ETV Bharat / state

কোরোনা আতঙ্ক নিয়েই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন টোল প্লাজ়ার কর্মীরা

author img

By

Published : Apr 22, 2020, 12:25 PM IST

লকডাউন পরিস্থিতির জেরে ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (NHAI) তরফে টোল প্লাজ়াগুলি 26 মার্চ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় । তবে NHAI-র থেকে ঘোষণা করা হয় যে 20 এপ্রিল মধ্যরাত থেকেই আবার খুলে দেওয়া হবে জাতীয় সড়কের টোল গেটগুলি । এর ফলে সংকটের মধ্যে কাজ চালাতে বাধ্য হচ্ছেন কর্মীরা ।

toll plaza
টোল প্লাজ়া

কলকাতা, 22 এপ্রিল: লকডাউন পরিস্থিতি থাকলেও 20 এপ্রিল মধ্যরাত থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে জাতীয় সড়কের সবকটি টোল প্লাজ়া । কিন্তু কোরোনা আতঙ্কের কারণে বহু কর্মী কাজে যোগ দেননি । ডানকুনি টোল প্লাজ়ার কর্মীদের আক্ষেপ, এই অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে তাঁদের ।

লকডাউন পরিস্থিতির জেরে ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (NHAI) তরফে টোল প্লাজ়াগুলি 26 মার্চ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় । তবে 20 এপ্রিল মধ্যরাত থেকেই জাতীয় সড়কের টোল গেটগুলি খুলে দেওয়ার কথা জানায় NHAI । এর ফলে সংকটের মধ্যে কাজ চালাতে বাধ্য হচ্ছেন কর্মীরা । NHAI-এর ডানকুনি-পালসিট টোল প্লাজ়ার প্রোজেক্ট হেড প্রীতম চট্টোপাধ্যায় বলেন, "ইতিমধ্যেই হাওড়াকে হটস্পট বা রেড জ়োন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে । বেশিরভাগ গাড়ি হাওড়া হয়ে এসে ডানকুনি দিয়ে পালসিটের দিকে বেরিয়ে যাচ্ছে । ডানকুনি টোল প্লাজ়াতেই কাজ করেন 325 জন কর্মী । তাই একজন সংক্রমিত হলে বাকি কর্মীদেরও সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে । অর্ধেকের বেশি কর্মী কাজে আসতে পারছেন না । আবার অনেকে সংক্রমণের ভয়ে কাজে যোগ দিতে চাইছেন না । এই মুহূর্তে এত বড় একটি টোল প্লাজ়া মাত্র 100 জন মতো কর্মীকে দিয়ে চালানো হচ্ছে । তাই বাকিদের উপর অনেক বেশি চাপ পড়ছে । টাকা-পয়সা লেনদেনের ক্ষেত্রে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।"

একটি ট্র্যাফিক রিপোর্ট অনুসারে বর্তমানে প্রায় 60 থেকে 65 শতাংশ বাইরের গাড়ি টোল প্লাজ়া দিয়ে যাতায়াত করছে । কর্মীরা জানিয়েছেন, গ্লাভস পরে টাকা গোনা সম্ভব নয় । তাই তাঁদের গ্লাভস খুলে রেখে টাকা গুনতে হচ্ছে । অন্যদিকে ডানকুনিতে সারাদিনে রাজ্য তথা আন্তঃরাজ্যের বহু ট্রাক ও গাড়ি যাতায়াত করছে । বেশিরভাগ ট্রাকচালকের মুখে নেই মাস্ক ও হাতে নেই গ্লাভস । প্রীতমবাবু আরও বলেন, "কর্মীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে আমরা নিজেরাই তৎপর হওয়ার চেষ্টা করছি । টোল প্লাজ়াটিকে ইতিমধ্যে স্যানিটাইজ় করানো হয়েছে। "

অন্যদিকে হাওড়া লাগোয়া এই ডানকুনি টোল প্লাজ়ার জায়গাটিও স্পর্শকাতর । ডানকুনি টোল প্লাজ়ার এক কর্মী বুবুন ঘণ্টি বলেন, "এখান থেকে 200 মিটারের মধ্যে গত দু'দিনে পাঁচজন কোরোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে । ডানকুনি সংলগ্ন হাওড়া রেড জ়োনের মধ্যে পড়ছে । ডানকুনি থেকে হাওড়া মাত্র দুই কিলোমিটারের মধ্যে । পাশাপাশি ডানকুনি এলাকার মধ্যেই বহু জায়গায় সংক্রমণ ছড়িয়েছে । তাই আমরা ভীষণ আতঙ্কের মধ্যে কাজ করে চলেছি । এছাড়াও এই মুহূর্তে যে সমস্ত গাড়ি ডানকুনি টোল প্লাজ়া দিয়ে পারাপার করছে সেগুলি বেশিরভাগই হাওড়া হয়ে আসছে । আমরা গ্লাভস, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার করছি । তবে তাও আমরা কতটা নিরাপদ সেই বিষয়ে নিশ্চিত নই ।"

ডানকুনি টোল প্লাজ়ার আর এক কর্মী প্রথিক চট্টোপাধ্যায় বলেন, "যাঁরা ডানকুনি টোলপ্লাজ়ার অফিসে বসে কাজ করছেন তাঁদেরও কম ভয় নেই । কারণ যাঁরা গেটে দাঁড়িয়ে কাজ করছেন তাঁরা প্রতিমুহূর্তে ভিতরে এসে টাকা জমা করছেন । সারাদিনে বহুবার টাকার লেনদেন চলছে । এছাড়াও আমাদের মাঝে-মধ্যেই গেটে গিয়ে কাজ করতে হচ্ছে । ইতিমধ্যেই ডানকুনি অঞ্চলের আশেপাশে কোরোনা সংক্রমণের খবরও পাওয়া গেছে ।"

কলকাতা, 22 এপ্রিল: লকডাউন পরিস্থিতি থাকলেও 20 এপ্রিল মধ্যরাত থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে জাতীয় সড়কের সবকটি টোল প্লাজ়া । কিন্তু কোরোনা আতঙ্কের কারণে বহু কর্মী কাজে যোগ দেননি । ডানকুনি টোল প্লাজ়ার কর্মীদের আক্ষেপ, এই অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে তাঁদের ।

লকডাউন পরিস্থিতির জেরে ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (NHAI) তরফে টোল প্লাজ়াগুলি 26 মার্চ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় । তবে 20 এপ্রিল মধ্যরাত থেকেই জাতীয় সড়কের টোল গেটগুলি খুলে দেওয়ার কথা জানায় NHAI । এর ফলে সংকটের মধ্যে কাজ চালাতে বাধ্য হচ্ছেন কর্মীরা । NHAI-এর ডানকুনি-পালসিট টোল প্লাজ়ার প্রোজেক্ট হেড প্রীতম চট্টোপাধ্যায় বলেন, "ইতিমধ্যেই হাওড়াকে হটস্পট বা রেড জ়োন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে । বেশিরভাগ গাড়ি হাওড়া হয়ে এসে ডানকুনি দিয়ে পালসিটের দিকে বেরিয়ে যাচ্ছে । ডানকুনি টোল প্লাজ়াতেই কাজ করেন 325 জন কর্মী । তাই একজন সংক্রমিত হলে বাকি কর্মীদেরও সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে । অর্ধেকের বেশি কর্মী কাজে আসতে পারছেন না । আবার অনেকে সংক্রমণের ভয়ে কাজে যোগ দিতে চাইছেন না । এই মুহূর্তে এত বড় একটি টোল প্লাজ়া মাত্র 100 জন মতো কর্মীকে দিয়ে চালানো হচ্ছে । তাই বাকিদের উপর অনেক বেশি চাপ পড়ছে । টাকা-পয়সা লেনদেনের ক্ষেত্রে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।"

একটি ট্র্যাফিক রিপোর্ট অনুসারে বর্তমানে প্রায় 60 থেকে 65 শতাংশ বাইরের গাড়ি টোল প্লাজ়া দিয়ে যাতায়াত করছে । কর্মীরা জানিয়েছেন, গ্লাভস পরে টাকা গোনা সম্ভব নয় । তাই তাঁদের গ্লাভস খুলে রেখে টাকা গুনতে হচ্ছে । অন্যদিকে ডানকুনিতে সারাদিনে রাজ্য তথা আন্তঃরাজ্যের বহু ট্রাক ও গাড়ি যাতায়াত করছে । বেশিরভাগ ট্রাকচালকের মুখে নেই মাস্ক ও হাতে নেই গ্লাভস । প্রীতমবাবু আরও বলেন, "কর্মীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে আমরা নিজেরাই তৎপর হওয়ার চেষ্টা করছি । টোল প্লাজ়াটিকে ইতিমধ্যে স্যানিটাইজ় করানো হয়েছে। "

অন্যদিকে হাওড়া লাগোয়া এই ডানকুনি টোল প্লাজ়ার জায়গাটিও স্পর্শকাতর । ডানকুনি টোল প্লাজ়ার এক কর্মী বুবুন ঘণ্টি বলেন, "এখান থেকে 200 মিটারের মধ্যে গত দু'দিনে পাঁচজন কোরোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে । ডানকুনি সংলগ্ন হাওড়া রেড জ়োনের মধ্যে পড়ছে । ডানকুনি থেকে হাওড়া মাত্র দুই কিলোমিটারের মধ্যে । পাশাপাশি ডানকুনি এলাকার মধ্যেই বহু জায়গায় সংক্রমণ ছড়িয়েছে । তাই আমরা ভীষণ আতঙ্কের মধ্যে কাজ করে চলেছি । এছাড়াও এই মুহূর্তে যে সমস্ত গাড়ি ডানকুনি টোল প্লাজ়া দিয়ে পারাপার করছে সেগুলি বেশিরভাগই হাওড়া হয়ে আসছে । আমরা গ্লাভস, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার করছি । তবে তাও আমরা কতটা নিরাপদ সেই বিষয়ে নিশ্চিত নই ।"

ডানকুনি টোল প্লাজ়ার আর এক কর্মী প্রথিক চট্টোপাধ্যায় বলেন, "যাঁরা ডানকুনি টোলপ্লাজ়ার অফিসে বসে কাজ করছেন তাঁদেরও কম ভয় নেই । কারণ যাঁরা গেটে দাঁড়িয়ে কাজ করছেন তাঁরা প্রতিমুহূর্তে ভিতরে এসে টাকা জমা করছেন । সারাদিনে বহুবার টাকার লেনদেন চলছে । এছাড়াও আমাদের মাঝে-মধ্যেই গেটে গিয়ে কাজ করতে হচ্ছে । ইতিমধ্যেই ডানকুনি অঞ্চলের আশেপাশে কোরোনা সংক্রমণের খবরও পাওয়া গেছে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.