ETV Bharat / state

Bus owners meets Firhad : ফিরহাদের কাছে ক্রেডিট কার্ডের আবেদন জানাল বেসরকারি বাস মালিক সংগঠন

গতকাল বাস মালিক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ৷ বেসরকারি বাস মালিক সংগঠন 12 টি প্রস্তাব পেশ করেছে সরকারের কাছে ৷

পুজোর পর কমেছে বাস
পুজোর পর কমেছে বাস
author img

By

Published : Nov 18, 2021, 11:12 AM IST

কলকাতা, 18 নভেম্বর : বেসরকারি পরিবহনের হাল ফেরাতে ইতিমধ্যে বেশ কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে সরকার ও বাস মালিক সংগঠনের মধ্যে । গতকাল ফের ময়দানের পরিবহণ টেন্টে পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম রাজ্যের 23টি জেলার বেসরকারি বাস সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন । তবে এবার সংগঠন সুটেন্ড ক্রেডিট কার্ডের মতো বাস মালিকদের অবস্থা ফেরাতে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবস্থা করার আবেদন জানায় সরকারের কাছে ৷

বৈঠকের পর ওয়েস্টবেঙ্গল বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ নারায়ণ বসু জানান, পরিবহণ মন্ত্রীর কাছে লিখিত ও মৌখিকভাবে মোট 12টি প্রস্তাব প্রস্তাব পেশ করেছেন তাঁরা ৷ তিনি বলেন, "30 জুন, 2022 পর্যন্ত বাসের ট্যাক্স, সিএফও ও পারমিট ফাইন মুকুব করতে হবে ৷"

গণপরিবহণে ক্রেডিট কার্ড

পুজোর পর বাস কমে যাওয়া প্রসঙ্গে প্রদীপবাবু বাসমালিকদের অর্থনৈতিক সমস্যার কথা তুলে ধরেন ৷ বলেন, "অনেক বাসমালিক বিমার টাকা দিতে না পারায় তাই ট্যাক্স দিতে পারছে না, সিএফও করতে পারছে না ৷ এমনকি ব্যাঙ্কের ইএমআইও সময়মতো না দেওয়ায় বাসগুলি পড়ে আছে ৷" এই সমস্যার সমাধানে তিনি স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড-এর (Student Credit Card) মতো বাস মালিকদের জন্য ক্রেডিট কার্ডের ব্যবস্থার কথা জানান ৷ তিনি বলেন, "গণপরিবহণে যদি 2-4 লাখ টাকার ক্রেডিট কার্ড করা যায়, তাহলে বাংলা ভারতবর্ষকে মুখ দেখাবে ৷" তাঁর আশা, এর ফলে গণপরিবহণ অনেক সচল হবে ৷ বহু বাসমালিক প্রয়োজনীয় নথিপত্র আপডেট করে বাস নিয়ে রাস্তায় ফিরতে পারেবে ৷

তিনি জোর দিয়ে বলেন, সরকার যদি প্রস্তাবিত অর্থের ক্রেডিট কার্ড দিতে পারে, তাহলে রাস্তায় বাসের সংখ্যা বাড়বে ৷ বকেয়া বিমা, ট্যাক্স আর সিএফ একে অপরের সঙ্গে জড়িত ৷ তাই এর সমাধান হলে বাসমালিকেরা বাস নামাতে পারবেন ৷ তবে সাধারণ সম্পাদক আশাবাদী খুব তাড়াতাড়ি ক্রেডিট কার্ড হয়ে যাবে ৷

ভাড়া বৃদ্ধি

ভাড়া বাড়ানো নিয়ে কোনও দাবি নেই বলে জানাল বাস মালিক সংগঠন ৷ তবে বিকল্প ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে কী ভাবে গণপরিবহণ ব্যবস্থাকে সচল করা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে ৷

আরও পড়ুন : West Bengal Transport: বাস কম থাকায় জবাব তলব রাজ্যের, ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে অনড় বাসমালিকরা

সিএফ

রাজ্যের যে কোনও জায়গায় সিএফ করার সুবিধের কথা জানিয়েছেন গণপরিবহণ মন্ত্রীকে ৷ প্রদীপ নারায়ণ বসু বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে যে কোনও মোটরভেহিলকসে যে কোনও গাড়ির সিএফ করা যেত ৷ কোনও প্রযুক্তিগত কারণে 2020-তে এটা বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷ আমরা এটা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছি ৷" এর কারণ হিসেবে তিনি জানান, কোনও গাড়ি যদি ওডিশা থেকে কলকাতায় আসে এবং পরবর্তী দিন তার সিএফ করার তারিখ ৷ এই অবস্থায় কলকাতায় যদি সিএফ করার সুবিধে না পাওয়া যায়, গাড়ির দুর্ঘটনা হলে দায়িত্ব কে নেবে ? কর্মসূত্রে অন্যত্র থাকলেও লাইসেন্স করা যায়, ঠিক সে ভাবে যে কোনও জায়গায় সিএফ যাতে করা যায়, সে কথা জানিয়েছেন তিনি ৷

পার্কিং ব্যবস্থা

কলকাতার বিভিন্ন সার্ভিস রোডের পৌরনিগমের তরফের যে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে, তা তুলে দিয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য রাস্তাগুলিকে আরও সুগম করতে হবে । যেসব বাস মালিকরা JNNURM প্রকল্পে বাস নিয়েছেন তাঁদের 50 শতাংশ টাকা ফেরত দেওয়া হয় গেলেই পারমিট দিতে হবে ।

আরজিকর সাবওয়ে

আরজিকরে মানুষের পথ চলাচলের সুবিধার্থে একটি সাবওয়ে করার প্রস্তাব দিয়েছিল বাস মালিক সংগঠন ৷ 2018 সালে দেওয়া এই প্রস্তাবে সাড়া মেলেনি ৷ কিন্তু এবার তা হবে বলে কথা দিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী ৷

আরও পড়ুন : Bus Fare Hike: রাজ্য বাস ভাড়া বাড়ছে না, বিকল্প পথেই সরকার

বিকল্প সিএনজি

পেট্রল ও ডিজেলের উপর রাজ্যের পরিবহণ শিল্পের নির্ভরশীলতা কমাতে মন্ত্রী বারে বারে সিএনজি ও বৈদ্যুতিক বাস চালু করার উপরে জোর দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। সেই বিষয় একাধিক সিএনজি বাস প্রস্তুতকারক সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চলছে । তবে এ বিষয়ে এখনও বেশ কিছু আলোচনা বাকি আর তারপরই বেসরকারি বাস মালিকদের সিএনজি-র বিষয় একটি রূপরেখা দেওয়া হবে ৷

অল বেঙ্গল বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আজকের সভায় পাহাড়ি এলাকা থেকে সাগরপাড়, জঙ্গলমহল থেকে জলঢাকা, 23টি জেলার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন ৷ 55 জনের একটি প্রতিনিধি দল যোগ দেয় বৈঠকে ৷" তিনি জানান একটি বাসের সঙ্গে 6-7 জনের কর্মসংস্থান হয়, তাদের পরিবারের ভরণপোষণ হয় ৷ এর লাভ-ক্ষতি কোনও কিছুর দায়ভার সরকারকে নিতে হয় না ৷ এর পরিবর্তে সরকার রাজস্ব পায় এবং তার কোষাগার স্ফীত হয় ৷ তিনি বলেন, "আমাদের আয়ের উৎস ভাড়া ৷ ভাড়া নিয়ন্ত্রণ করে সরকার ৷ ভাড়া বৃদ্ধির বিকল্প ভাড়া বৃদ্ধিই ৷ এই প্রসঙ্গ তুলেছি এবং লিখিত ভাবে জানিয়েছি ৷" তিনি জানান ভাড়া বাড়লে তা সরকার ঘোষণা করবেন ৷

তবে রাহুল চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্যে যে পরিমাণ বাস-মিনিবাস আছে, সেই সব বাসগুলিকে ডেডিকেটেড ইঞ্জিন বা সিএনজিতে রূপান্তরিত করতে গেলে, কতটা সময় লাগবে তা জানা নেই ৷ তাঁর দাবি, "সরকারকে অবিলম্বে ইতিবাচক ও নেতিবাচক পদক্ষেপ করতে হবে ৷"

তবে প্রদীপ নারায়ণ বসু আশ্বাস দিয়েছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে এই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে ৷

কলকাতা, 18 নভেম্বর : বেসরকারি পরিবহনের হাল ফেরাতে ইতিমধ্যে বেশ কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে সরকার ও বাস মালিক সংগঠনের মধ্যে । গতকাল ফের ময়দানের পরিবহণ টেন্টে পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম রাজ্যের 23টি জেলার বেসরকারি বাস সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন । তবে এবার সংগঠন সুটেন্ড ক্রেডিট কার্ডের মতো বাস মালিকদের অবস্থা ফেরাতে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবস্থা করার আবেদন জানায় সরকারের কাছে ৷

বৈঠকের পর ওয়েস্টবেঙ্গল বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ নারায়ণ বসু জানান, পরিবহণ মন্ত্রীর কাছে লিখিত ও মৌখিকভাবে মোট 12টি প্রস্তাব প্রস্তাব পেশ করেছেন তাঁরা ৷ তিনি বলেন, "30 জুন, 2022 পর্যন্ত বাসের ট্যাক্স, সিএফও ও পারমিট ফাইন মুকুব করতে হবে ৷"

গণপরিবহণে ক্রেডিট কার্ড

পুজোর পর বাস কমে যাওয়া প্রসঙ্গে প্রদীপবাবু বাসমালিকদের অর্থনৈতিক সমস্যার কথা তুলে ধরেন ৷ বলেন, "অনেক বাসমালিক বিমার টাকা দিতে না পারায় তাই ট্যাক্স দিতে পারছে না, সিএফও করতে পারছে না ৷ এমনকি ব্যাঙ্কের ইএমআইও সময়মতো না দেওয়ায় বাসগুলি পড়ে আছে ৷" এই সমস্যার সমাধানে তিনি স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড-এর (Student Credit Card) মতো বাস মালিকদের জন্য ক্রেডিট কার্ডের ব্যবস্থার কথা জানান ৷ তিনি বলেন, "গণপরিবহণে যদি 2-4 লাখ টাকার ক্রেডিট কার্ড করা যায়, তাহলে বাংলা ভারতবর্ষকে মুখ দেখাবে ৷" তাঁর আশা, এর ফলে গণপরিবহণ অনেক সচল হবে ৷ বহু বাসমালিক প্রয়োজনীয় নথিপত্র আপডেট করে বাস নিয়ে রাস্তায় ফিরতে পারেবে ৷

তিনি জোর দিয়ে বলেন, সরকার যদি প্রস্তাবিত অর্থের ক্রেডিট কার্ড দিতে পারে, তাহলে রাস্তায় বাসের সংখ্যা বাড়বে ৷ বকেয়া বিমা, ট্যাক্স আর সিএফ একে অপরের সঙ্গে জড়িত ৷ তাই এর সমাধান হলে বাসমালিকেরা বাস নামাতে পারবেন ৷ তবে সাধারণ সম্পাদক আশাবাদী খুব তাড়াতাড়ি ক্রেডিট কার্ড হয়ে যাবে ৷

ভাড়া বৃদ্ধি

ভাড়া বাড়ানো নিয়ে কোনও দাবি নেই বলে জানাল বাস মালিক সংগঠন ৷ তবে বিকল্প ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে কী ভাবে গণপরিবহণ ব্যবস্থাকে সচল করা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে ৷

আরও পড়ুন : West Bengal Transport: বাস কম থাকায় জবাব তলব রাজ্যের, ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে অনড় বাসমালিকরা

সিএফ

রাজ্যের যে কোনও জায়গায় সিএফ করার সুবিধের কথা জানিয়েছেন গণপরিবহণ মন্ত্রীকে ৷ প্রদীপ নারায়ণ বসু বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে যে কোনও মোটরভেহিলকসে যে কোনও গাড়ির সিএফ করা যেত ৷ কোনও প্রযুক্তিগত কারণে 2020-তে এটা বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷ আমরা এটা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছি ৷" এর কারণ হিসেবে তিনি জানান, কোনও গাড়ি যদি ওডিশা থেকে কলকাতায় আসে এবং পরবর্তী দিন তার সিএফ করার তারিখ ৷ এই অবস্থায় কলকাতায় যদি সিএফ করার সুবিধে না পাওয়া যায়, গাড়ির দুর্ঘটনা হলে দায়িত্ব কে নেবে ? কর্মসূত্রে অন্যত্র থাকলেও লাইসেন্স করা যায়, ঠিক সে ভাবে যে কোনও জায়গায় সিএফ যাতে করা যায়, সে কথা জানিয়েছেন তিনি ৷

পার্কিং ব্যবস্থা

কলকাতার বিভিন্ন সার্ভিস রোডের পৌরনিগমের তরফের যে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে, তা তুলে দিয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য রাস্তাগুলিকে আরও সুগম করতে হবে । যেসব বাস মালিকরা JNNURM প্রকল্পে বাস নিয়েছেন তাঁদের 50 শতাংশ টাকা ফেরত দেওয়া হয় গেলেই পারমিট দিতে হবে ।

আরজিকর সাবওয়ে

আরজিকরে মানুষের পথ চলাচলের সুবিধার্থে একটি সাবওয়ে করার প্রস্তাব দিয়েছিল বাস মালিক সংগঠন ৷ 2018 সালে দেওয়া এই প্রস্তাবে সাড়া মেলেনি ৷ কিন্তু এবার তা হবে বলে কথা দিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী ৷

আরও পড়ুন : Bus Fare Hike: রাজ্য বাস ভাড়া বাড়ছে না, বিকল্প পথেই সরকার

বিকল্প সিএনজি

পেট্রল ও ডিজেলের উপর রাজ্যের পরিবহণ শিল্পের নির্ভরশীলতা কমাতে মন্ত্রী বারে বারে সিএনজি ও বৈদ্যুতিক বাস চালু করার উপরে জোর দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। সেই বিষয় একাধিক সিএনজি বাস প্রস্তুতকারক সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চলছে । তবে এ বিষয়ে এখনও বেশ কিছু আলোচনা বাকি আর তারপরই বেসরকারি বাস মালিকদের সিএনজি-র বিষয় একটি রূপরেখা দেওয়া হবে ৷

অল বেঙ্গল বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আজকের সভায় পাহাড়ি এলাকা থেকে সাগরপাড়, জঙ্গলমহল থেকে জলঢাকা, 23টি জেলার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন ৷ 55 জনের একটি প্রতিনিধি দল যোগ দেয় বৈঠকে ৷" তিনি জানান একটি বাসের সঙ্গে 6-7 জনের কর্মসংস্থান হয়, তাদের পরিবারের ভরণপোষণ হয় ৷ এর লাভ-ক্ষতি কোনও কিছুর দায়ভার সরকারকে নিতে হয় না ৷ এর পরিবর্তে সরকার রাজস্ব পায় এবং তার কোষাগার স্ফীত হয় ৷ তিনি বলেন, "আমাদের আয়ের উৎস ভাড়া ৷ ভাড়া নিয়ন্ত্রণ করে সরকার ৷ ভাড়া বৃদ্ধির বিকল্প ভাড়া বৃদ্ধিই ৷ এই প্রসঙ্গ তুলেছি এবং লিখিত ভাবে জানিয়েছি ৷" তিনি জানান ভাড়া বাড়লে তা সরকার ঘোষণা করবেন ৷

তবে রাহুল চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্যে যে পরিমাণ বাস-মিনিবাস আছে, সেই সব বাসগুলিকে ডেডিকেটেড ইঞ্জিন বা সিএনজিতে রূপান্তরিত করতে গেলে, কতটা সময় লাগবে তা জানা নেই ৷ তাঁর দাবি, "সরকারকে অবিলম্বে ইতিবাচক ও নেতিবাচক পদক্ষেপ করতে হবে ৷"

তবে প্রদীপ নারায়ণ বসু আশ্বাস দিয়েছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে এই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.