ETV Bharat / state

Governor Ananda Bose: রাজ্যপালের পাঠানো উপাচার্য নিয়োগপত্র ফেরালেন গৌড়বঙ্গের অধ্য়াপক

author img

By

Published : Jun 3, 2023, 11:05 PM IST

রাজ্যপালের পাঠানো উপাচার্যদের নিয়োগপত্র প্রত্যাখ্যানের পরামর্শ দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী । আর সেই পথে হেঁটে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফেরালেন রাজ্যপালের নিয়োগপত্র ।

Etv Bharat
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস

কলকাতা, 3 জুন: রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত ক্রমেই বেড়ে চলেছে। শিক্ষা দফতরকে না জানিয়ে 11টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আর এরপরই এই বিতর্ক তীব্র থাকে তীব্রতর হয়ে গিয়েছে। রাজ্যপালের নিয়োগ করা উপাচার্যদের বেআইনি বলেও জানিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

রাজ্যপালের নিয়োজিত উপাচার্যদের নিয়োগপত্র প্রত্যাখ্যান করার অনুরোধও জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে এসবের মাঝেই শিক্ষামন্ত্রীর কথা অনুসরণ করে রাজ্যপালের দেওয়া উপাচার্য পদ ফিরিয়ে দিলেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সৌরীণ বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণ দিনাজপুরের বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁকে উপাচার্য হিসাবে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। সেই নিয়োগপত্র প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। যদিও এর কারণ স্পষ্ট করে কিছু জানাননি অধ্যাপক। সৌরিণ বন্দ্যোপাধ্যায় উপাচার্য পদ প্রত্যাখ্যান করলেও শোনা যাচ্ছে বাকি দশটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা, সেই পদ স্বীকার করে নিয়েছেন।

ইতিমধ্যে রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁরা একবার সাক্ষাৎ করেছেন বলেও সূত্রের খবর। যাদবপুর, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়-সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা ইতিমধ্যেই তাঁদের কাজে যোগ দিয়েছেন। তবে এই দশটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের স্বীকৃতি দিচ্ছে না উচ্চশিক্ষা দফতর । সেকথাও স্পষ্ট জানিয়েন শিক্ষামন্ত্রী। ফলে তাঁদের বেতন ঘিরে তৈরি হচ্ছে নয়া সংশয়। প্রসঙ্গত, এই সম্পূর্ণ বিষয়টির জন্য আইনি পরামর্শ নিতে চাইছেন শিক্ষামন্ত্রী । সে কথা আগেই জানিয়েছিলেন। শুক্রবার রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করলেই তাঁকে সম্মতি বা মান্যতা দিতে হবে তার কোনও মানে নেই। তবে এই আলোচনা কবে হয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় শিক্ষামন্ত্রীকে।

আরও পড়ুন: রেল দুর্ঘটনার পিছনে রহস্য কী, রেল আধিকারিকদের কল রেকর্ডিং দিয়ে তদন্তের দাবি কুণালের

শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, "সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম রয়েছে, রাজ্যপাল উচ্চশিক্ষা দফতরের মাধ্যমে রাজ্যের উপাচার্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।" কিন্তু তা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস করছেন না বলেই অভিযোগ তোলেন তিনি। এই একই কথা সাংবাদিক বৈঠক করে তুলে ধরেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন ও বর্তমান উপাচার্যরাও। উপাচার্যরা অভিযোগ তুলেছিলেন রাজ্যপাল নিয়ম ভাঙাকে উৎসাহিত করছেন। ফলে একদিকে রাজ্যপাল ও তাঁর নিয়োগ করা উপাচার্যরা অন্যদিকে উচ্চশিক্ষা দফতর এবং প্রাক্তন ও বর্তমান উপাচার্যদের একাংশ। যার ফলে ক্রমেই বেড়ে চলেছে বিতর্ক।

কলকাতা, 3 জুন: রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত ক্রমেই বেড়ে চলেছে। শিক্ষা দফতরকে না জানিয়ে 11টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আর এরপরই এই বিতর্ক তীব্র থাকে তীব্রতর হয়ে গিয়েছে। রাজ্যপালের নিয়োগ করা উপাচার্যদের বেআইনি বলেও জানিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

রাজ্যপালের নিয়োজিত উপাচার্যদের নিয়োগপত্র প্রত্যাখ্যান করার অনুরোধও জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে এসবের মাঝেই শিক্ষামন্ত্রীর কথা অনুসরণ করে রাজ্যপালের দেওয়া উপাচার্য পদ ফিরিয়ে দিলেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সৌরীণ বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণ দিনাজপুরের বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁকে উপাচার্য হিসাবে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। সেই নিয়োগপত্র প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। যদিও এর কারণ স্পষ্ট করে কিছু জানাননি অধ্যাপক। সৌরিণ বন্দ্যোপাধ্যায় উপাচার্য পদ প্রত্যাখ্যান করলেও শোনা যাচ্ছে বাকি দশটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা, সেই পদ স্বীকার করে নিয়েছেন।

ইতিমধ্যে রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁরা একবার সাক্ষাৎ করেছেন বলেও সূত্রের খবর। যাদবপুর, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়-সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা ইতিমধ্যেই তাঁদের কাজে যোগ দিয়েছেন। তবে এই দশটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের স্বীকৃতি দিচ্ছে না উচ্চশিক্ষা দফতর । সেকথাও স্পষ্ট জানিয়েন শিক্ষামন্ত্রী। ফলে তাঁদের বেতন ঘিরে তৈরি হচ্ছে নয়া সংশয়। প্রসঙ্গত, এই সম্পূর্ণ বিষয়টির জন্য আইনি পরামর্শ নিতে চাইছেন শিক্ষামন্ত্রী । সে কথা আগেই জানিয়েছিলেন। শুক্রবার রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করলেই তাঁকে সম্মতি বা মান্যতা দিতে হবে তার কোনও মানে নেই। তবে এই আলোচনা কবে হয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় শিক্ষামন্ত্রীকে।

আরও পড়ুন: রেল দুর্ঘটনার পিছনে রহস্য কী, রেল আধিকারিকদের কল রেকর্ডিং দিয়ে তদন্তের দাবি কুণালের

শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, "সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম রয়েছে, রাজ্যপাল উচ্চশিক্ষা দফতরের মাধ্যমে রাজ্যের উপাচার্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।" কিন্তু তা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস করছেন না বলেই অভিযোগ তোলেন তিনি। এই একই কথা সাংবাদিক বৈঠক করে তুলে ধরেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন ও বর্তমান উপাচার্যরাও। উপাচার্যরা অভিযোগ তুলেছিলেন রাজ্যপাল নিয়ম ভাঙাকে উৎসাহিত করছেন। ফলে একদিকে রাজ্যপাল ও তাঁর নিয়োগ করা উপাচার্যরা অন্যদিকে উচ্চশিক্ষা দফতর এবং প্রাক্তন ও বর্তমান উপাচার্যদের একাংশ। যার ফলে ক্রমেই বেড়ে চলেছে বিতর্ক।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.