কলকাতা, 20 জুলাই : রবিবার রাত থেকে দেশের রাজনীতিতে সবথেকে বড় ইস্যু পেগাসাস ৷ অভিযোগ ওঠে বিরোধী নেতাদের গতিবিধির উপর নজর রাখতে কেন্দ্রীয় সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে ব্যবহার করছে ইজরায়েলি স্পাইওয়ার পেগাসাসকে ৷ একই ইস্যুতে উত্তাল সংসদের বাদল অধিবেশনও ৷ পেগাসাসের তালিকায় ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের ফোন নম্বর পাওয়া যায় ৷ তারপর থেকেই বিরোধীদের প্রতিবাদের ঝাঁঝ আরও বাড়তে থাকে ৷ এবার পথে নামল শাসকদলের ছাত্র সংগঠন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ৷ আজ গান্ধি মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করে তারা ৷
বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক স্লোগান ওঠে ৷ তাদের অভিযোগ, বিরোধীদের গতিবিধির উপর নজর রাখতে সমস্ত সরকারি এজেন্সিকে ব্যবহার করছে মোদি সরকার ৷
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য জানান, তাঁরা স্পাইওয়ারের সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য সবার সামনে আনতে চান ৷ অভিযোগ, ইজরায়েলি এই স্পাইওয়ার দিয়ে প্রায় 300-র বেশি রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক, ব্যবসায়ীর ফোন হ্যাক করা হয়েছে ৷ তিনি বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদির সরকার সমস্ত সরকারি এজেন্সি দিয়ে তাঁর সমালোচকদের অপদস্থ করার চেষ্টা করছেন ৷ এখন এই পেগাসাস ইস্যুতে দেখা যাচ্ছে, এই সরকার সমস্ত সীমা ছাড়িয়েছে ৷’’
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের দাবি, মোদি সরকারের সবার উপর নজরদারি চালানো বন্ধ করতে হবে ৷ তাঁরা স্লোগান তোলেন, ‘‘লুকোচুরি খেলতে দেব না ৷’’ তবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে ৷ সরকারের দাবি কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তি, ব্যবসায়ী বা সাংবাদিকের গতিবিধির উপর স্পাইওয়ার ব্যবহার করে কেন্দ্রীয় সরকার নজরদারি করছে না ৷ তাঁরা অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সরকার ও ভারতের গণতন্ত্রকে কালিমালিপ্ত করতেই এই ধরনের অভিযোগ তোলা হচ্ছে ৷
আরও পড়ুন : Pegasus Spyware : রিবুট বা ফ্যাক্টরি রিসেট করেও উৎখাত করা যায় না পেগাসাসকে
রবিবার একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট প্রকাশ হয় ৷ রিপোর্টে বলা হয়, ভারতের প্রায় 300-র বেশি ফোন নম্বর স্পাইওয়ারের মাধ্যমে হ্যাক করা হতে পারে ৷ এর মধ্যে আছেন দুই মন্ত্রীর ফোন নম্বর, 40-এর বেশি সাংবাদিকের নম্বর, তিন জন বিরোধী নেতা ও একজন বিচারপতির নম্বরও আছে ৷ এছাড়া আছে একাধিক ব্যবসায়ীর ফোন নম্বর ৷
আরও পড়ুন : পেগাসাস ইস্যু খোলসা না করলে অচল থাকবে সংসদ, হুঁশিয়ারি তৃণমূলের
বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগেস ৷ কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের ফোনে স্পাইওয়ারের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে ৷ একই সঙ্গে এটি গণতন্ত্রের উপর হামলা বলেও উল্লেখ করেন তারা ৷