ETV Bharat / state

সময়ে গাড়ির ডিজিটাল স্মার্ট কার্ড না মেলায় সমস্যায় রাজ্যবাসী, আশ্বাস পরিবহণ মন্ত্রীর

Driving Smart Card: গাড়ির ডিজিটাল স্মার্ট কার্ড নিয়ে সমস্যায় জর্জরিত রাজ্যবাসী ৷ সময়ে তা হাতে না মেলায় গুনতে হচ্ছে জরিমানা ৷ দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস পরিবহণ মন্ত্রীর ৷

Driving Smart Card
মাইক্রো চিপ বসানো স্মার্ট কার্ড
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 3, 2023, 12:17 PM IST

পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর আশ্বাস

কলকাতা, 3 ডিসেম্বর: কথা ছিল আবেদন করলে 48 ঘণ্টার মধ্যেই মিলবে চিপ বসানো গাড়ির স্মার্ট কার্ড । তবে পরিবহণ দফতরের কথা অনুযায়ী তেমনটা হচ্ছে না বলেই অভিযোগ একাংশ রাজ্যবাসীর । স্মার্ট কার্ড পেতে পেতে মাসের পর মাস কাবার হয়ে যাচ্ছে ৷ বিভিন্ন জায়গা থেকে একের পর এক এমনটাই অভিযোগ সামনে আসছে । এবার সেই বিষয়ে মুখ খুললেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী ৷

তিনি বলেন, "ইতিমধ্যেই পাঁচ লক্ষের বেশি স্মার্ট কার্ড দেওয়া হয়েছে । তবে কিছু স্মার্ট কার্ডের ক্ষেত্রে দেরি হচ্ছে । তবে সেই সংখ্যাটা খুব বেশি নয় । কার্ডগুলির ক্ষেত্রে ঠিকানা সঠিক না থাকায় সেগুলি ফিরে গিয়েছে । প্রতিদিন আট থেকে দশ হাজার রেজিস্ট্রেশন এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হয় । কয়েক হাজার কার্ড হয়তো পৌঁছতে দেরি হচ্ছে । কিছু ক্ষেত্রে এই সমস্যাটা হবে । সেই সংখ্যাটা অনেক কম । কিন্তু আশা করা হচ্ছে যে এই সমস্যা পরিবহণ দফতর ঠিক করে ফেলতে পারবে ।"

digital transport smart card
পরিবহণ দফতরকে বাস অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ

চলতি বছরের গত 1 জুন নয়া এই মাইক্রো চিপ বসানো স্মার্ট কার্ডের উদ্বোধন করেছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী । রাজ্যের পরিবহণ ব্যবস্থাকে আরও স্মার্ট এবং সুরক্ষিত করে তুলতে এই নয়া পদক্ষেপ বলে তিনি জানিয়েছেলেন ৷ তাই কাগজের স্মার্ট কার্ডের পরিবর্তে এবার আবেদনকারীরা পাবেন ল্যামিনেট করা মাইক্রো চিপ বসানো স্মার্ট কার্ড । মূলত মিনিস্ট্রি অফ রোড ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড হাইওয়েসের(মোর্ট) নিয়মে ওয়ান নেশন ওয়ান কার্ডের রীতি মেনেই এই পরিষেবা বাংলায় চালু করা হয় । তখন বলা হয়েছিল, কেউ যদি ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেন, সেক্ষেত্রে ড্রাইভিং পরীক্ষা দেওয়ার একঘণ্টার মধ্যেই পাশ করলে সার্টিফিকেটের সফট কপি মোবাইল ফোনে চলে যাবে । তারপর দু'দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট ব্যক্তির বাড়ির ঠিকানায় পৌঁছে যাবে নয়া রূপের এই স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স ।

আর তা কাগজের আকারে নয়, ভারতীয় ডাক বিভাগের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কুরিয়ারের মাধ্যমে বাড়ির ঠিকানায় চলে আসবে পিভিসি বা স্মার্ট কার্ড । কার্ডটি দেখতে কিছুটা এটিএম কার্ডের মতো । এই স্মার্ট কার্ডে মাইক্রোচিপ এবং কিউ আর কোড বসানো আছে । প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা কিউ আর কোড বরাদ্দ । এর ফলে স্মার্ট কার্ড জাল করার বা তা কপি করার কোনও সম্ভাবনা থাকবে না বলেই জানানো হয়েছিল । এই পরিষেবার জন্য বাড়তি 200 টাকা গুনতে হবে আবেদনকারীকে । তবে সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, এই স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করা যাবে দেশের যেকোনও রাজ্যে । তার জন্য আলাদা করে আর কোনও অনুমতির প্রয়োজন পড়বে না ।

এই কার্ডের প্রিন্টিংয়ের জন্য 'রোজমের্টা টেকনোলজিস' নামে একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে পরিবহণ দফতর । অন্যদিকে এই কার্ডে প্রদত্ত যাবতীয় তথ্য পরিবহণ দফতরকে সরবরাহ করবে ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টার বা এনআইএ । পাশাপাশি উপভোক্তাদের দোরগোড়ায় এই কার্ড পৌঁছে দিতে ভারতীয় ডাক বিভাগের সঙ্গে মৌ সাক্ষর করেছে পরিবহণ দফতর । তবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিযোগ উঠছে যে 48 ঘণ্টা তো দুরস্থ, কয়েকমাস লেগে যাচ্ছে এই কার্ড হাতে পেতে । এর ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আবেদনকারীদের ।

এই বিষয় বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে এই নিয়ে অভিযোগ আসছে । এর ফলে আবেদনকারীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে । রেজিস্ট্রেশন নবিকরণ হোক বা নাম পরিবর্তন করা হোক কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া হোক, সব ক্ষেত্রেই নতুন স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে । স্মার্ট কার্ড দেরি করে পাওয়ার ফলে অনেকের সিএফ পিছিয়ে যাচ্ছে । তারপর জরিমানা দিয়ে সিএফ করাতে হচ্ছে । আবার স্মার্ট কার্ড না থাকলে পারমিট পেতেও দেরি হয়ে যাচ্ছে । গাড়ি সংক্রান্ত যেকোন প্রশাসনিক কাজের জন্যেই স্মার্ট কার্ডের প্রয়ো জন। সেটাই যদি হাতে না থাকে তবে সব ক্ষেত্রেই পরে জরিমানা দিতে হবে ।

আর এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গাড়ির মালিক জানান, স্মার্ট কার্ড প্রিন্ট করে হাতে হাতে দিলে অনেকটা সময় বেচে যাবে । কারণ অনেক ক্ষেত্রে এমনটাও দেখা যাচ্ছে যে বাড়িতে কেউ নেই বলে স্মার্ট কার্ড ফিরে গিয়েছে । তারপর আবার তা পেতে পেতে অনেকটা সময় লেগে যাচ্ছে ।

রোজমের্টা টেকনোলজিসের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, দেশের এই রাজ্যের প্রথম স্মার্ট কার্ডের ক্ষেত্রে এই ধরনের অটোমেটেড ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে । আবেদনকারীকে একটি সম্পূর্ণ সুরক্ষিত কার্ড দেওয়া হয় । তাই সবকটি বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখেই এই কার্ডটি প্রিন্ট করা হয় । এই কার্ডটির জন্য প্রয়োজনীয় কিছু তথ্যের প্রয়োজন হয় । তাই সেক্ষেত্রে এনআইএর তরফে তথ্য পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় । তারপরেও বেশ কিছু প্রক্রিয়া থাকে । এরপর কার্ডগুলো প্রিন্টিংয়ের জন্য পাঠানো হয় । তবে আশা করা হচ্ছে যে আগামিদিনে এই সমস্যাটি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে ।

আরও পড়ুন:

  1. ড্রাইভিং লাইসেন্সে এবার 'স্মার্ট' ! রাখতে হবে না কাগজ, জেনে নিন পরিবহণ দফতরের নয়া নীতি
  2. এবার মিলবে স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স, কী কী সুবিধা পাবেন গ্রাহকরা?
  3. সরকারি বাসে এবার মিলবে ডিজিটাল স্মার্ট কার্ড পরিষেবা

পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর আশ্বাস

কলকাতা, 3 ডিসেম্বর: কথা ছিল আবেদন করলে 48 ঘণ্টার মধ্যেই মিলবে চিপ বসানো গাড়ির স্মার্ট কার্ড । তবে পরিবহণ দফতরের কথা অনুযায়ী তেমনটা হচ্ছে না বলেই অভিযোগ একাংশ রাজ্যবাসীর । স্মার্ট কার্ড পেতে পেতে মাসের পর মাস কাবার হয়ে যাচ্ছে ৷ বিভিন্ন জায়গা থেকে একের পর এক এমনটাই অভিযোগ সামনে আসছে । এবার সেই বিষয়ে মুখ খুললেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী ৷

তিনি বলেন, "ইতিমধ্যেই পাঁচ লক্ষের বেশি স্মার্ট কার্ড দেওয়া হয়েছে । তবে কিছু স্মার্ট কার্ডের ক্ষেত্রে দেরি হচ্ছে । তবে সেই সংখ্যাটা খুব বেশি নয় । কার্ডগুলির ক্ষেত্রে ঠিকানা সঠিক না থাকায় সেগুলি ফিরে গিয়েছে । প্রতিদিন আট থেকে দশ হাজার রেজিস্ট্রেশন এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হয় । কয়েক হাজার কার্ড হয়তো পৌঁছতে দেরি হচ্ছে । কিছু ক্ষেত্রে এই সমস্যাটা হবে । সেই সংখ্যাটা অনেক কম । কিন্তু আশা করা হচ্ছে যে এই সমস্যা পরিবহণ দফতর ঠিক করে ফেলতে পারবে ।"

digital transport smart card
পরিবহণ দফতরকে বাস অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ

চলতি বছরের গত 1 জুন নয়া এই মাইক্রো চিপ বসানো স্মার্ট কার্ডের উদ্বোধন করেছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী । রাজ্যের পরিবহণ ব্যবস্থাকে আরও স্মার্ট এবং সুরক্ষিত করে তুলতে এই নয়া পদক্ষেপ বলে তিনি জানিয়েছেলেন ৷ তাই কাগজের স্মার্ট কার্ডের পরিবর্তে এবার আবেদনকারীরা পাবেন ল্যামিনেট করা মাইক্রো চিপ বসানো স্মার্ট কার্ড । মূলত মিনিস্ট্রি অফ রোড ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড হাইওয়েসের(মোর্ট) নিয়মে ওয়ান নেশন ওয়ান কার্ডের রীতি মেনেই এই পরিষেবা বাংলায় চালু করা হয় । তখন বলা হয়েছিল, কেউ যদি ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেন, সেক্ষেত্রে ড্রাইভিং পরীক্ষা দেওয়ার একঘণ্টার মধ্যেই পাশ করলে সার্টিফিকেটের সফট কপি মোবাইল ফোনে চলে যাবে । তারপর দু'দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট ব্যক্তির বাড়ির ঠিকানায় পৌঁছে যাবে নয়া রূপের এই স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স ।

আর তা কাগজের আকারে নয়, ভারতীয় ডাক বিভাগের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কুরিয়ারের মাধ্যমে বাড়ির ঠিকানায় চলে আসবে পিভিসি বা স্মার্ট কার্ড । কার্ডটি দেখতে কিছুটা এটিএম কার্ডের মতো । এই স্মার্ট কার্ডে মাইক্রোচিপ এবং কিউ আর কোড বসানো আছে । প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা কিউ আর কোড বরাদ্দ । এর ফলে স্মার্ট কার্ড জাল করার বা তা কপি করার কোনও সম্ভাবনা থাকবে না বলেই জানানো হয়েছিল । এই পরিষেবার জন্য বাড়তি 200 টাকা গুনতে হবে আবেদনকারীকে । তবে সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, এই স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করা যাবে দেশের যেকোনও রাজ্যে । তার জন্য আলাদা করে আর কোনও অনুমতির প্রয়োজন পড়বে না ।

এই কার্ডের প্রিন্টিংয়ের জন্য 'রোজমের্টা টেকনোলজিস' নামে একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে পরিবহণ দফতর । অন্যদিকে এই কার্ডে প্রদত্ত যাবতীয় তথ্য পরিবহণ দফতরকে সরবরাহ করবে ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টার বা এনআইএ । পাশাপাশি উপভোক্তাদের দোরগোড়ায় এই কার্ড পৌঁছে দিতে ভারতীয় ডাক বিভাগের সঙ্গে মৌ সাক্ষর করেছে পরিবহণ দফতর । তবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিযোগ উঠছে যে 48 ঘণ্টা তো দুরস্থ, কয়েকমাস লেগে যাচ্ছে এই কার্ড হাতে পেতে । এর ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আবেদনকারীদের ।

এই বিষয় বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে এই নিয়ে অভিযোগ আসছে । এর ফলে আবেদনকারীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে । রেজিস্ট্রেশন নবিকরণ হোক বা নাম পরিবর্তন করা হোক কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া হোক, সব ক্ষেত্রেই নতুন স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে । স্মার্ট কার্ড দেরি করে পাওয়ার ফলে অনেকের সিএফ পিছিয়ে যাচ্ছে । তারপর জরিমানা দিয়ে সিএফ করাতে হচ্ছে । আবার স্মার্ট কার্ড না থাকলে পারমিট পেতেও দেরি হয়ে যাচ্ছে । গাড়ি সংক্রান্ত যেকোন প্রশাসনিক কাজের জন্যেই স্মার্ট কার্ডের প্রয়ো জন। সেটাই যদি হাতে না থাকে তবে সব ক্ষেত্রেই পরে জরিমানা দিতে হবে ।

আর এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গাড়ির মালিক জানান, স্মার্ট কার্ড প্রিন্ট করে হাতে হাতে দিলে অনেকটা সময় বেচে যাবে । কারণ অনেক ক্ষেত্রে এমনটাও দেখা যাচ্ছে যে বাড়িতে কেউ নেই বলে স্মার্ট কার্ড ফিরে গিয়েছে । তারপর আবার তা পেতে পেতে অনেকটা সময় লেগে যাচ্ছে ।

রোজমের্টা টেকনোলজিসের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, দেশের এই রাজ্যের প্রথম স্মার্ট কার্ডের ক্ষেত্রে এই ধরনের অটোমেটেড ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে । আবেদনকারীকে একটি সম্পূর্ণ সুরক্ষিত কার্ড দেওয়া হয় । তাই সবকটি বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখেই এই কার্ডটি প্রিন্ট করা হয় । এই কার্ডটির জন্য প্রয়োজনীয় কিছু তথ্যের প্রয়োজন হয় । তাই সেক্ষেত্রে এনআইএর তরফে তথ্য পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় । তারপরেও বেশ কিছু প্রক্রিয়া থাকে । এরপর কার্ডগুলো প্রিন্টিংয়ের জন্য পাঠানো হয় । তবে আশা করা হচ্ছে যে আগামিদিনে এই সমস্যাটি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে ।

আরও পড়ুন:

  1. ড্রাইভিং লাইসেন্সে এবার 'স্মার্ট' ! রাখতে হবে না কাগজ, জেনে নিন পরিবহণ দফতরের নয়া নীতি
  2. এবার মিলবে স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স, কী কী সুবিধা পাবেন গ্রাহকরা?
  3. সরকারি বাসে এবার মিলবে ডিজিটাল স্মার্ট কার্ড পরিষেবা
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.