ETV Bharat / state

অক্সিজেন কমে জটিল হচ্ছে কোরোনা, ওয়াক টেস্টে জোর রাজ্যের

সাইলেন্ট হাইপক্সিয়া নির্ণয়ের জন্য 60 বছরের কম বয়সিদের ক্ষেত্রে 6 মিনিট এবং 60 বছরের বেশি বয়সিদের ক্ষেত্রে 3 মিনিটের ওয়াক টেস্ট করতে হবে । সাইলেন্ট হাইপক্সিয়া অর্থাৎ , কষ্ট নেই অথচ, শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কম রয়েছে । এই ধরনের সমস্যা কোরোনার ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা । যার ফলে রোগীর শারীরিক অবস্থা আরও জটিল হচ্ছে ৷

Walk Test
Walk Test
author img

By

Published : Sep 19, 2020, 7:24 AM IST

কলকাতা , 19 সেপ্টেম্বর : কোরোনার কারণে চুপিসারে শরীরের অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গিয়ে রোগীর অবস্থা যাতে জটিল না হয়ে ওঠে , তার জন্য এবার 6 মিনিটের ওয়াক টেস্ট -এর উপর জোর দিল রাজ‍্যের স্বাস্থ্য দপ্তর । এর জন্য অ্যাডভাইজ়রি ইশু করে প্রতিটি সরকারি এবং বেসরকারি COVID হাসপাতালকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ কোনও কোরোনা রোগীর ক্ষেত্রে সাইটোকাইন স্টর্ম এড়ানোর জন্য ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে এই অ্যাডভাইজ়রিতে । এইসব ক্ষেত্রে যদি কোনও রোগীকে সন্দেহ করে তাঁর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা দ্রুত গ্রহণ করা হয়, তাহলে ওই রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হবে । ফলে, সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের সংখ্যাও বাড়বে বলে জানিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর।


রাজ‍্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, সাইলেন্ট হাইপক্সিয়া নির্ণয়ের জন্য 60 বছরের কম বয়সিদের ক্ষেত্রে 6 মিনিট এবং 60 বছরের বেশি বয়সিদের ক্ষেত্রে 3 মিনিটের ওয়াক টেস্ট করতে হবে । সাইলেন্ট হাইপক্সিয়া অর্থাৎ , কষ্ট নেই অথচ শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কম রয়েছে । এই ধরনের সমস্যা কোরোনার ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা । সেফ হোম অথবা বাড়িতে কিংবা হাসপাতালে যে সব কোরোনা রোগীর চিকিৎসা চলছে, অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গিয়ে তাঁদের শারীরিক অবস্থা যাতে জটিল হয়ে না ওঠে, তার জন্য এই ওয়াক টেস্টের কথা বলেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর । এই টেস্ট করা হলে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমছে কি না, তা নির্ণয় করা সম্ভব হবে । বাড়িতে অথবা, সেফ হোমে থাকা কোনও কোরোনা রোগীর ক্ষেত্রে এভাবে ওয়াক টেস্ট করে যদি দেখা যায় শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গিয়েছে, তাহলে, দ্রুত ওই রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে ।

রাজ্যের সরকারি এবং বেসরকারি কোরোনা হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোনও খামতি থেকে যাচ্ছে কি না , তা খতিয়ে দেখার জন্য গঠন করা হয়েছে প্রোটোকল মনিটরিং টিম । এই টিমের সদস্যরা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন কোরোনা হাসপাতালে পরিদর্শন করছেন । রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, বিভিন্ন কোরোনা হাসপাতালে পরিদর্শনের সময় এই টিমের নজরে চিকিৎসার ক্ষেত্রে বেশ কিছু খামতি ধরা পড়েছে । কীভাবে ওই সব খামতি দূর করা যেতে পারে , তার জন্য সুপারিশ করেছে এই কমিটি । ওই সুপারিশের উপর ভিত্তি করে রাজ্যের সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিটি কোরোনা হাসপাতালকে এই অ্যাডভাইজ়রিতে পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর । এই পরামর্শ অনুযায়ী রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, বাড়িতে অথবা, সেফ হোম কিংবা হাসপাতালে রয়েছেন এমন রোগীদের শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ প্রতিদিন অন্তত তিনবার পালস অক্সিমিটার দিয়ে মেপে দেখতে হবে । এর জন্য সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে ওই রোগীর অক্সিজেনের পরিমাণ , পালস রেট এবং রেস্পিরেটরি রেট অবশ্যই নজরে রাখতে হবে । যদি হাইপক্সিয়া দেখা যায়, তাহলে ওই রোগীর ক্ষেত্রে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে ।

রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর , বিভিন্ন ক্ষেত্রে হাইপক্সিয়ার কারণে জটিল হয়ে উঠছে রোগীর শারীরিক অবস্থা । কোনও কোনও ক্ষেত্রে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না । এই ওয়াক টেস্ট আসলে কী ? ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজ়িজ় (COPD) সহ ফুসফুসের সমস্যায় আক্রান্ত এমন রোগীদের ক্ষেত্রে এই টেস্ট করা হয় । এটা নতুন কোনও টেস্ট নয় । এই কথা জানিয়ে চিকিৎসক তপন বিশ্বাস বলেন , "রোগীকে হাঁটিয়ে দেখা হয় তাঁর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে কি না । রোগীর শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ ঠিক আছে কি না , ওয়াক টেস্টের মাধ্যমে তা বোঝা যায় । সিঙ্গল ব্রেইদ কাউন্ট করেও দেখা যেতে পারে রোগীর শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমছে কি না ।" তিনি আরও বলেন, "হাসপাতাল থেকে কোনও কোরোনা রোগীকে ছুটি দেওয়ার সময় ওয়ার্ডের মধ‍্যেই তাঁকে হাঁটিয়ে অর্থাৎ, ওয়াক টেস্ট করে দেখা হচ্ছে ।"

তবে , শুধুমাত্র সাইলেন্ট হাইপক্সিয়া নয় । সাইটোকাইন স্টর্মের ক্ষেত্রেও দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর । সাইটোকাইন স্টর্ম হল , রোগের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে যে কেমিকেল শরীর তৈরি করে , শেষ পর্যন্ত শরীরের ক্ষতি করে । এই কেমিকেলগুলিকে বলা হয় সাইটোকাইন । এই কথা জানিয়ে চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী বলেন , "সাইটোকাইন স্টর্ম কোরোনার প্রথম দিকে হয় না । একটু পরের দিকে হয় । সংক্রমণের কারণে শরীর থেকে বেশ কিছু কেমিকেল বের হয় । সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শক্তি দিতে এই কেমিকেলগুলি বের হয় । কিন্তু এই কেমিকেলগুলি শরীরকেও অনেকটা ড্যামেজ করতে থাকে। এগুলিকে বলা হয় সাইটোকাইন। এই সাইটোকাইন স্টর্ম যখন হচ্ছে অর্থাৎ, শরীরে অনেক বেড়ে যাচ্ছে এবং তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ ড্যামেজ হচ্ছে। এর ফলে রোগীর মৃত্যু হতে পারে।" কোনও COVID-19 রোগীর ক্ষেত্রে সাইটোকাইন স্টর্ম হতে পারে কি না, এ যদি সন্দেহ হয় চিকিৎসকদের, তা হলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এই অ্যাডভাইজ়রিতে বলেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর ৷

কলকাতা , 19 সেপ্টেম্বর : কোরোনার কারণে চুপিসারে শরীরের অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গিয়ে রোগীর অবস্থা যাতে জটিল না হয়ে ওঠে , তার জন্য এবার 6 মিনিটের ওয়াক টেস্ট -এর উপর জোর দিল রাজ‍্যের স্বাস্থ্য দপ্তর । এর জন্য অ্যাডভাইজ়রি ইশু করে প্রতিটি সরকারি এবং বেসরকারি COVID হাসপাতালকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ কোনও কোরোনা রোগীর ক্ষেত্রে সাইটোকাইন স্টর্ম এড়ানোর জন্য ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে এই অ্যাডভাইজ়রিতে । এইসব ক্ষেত্রে যদি কোনও রোগীকে সন্দেহ করে তাঁর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা দ্রুত গ্রহণ করা হয়, তাহলে ওই রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হবে । ফলে, সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের সংখ্যাও বাড়বে বলে জানিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর।


রাজ‍্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, সাইলেন্ট হাইপক্সিয়া নির্ণয়ের জন্য 60 বছরের কম বয়সিদের ক্ষেত্রে 6 মিনিট এবং 60 বছরের বেশি বয়সিদের ক্ষেত্রে 3 মিনিটের ওয়াক টেস্ট করতে হবে । সাইলেন্ট হাইপক্সিয়া অর্থাৎ , কষ্ট নেই অথচ শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কম রয়েছে । এই ধরনের সমস্যা কোরোনার ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা । সেফ হোম অথবা বাড়িতে কিংবা হাসপাতালে যে সব কোরোনা রোগীর চিকিৎসা চলছে, অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গিয়ে তাঁদের শারীরিক অবস্থা যাতে জটিল হয়ে না ওঠে, তার জন্য এই ওয়াক টেস্টের কথা বলেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর । এই টেস্ট করা হলে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমছে কি না, তা নির্ণয় করা সম্ভব হবে । বাড়িতে অথবা, সেফ হোমে থাকা কোনও কোরোনা রোগীর ক্ষেত্রে এভাবে ওয়াক টেস্ট করে যদি দেখা যায় শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গিয়েছে, তাহলে, দ্রুত ওই রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে ।

রাজ্যের সরকারি এবং বেসরকারি কোরোনা হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোনও খামতি থেকে যাচ্ছে কি না , তা খতিয়ে দেখার জন্য গঠন করা হয়েছে প্রোটোকল মনিটরিং টিম । এই টিমের সদস্যরা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন কোরোনা হাসপাতালে পরিদর্শন করছেন । রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, বিভিন্ন কোরোনা হাসপাতালে পরিদর্শনের সময় এই টিমের নজরে চিকিৎসার ক্ষেত্রে বেশ কিছু খামতি ধরা পড়েছে । কীভাবে ওই সব খামতি দূর করা যেতে পারে , তার জন্য সুপারিশ করেছে এই কমিটি । ওই সুপারিশের উপর ভিত্তি করে রাজ্যের সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিটি কোরোনা হাসপাতালকে এই অ্যাডভাইজ়রিতে পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর । এই পরামর্শ অনুযায়ী রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, বাড়িতে অথবা, সেফ হোম কিংবা হাসপাতালে রয়েছেন এমন রোগীদের শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ প্রতিদিন অন্তত তিনবার পালস অক্সিমিটার দিয়ে মেপে দেখতে হবে । এর জন্য সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে ওই রোগীর অক্সিজেনের পরিমাণ , পালস রেট এবং রেস্পিরেটরি রেট অবশ্যই নজরে রাখতে হবে । যদি হাইপক্সিয়া দেখা যায়, তাহলে ওই রোগীর ক্ষেত্রে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে ।

রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর , বিভিন্ন ক্ষেত্রে হাইপক্সিয়ার কারণে জটিল হয়ে উঠছে রোগীর শারীরিক অবস্থা । কোনও কোনও ক্ষেত্রে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না । এই ওয়াক টেস্ট আসলে কী ? ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজ়িজ় (COPD) সহ ফুসফুসের সমস্যায় আক্রান্ত এমন রোগীদের ক্ষেত্রে এই টেস্ট করা হয় । এটা নতুন কোনও টেস্ট নয় । এই কথা জানিয়ে চিকিৎসক তপন বিশ্বাস বলেন , "রোগীকে হাঁটিয়ে দেখা হয় তাঁর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে কি না । রোগীর শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ ঠিক আছে কি না , ওয়াক টেস্টের মাধ্যমে তা বোঝা যায় । সিঙ্গল ব্রেইদ কাউন্ট করেও দেখা যেতে পারে রোগীর শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমছে কি না ।" তিনি আরও বলেন, "হাসপাতাল থেকে কোনও কোরোনা রোগীকে ছুটি দেওয়ার সময় ওয়ার্ডের মধ‍্যেই তাঁকে হাঁটিয়ে অর্থাৎ, ওয়াক টেস্ট করে দেখা হচ্ছে ।"

তবে , শুধুমাত্র সাইলেন্ট হাইপক্সিয়া নয় । সাইটোকাইন স্টর্মের ক্ষেত্রেও দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর । সাইটোকাইন স্টর্ম হল , রোগের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে যে কেমিকেল শরীর তৈরি করে , শেষ পর্যন্ত শরীরের ক্ষতি করে । এই কেমিকেলগুলিকে বলা হয় সাইটোকাইন । এই কথা জানিয়ে চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী বলেন , "সাইটোকাইন স্টর্ম কোরোনার প্রথম দিকে হয় না । একটু পরের দিকে হয় । সংক্রমণের কারণে শরীর থেকে বেশ কিছু কেমিকেল বের হয় । সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শক্তি দিতে এই কেমিকেলগুলি বের হয় । কিন্তু এই কেমিকেলগুলি শরীরকেও অনেকটা ড্যামেজ করতে থাকে। এগুলিকে বলা হয় সাইটোকাইন। এই সাইটোকাইন স্টর্ম যখন হচ্ছে অর্থাৎ, শরীরে অনেক বেড়ে যাচ্ছে এবং তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ ড্যামেজ হচ্ছে। এর ফলে রোগীর মৃত্যু হতে পারে।" কোনও COVID-19 রোগীর ক্ষেত্রে সাইটোকাইন স্টর্ম হতে পারে কি না, এ যদি সন্দেহ হয় চিকিৎসকদের, তা হলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এই অ্যাডভাইজ়রিতে বলেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.