কলকাতা, 5 সেপ্টেম্বর: সোমবারের পর ফের মঙ্গলবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এল ইউজিসির প্রতিনিধি দল। সকালে তাঁরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেল পরিদর্শন করেন। প্রায় 30 মিনিট সেখানে পরিদর্শন করেন ইউজিসি'র প্রতিনিধি দলের চার সদস্য ৷ তারা কথা বলেন, হস্টেলে থাকা আবাসিকদের সঙ্গে। তারপরেই বিশ্ববিদ্যালয় অরবিন্দ ভবনে ফের শুরু হয় বৈঠক । ছাত্র মৃত্যুর তদন্তে একাধিক অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ইউজিসি'র প্রতিনিধিরা, এমনটাই সূত্রের খবর ।
জানা গিয়েছে, ইউজিসি'র প্রতিনিধিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসি মেম্বারদের সঙ্গে বৈঠক করেন । কেন গত ছ'মাসে একবারের জন্য ইসি মিটিং হয়নি, সেই প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। এছাড়াও ইউজিসির নিয়ম মেনে অ্যান্টি র্যাগিং'য়ের যে যে গাইডলাইন রয়েছে, তা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কতটা মানা হচ্ছে, তাও খতিয়ে দেখছে প্রতিনিধি দল। এর পাশাপাশি কেউ যদি র্যাগিংয়ে অভিযুক্ত হয় তাহলে তার জন্য কীরকম পদক্ষেপ নেওয়া হত ৷ যদি র্যাগিংয়ে অভিযুক্ত হয়, তাহলে ছাত্রকে কেনও সাসপেন্ড করা হয়নি ? সেই প্রশ্নও তোলেন তারা ।
অন্যদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, র্যাগিং-এর অভিযোগের ভিত্তিতে চার পড়ুয়াকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । 6 জন প্রাক্তনীর বিরুদ্ধে এফআইআর-এর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশাধিকার নেই বলে এক ছাত্রনেতাকে জানানো হয়েছে । পাশাপাশি প্রায় 25 জনকে হোস্টেল থেকে বের করার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ । 5 জন 4টে সেমিস্টার, 11 জন 2 সেমিস্টার এবং 15 জন একটি করে সেমিস্টার দিতে পারবে না ৷ তাদের এই সেমিস্টার থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় । যদিও জানা গিয়েছে, এই বিষয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ইসি মিটিংয়ের পরেই ।
উল্লেখ্য, যাদবপুরে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর 25 দিন পর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন ইউজিসি'র চার প্রতিনিধি । সোমবার সকাল 11টায় তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ ভবনের পিছনের গেট দিয়ে প্রবেশ করেন । প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টা বৈঠক শেষে পৌনে সাতটা নাগাদ ওই গেট দিয়েই আবার তাঁরা বেরিয়ে আসেন। তবে বেরোনোর সময় সংবাদমাধ্যমের সামনে কোন মুখ খোলেননি চার প্রতিনিধি ।
আরও পড়ুন: উপাচার্যের অনুপস্থিতিতেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাড়ে সাত ঘণ্টা বৈঠক ইউজিসি'র!
অন্যদিকে বৈঠক শেষে অন্তর্বতী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ জানিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ করেননি ইউজিসি প্রতিনিধিরা। সম্পূর্ণ অন্য একটি ঘরে তাঁরা বসে বৈঠক করছিলেন । তদন্তের প্রয়োজনে সেই ঘরই তাঁরা বেশ কিছু জনকে ডেকে কথা বলেন । অন্যদেরকে বাংলা বিভাগে 7 অগস্ট থেকে 9 অগস্ট পর্যন্ত কী কী হয়েছে, গতকালই তার একটা সম্পূর্ণ তথ্য ইউজিসি'র হাতে তুলে দেন বিভাগীয় প্রধান ।