কলকাতা, ২৬ ফেব্রুয়ারি: করোনা আক্রান্ত হলেন কসবা চিত্তরঞ্জন হাইস্কুলের আরও দুই শিক্ষিকা। বুধবার ওই স্কুলেরই এক শিক্ষিকা করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে। ওইদিনই স্কুলকে জীবাণুমুক্ত করার পাশাপাশি করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছিল ওই শিক্ষিকার সংস্পর্শে আসা ছাত্রদেরও। তারপরেই শুক্রবার ওই স্কুলেরই আরও দুইজন শিক্ষিকা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেল। সবমিলিয়ে একই স্কুলে তিনজন শিক্ষিকা করোনা আক্রান্ত হলেন।
জানাগেছে, আক্রান্তদের মধ্যে একজন গণিত ও আর একজন শরীরশিক্ষার শিক্ষিকা। তাঁদের মধ্যে একজন গত বুধবার স্কুলের এক শিক্ষিকা আক্রান্ত হওয়ার খবর পেতেই ওইদিনই করোনা পরীক্ষা করান। সেইদিন বিকেলেই তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। অন্যদিকে, বুধবারই স্কুল শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত শিক্ষিকার সংস্পর্শে আসা ছাত্রদের চিহ্নিত করে করোনা পরীক্ষা করানো হয়। জানাগেছে, প্রায় ৩৩ জন ছাত্রের পরীক্ষা করানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার কসবা চিত্তরঞ্জন হাইস্কুলের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছেন বলে জানান প্রধান শিক্ষক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়কে। সঙ্গে সঙ্গে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন প্রধান শিক্ষক। দপ্তরের নির্দেশে বুধবার সকাল থেকেই স্কুল বিল্ডিং জীবাণুমুক্ত করার কাজ শুরু করে দেওয়া হয়। দুই দফায় জীবাণুমুক্ত করা হয় স্কুলকে। পাশাপাশি, ওইদিনই বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্কুলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি না দেওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য খুলে দেওয়া হয় রাজ্যের স্কুলগুলি। তার ১০ দিন অতিক্রান্ত হতে না হতেই খাস কলকাতার স্কুলে কোরোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে। নড়েচড়ে বসেছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর ও। বৃহস্পতিবারই স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কমিশনার অনিন্দ্য নারায়ণ বিশ্বাস সব জেলার মাধ্যমিক স্তরের জেলাপরিদর্শকদের নির্দেশ দিয়েছেন স্কুলে স্কুলে নজরদারি বাড়াতে। বলা হয়েছে, কোভিড গাইডলাইন মেনে স্কুলগুলিতে ফিল্ড লেভেল আধিকারিকদের দিয়ে নিয়মিত পরিদর্শন নিশ্চিত করতে।
সেই নির্দেশিকার পরেরদিনই একই স্কুলে আরও দুই শিক্ষিকা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। যদিও কসবা চিত্তরঞ্জন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় মুখ খুলতে নারাজ। আরও দুই শিক্ষিকা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে জানতে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেই সময় আমায় যা যা করতে বলা হয়েছিল আমি সেগুলি করেছি। এখন স্কুল বন্ধ আছে।"