নেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ । নির্বাচিত ওই জায়গাগুলিতে প্রতিটি পরীক্ষার শুরু থেকে দু'ঘণ্টা করে অর্থাৎ বেলা 12টা থেকে দুপুর 2টো পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছিল ইন্টারনেট পরিষেবা ৷ কিন্তু তেমন কোনও লাভ হয়নি । প্রথম অভিযোগটা আসে মালদা থেকে । পরীক্ষা শেষের পর দুটি প্রশ্নপত্রও মিলে যায় । এরপরই উঠতে থাকে প্রশ্ন । ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ, প্রশ্নপত্রের প্যাকেট পরীক্ষার্থীদের সামনে খোলার মতো একাধিক পদক্ষেপ নেওয়ার পরও কীভাবে পরীক্ষার প্রথম ঘণ্টাতেই বেরিয়ে আসল প্রশ্নপত্র । এবিষয়ে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের যোগাযোগ করা হলে, প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার পিছনে সাংবাদিকদেরই হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি ।
ETV ভারতের প্রতিনিধি তাঁকে ফোনে যোগাযোগ করলে প্রথমেই কল্যাণময় বলেন, "তুমি মন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করো কেন বেরোল ।" তারপরেই তিনি বলেন, "তুমি যেটা দেখেছ 1টা, সোয়া 1টার সময় সেটা ফলস। যেটা মিলিয়েছ সেটা দুটোর সময় বেরিয়েছে।" তখন প্রতিনিধি তাঁকে জানান, দুপুর দুটোর অনেক আগেই সোশাল মিডিয়ায় প্রশ্নপত্র ছড়িয়েছে । শোনার সঙ্গে সঙ্গে তিনি বলেন, "তাহলে তুমি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সঙ্গে আছ । আমি সাইবার ক্রাইমকে তোমার নম্বরটা দিয়ে দিচ্ছি ।"
কোথাও যেন সমস্ত দায় সাংবাদিকদের উপর চাপিয়ে দিতে চাইছেন পর্ষদ সভাপতি । যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার বদলে যারা প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাঁদেরই পালটা দোষারোপ করছেন তিনি । তাহলে কি আবার গতবছরের পুনরাবৃত্তি হবে ? উত্তর দেবে আগামীদিনের পরীক্ষাগুলি ।