কলকাতা, 10 জানুয়ারি: নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব নিয়ে যখন শাসক দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব বারবার প্রকাশ্যে চলে আসছে, ঠিক তখন বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলার নেতাদের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এদিন তৃণমূল নেত্রী স্পষ্ট বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেসে গণতন্ত্র রয়েছে। ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকতেই পারে। কিন্তু কোনও ক্ষোভ থাকলে তা দলের অন্দরেই বলতে হবে।" পাশাপাশি যেখানে-সেখানে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলা যাবে না বলেও স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন দলনেত্রী।
তৃণমূল নেত্রীর এদিনের এই সিদ্ধান্তে দলের অন্দরে কার্যত 'সেন্সারশিপ' চালুর প্রয়াস দেখছে রাজনৈতিক মহল। একই সঙ্গে এদিন দলনেত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন, দলের মুখপাত্রদের বক্তব্যে খুশি নন তিনি ৷ এক্ষেত্রে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, শীঘ্রই দলের মুখপাত্রদের বদল করাও হতে পারে। এক্ষেত্রে কাদের মুখপাত্র হিসেবে বেছে নেওয়া হবে, তা ঠিক করার দায়িত্ব সুব্রত বক্সী ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। একইসঙ্গে নেতারা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ না-করে ক্ষোভ-বিক্ষোভের কথা রাজ্য নেতৃত্ব তথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী অথবা তাঁকে সরাসরি জানাতে পারেন বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷
সাম্প্রতিক অতীতে নবীন-প্রবীন দ্বন্দ্ব নিয়ে প্রকাশ্যেই মুখ খুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্ররা। দলের রাজ্য সভাপতি, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে প্রকাশ্যেই প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্রদের। এই পর্ব নিয়ে যথেষ্ট জলঘোলা হলেও এতদিন নীরবই ছিলেন দলনেত্রী। এদিন দলের নেতাদের প্রকাশ্যে মুখ খোলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারির পাশাপাশি মুখপাত্র বদলের ইঙ্গিত আদতে এটাই স্পষ্ট করছে, দলের মুখপাত্রেরা যেভাবে বক্তব্য রাখছেন, তাতে সায় নেই মমতার। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ হল, মুখপাত্র বদলের ইঙ্গিত দিলেও, নতুন মুখপাত্র বাছার দায়িত্ব অভিষেক এবং সুব্রত বক্সীর হাতে দেওয়ায়, শেষ পর্যন্ত সহমতের ভিত্তিতে নতুন মুখপাত্র বাছাই আদৌ কী সম্ভব হবে !
আরও পড়ুন: