কলকাতা, 20 সেপ্টেম্বর: কর্মসূচির অনুমোদন দেয়নি দিল্লি পুলিশ ৷ সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ একইসঙ্গে রাজ্যের প্রত্যেকটি ব্লক স্তরে জায়ান্ট স্ক্রিনের মাধ্যমে দিল্লির কর্মসূচি দেখানোর পরিকল্পনাও নিচ্ছে তৃণমূল ৷
গান্ধি জয়ন্তীতে দিল্লিতে মেগা কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের দাবি আদায়ের জন্য দিল্লি চলো'র ডাক দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তৃণমূল দলীয় সূত্রে খবর, এই কর্মসূচির জন্য অনুমতি চেয়ে একাধিক চিঠি দিল্লি পুলিশকে দিলেও এখনও তার কোনও সদুত্তর পায়নি রাজ্যের শাসক দল। এই অবস্থায় কর্মসূচির অনুমতি চাইতে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে তৃণমূল। অন্তত এই রাজ্যের শাসক দল সূত্রে এমনটাই খবর।
যতদূর জানা যাচ্ছে, দলীয় কর্মসূচির জন্য সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস এবং সেক্ষেত্রে বারংবার আবেদন করা সত্ত্বেও দিল্লি পুলিশ অনুমোদন না-দেওয়ার বিষয়টিও আদালতের সামনে তোলা হতে পারে। যদি শেষ পর্যন্ত সুপ্রিমকোর্ট থেকেও অনুমতি না পাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে পূর্ব ঘোষিত পথেই কর্মসূচি হতে পারে দিল্লিতে এমনটাই খবর তৃণমূল সূত্রে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের শাসক দল আগেই ঘোষণা করে দিয়েছে দিল্লিতে তাদের কর্মসূচির জন্য শেষ পর্যন্ত যদি অনুমোদন না-পাওয়া যায়, তাহলে দলীয় মন্ত্রী-বিধায়ক-জেলা সভাপতি ও জেলা সভাধিপতিদের নিয়ে গান্ধি জয়ন্তীর দিন দিল্লিতে প্রার্থনা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত করবে তৃণমূল কংগ্রেস। এক্ষেত্রে তাদের নেতা-মন্ত্রীদের নিয়ে রাজঘাটে প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করবেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। পরের দিন তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতেরও কর্মসূচিও রয়েছে তাদের।
তৃণমূল সূত্র থেকে এমনও জানা যাচ্ছে, দুই এবং তিন অক্টোবর এই দুই দিন শুধু দিল্লি নয়, একইভাবে কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যে কর্মসূচি রয়েছে রাজ্যের শাসকদলের। এক্ষেত্রে রাজ্যস্তরের নেতারা কলকাতার গান্ধি মূর্তিতে ধরনা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। একইসঙ্গে প্রত্যেক ব্লকেও চলবে ধরণা। এক্ষেত্রে ব্লক স্তরে তৃণমূলের দিল্লির কর্মসূচি জায়ান্ট স্ক্রিনের মাধ্যমেও তুলে ধরা হবে বলে এমনটাও শোনা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে প্রতিটি ব্লকের বিডিও অফিসের সামনে দু’দিন ধরে প্রতিবাদ কর্মসূচির সম্প্রচার দেখানোর বন্দোবস্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা সভাপতিরা নির্দেশ পাওয়ার পরেই এই বিষয়ে জেলা কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
সেই বৈঠকে ব্লক সভাপতিদের এই কর্মসূচি আয়োজনের পদক্ষেপ করতেও বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রত্যেক বিডিও অফিসের সামনে যাতে ভালো জমায়েত হয় সে বিষয়েও নজর রাখতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "21 জুলাই-এর মঞ্চ থেকেই বাংলার মানুষের দাবি আদায়ের জন্য দিল্লি যাওয়ার কথা বলেছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষের দাবি তৃণমূল কংগ্রেস কতটা বদ্ধপরিকর সেটা সরাসরি মানুষের কাছে তুলে ধরতেই এই উদ্যোগ। ইতিমধ্যেই এর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। দিল্লি পুলিশ অনুমোদন না-দিলেও আদালতে যাওয়ার ভাবনা রয়েছে আমাদের।"
আরও পড়ুন: বাংলা নবজাগরণের পথিকৃৎ, শিল্পক্ষেত্রে গেমচেঞ্জার; আসুন এখানে বিনিয়োগ করুন: মমতা
একইসঙ্গে, তিনি আরও বলেন, "জেলায় জেলায় যাতে দিল্লির কর্মসূচি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় তার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আমরা অতীতেও সর্বদা মানুষের পাশে ছিলাম, আগামীদিনেও তৃণমূল মানুষের পাশে থাকবে।"