কলকাতা, 13 ফেব্রুয়ারি: আগামীকাল ভ্যালেন্টাইনস ডে ৷ ভালোবাসা উদযাপনের এই বিশেষ দিনে শহরের পার্ক, রেস্তরাঁগুলিতে যে প্রেমিক-প্রেমিকাদের ভিড় উপচে পড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না ৷ বিশেষ করে নতুন প্রেমের ছোঁয়া যাদের লেগেছে, তারা নিশ্চিতভাবে প্রেমদিবস উদযাপনে মাতবেন ধরে নেওয়া যায় ৷ কিন্তু পদ্মে যেমন কাঁটা থাকে, তেমনই বিশেষ এই দিনে রোডসাইড রোমিওদের বাড়বাড়ন্ত হয় শহরের পথঘাটে৷ এই রোডসাইড রোমিওদের শায়েস্তা করতেই এবছর 14 ফেব্রুয়ারি রাস্তায় নামবে কলকাতা পুলিশের উইনার্স বাহিনী (Valentines Day Security Charge on Winners Team) ৷
শহরের রাজপথে ভ্যালেটাইন্স ডে-তে কোনরকমের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তা সুনিশ্চিত করতে চাইছে লালবাজার ৷ সেই কারণে শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে, বিশেষ করে যেখানে লোকজনের ভিড় বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানে নজর থাকবে কলকাতা পুলিশের প্রমিলা বাহিনী অর্থাৎ, উইনার্স বাহিনীর ৷ ভালোবাসা উদযাপনের দিনে মহিলাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা আরও জোরদার করছে লালবাজার ৷ সেখানে মহিলারা কোনও সমস্যায় পড়লে যাতে, সহজে নিজেদের কথা তুলতে ধরতে পারেন, সেই কারণে উইনার্স বাহিনীকে নামানো হচ্ছে ৷
লালবাজার সূত্রে খবর, উইনার্স বাহিনীকে আগামিকালের জন্য এই বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৷ শহরের রাস্তায় কোন অবাঞ্ছিত ঘটনা চোখে পড়লেই তাঁরা দ্রুত সেখানে আইনি পদক্ষেপ নেবেন এবং স্থানীয় থানার অফিসার ইনচার্জকে তৎক্ষণাৎ বিষয়টি সম্পর্কে জানাবেন ৷ ভ্যালেন্টাইন্স ডে এর দিন কলকাতা পুলিশের উইনার্স বাহিনীর সদস্যদের মোট চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে ৷ স্কুটি নিয়ে তাঁরা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান, বিভিন্ন পার্কে এবং বিনোদন ক্ষেত্রে আশেপাশের এলাকাগুলিতে টহল দেবেন বলে জানা গিয়েছে ৷
আরও পড়ুন: ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র আগ্রহ কি কমছে ? কী বলছে কলকাতার তরুণ-তুর্কিরা ?
লালবাজার সূত্রের খবর, মূলত উইনার্স বাহিনীর সদস্যদের আগামিকাল নন্দন, রবীন্দ্রসদন চত্বর, একাধিক ছোট-বড় সিনেমা হল, এলিয়ট পার্ক, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, হসপিটাল রোড এবং মিলেনিয়াম পার্কে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৷ এই সব জায়গাগুলিতে তাঁরা নজরদারি চালাবেন ৷ মহিলাদের উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর মন্তব্য করা বা তাঁদের উত্যক্ত করলে আইনত ব্যবস্থা নেবেন উইনার্সরা ৷
এদিকে ভালোবাসা দিবসে গো-আলিঙ্গনের নিদান কেন্দ্রের তরফে প্রত্যাহার করা হলেও নির্দিষ্টভাবে কোনও রাজনৈতিক দলের মতাদর্শে বিশ্বাসী শাখা-সংগঠনগুলো যে প্রেমিক যুগলদের কাছে যে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে ভারতের ছাত্র ফেডারেশন পশ্চিমবঙ্গ শাখা এ রাজ্যের প্রেমিক যুগলদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিল। অভয় দিয়ে এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, "ভালোবেসে কেউ কারও হাত ধরতেই পারে। কাউকে আলিঙ্গন করতেই পারে । তবে অবশ্যই তা পরস্পরের অনুমতি নিয়ে। এক্ষেত্রে তৃতীয় ব্যক্তি বাধা দিতে এলে যুগলের পাশে আমরা আছি।"