ETV Bharat / state

প্রথম স্নাতক শবর-কন্যাকে উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিল সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়

author img

By

Published : Dec 29, 2020, 8:14 PM IST

স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে ঝাড়খণ্ডের পটমদা ডিগ্রি কলেজে ইতিহাসে অনার্স নিয়ে পড়াশোনা করেন । সেখান থেকেই স্নাতক উত্তীর্ণ হন রমনিতা শবর ।

H
H

কলকাতা, 29 ডিসেম্বর : খেড়িয়া-শবর জনজাতির মধ্যে প্রথম স্নাতক হয়ে আগেই ইতিহাস গড়ে ফেলেছেন রমনিতা শবর । থেমে না থেকে আরও এগিয়ে যাওয়ার আশা ছিল তাঁর চোখে । স্বপ্ন শিক্ষকতা করার । কিন্তু বাধা এসেছিল তাতেও । পছন্দের সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরতি প্রক্রিয়ার সময় পার হয়ে গিয়েছিল । যদিও সেই আশঙ্কা দূরে সরিয়ে স্বপ্ন পূরণের দিকেই এগিয়ে চলেছেন রমনিতা । প্রথম শবর স্নাতক হওয়ায় তাঁকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর কোর্সে ভরতির বিশেষ সুযোগ দিচ্ছে সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয় । আজই তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরতির অনুমোদন দিয়েছেন উপাচার্য দীপক কর ।

লোধা-শবর জনজাতির মধ্যে প্রথম স্নাতক হয়েছিলেন চুনী কোটাল । তার প্রায় কয়েক দশক পর কলেজের গণ্ডি পার হয়ে ইতিহাস গড়েছেন খেরিয়া-শবর জনজাতির মেয়ে রমনিতা শবর । পুরুলিয়ার বরাবাজারের ফুলঝোর গ্রামের মেয়ে রমনিতার বাবা পেশায় কৃষক ও মা গৃহবধূ । ছোটো থেকে দারিদ্র নিত্যসঙ্গী হলেও শিক্ষার হাত ছাড়েনি এই শবর-কন্যা । স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে ঝাড়খণ্ডের পটমদা ডিগ্রি কলেজে ইতিহাসে অনার্স নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি । সেখান থেকেই স্নাতক উত্তীর্ণ হন রমনিতা । কলেজের মধ্যে প্রথমও হন তিনি। প্রথম স্নাতক হওয়ার পর রমনিতা জানিয়েছিলেন, সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর কোর্সে ভরতি হতে চান তিনি । কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে চলা ভরতি প্রক্রিয়া ততদিনে শেষ হয়ে গিয়েছিল ।

রমনিতার এই সাফল্যের কাহিনী জানার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে সবরকমভাবে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছিলেন পুরুলিয়ার জেলাশাসক অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় । রমনিতা যাতে পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরতি হতে পারে তার জন্য সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে আবেদনও জানিয়েছিলেন । কিন্তু, ইতিহাস বিভাগে ভরে গিয়েছিল সব আসন। তাই ভরতির বিষয়ে বিবেচনা করতে জেলাশাসকের আবেদন পাঠানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপক করের কাছে । খেড়িয়া-শবর জনজাতির প্রথম স্নাতক হওয়ায় সেই আবেদন মঞ্জুর করে রমনিতা শবরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরতির বিশেষ সুযোগ দিয়েছেন উপাচার্য ।
এই প্রসঙ্গে উপাচার্য দীপক কর বলেন, "এটা একটা সামাজিক দায়িত্ব বলে মনে হয়েছে । পুরুলিয়ায় পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম প্রান্তের পিছিয়ে পড়া জেলা হিসেবে অনেক জনজাতির বাস রয়েছে । শবর এমনই একটি জনজাতি । ভাবাই যায় না যে তাঁরা স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে এসে পৌঁছাবে । সেখানে শবর জনজাতির একটি মেয়ে স্কুল, কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে, এটাই আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে ।"

কলকাতা, 29 ডিসেম্বর : খেড়িয়া-শবর জনজাতির মধ্যে প্রথম স্নাতক হয়ে আগেই ইতিহাস গড়ে ফেলেছেন রমনিতা শবর । থেমে না থেকে আরও এগিয়ে যাওয়ার আশা ছিল তাঁর চোখে । স্বপ্ন শিক্ষকতা করার । কিন্তু বাধা এসেছিল তাতেও । পছন্দের সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরতি প্রক্রিয়ার সময় পার হয়ে গিয়েছিল । যদিও সেই আশঙ্কা দূরে সরিয়ে স্বপ্ন পূরণের দিকেই এগিয়ে চলেছেন রমনিতা । প্রথম শবর স্নাতক হওয়ায় তাঁকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর কোর্সে ভরতির বিশেষ সুযোগ দিচ্ছে সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয় । আজই তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরতির অনুমোদন দিয়েছেন উপাচার্য দীপক কর ।

লোধা-শবর জনজাতির মধ্যে প্রথম স্নাতক হয়েছিলেন চুনী কোটাল । তার প্রায় কয়েক দশক পর কলেজের গণ্ডি পার হয়ে ইতিহাস গড়েছেন খেরিয়া-শবর জনজাতির মেয়ে রমনিতা শবর । পুরুলিয়ার বরাবাজারের ফুলঝোর গ্রামের মেয়ে রমনিতার বাবা পেশায় কৃষক ও মা গৃহবধূ । ছোটো থেকে দারিদ্র নিত্যসঙ্গী হলেও শিক্ষার হাত ছাড়েনি এই শবর-কন্যা । স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে ঝাড়খণ্ডের পটমদা ডিগ্রি কলেজে ইতিহাসে অনার্স নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি । সেখান থেকেই স্নাতক উত্তীর্ণ হন রমনিতা । কলেজের মধ্যে প্রথমও হন তিনি। প্রথম স্নাতক হওয়ার পর রমনিতা জানিয়েছিলেন, সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর কোর্সে ভরতি হতে চান তিনি । কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে চলা ভরতি প্রক্রিয়া ততদিনে শেষ হয়ে গিয়েছিল ।

রমনিতার এই সাফল্যের কাহিনী জানার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে সবরকমভাবে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছিলেন পুরুলিয়ার জেলাশাসক অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় । রমনিতা যাতে পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরতি হতে পারে তার জন্য সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে আবেদনও জানিয়েছিলেন । কিন্তু, ইতিহাস বিভাগে ভরে গিয়েছিল সব আসন। তাই ভরতির বিষয়ে বিবেচনা করতে জেলাশাসকের আবেদন পাঠানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপক করের কাছে । খেড়িয়া-শবর জনজাতির প্রথম স্নাতক হওয়ায় সেই আবেদন মঞ্জুর করে রমনিতা শবরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরতির বিশেষ সুযোগ দিয়েছেন উপাচার্য ।
এই প্রসঙ্গে উপাচার্য দীপক কর বলেন, "এটা একটা সামাজিক দায়িত্ব বলে মনে হয়েছে । পুরুলিয়ায় পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম প্রান্তের পিছিয়ে পড়া জেলা হিসেবে অনেক জনজাতির বাস রয়েছে । শবর এমনই একটি জনজাতি । ভাবাই যায় না যে তাঁরা স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে এসে পৌঁছাবে । সেখানে শবর জনজাতির একটি মেয়ে স্কুল, কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে, এটাই আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.