কলকাতা, 3 জানুয়ারি: দুর্গাপুজোর আগেই দিল্লি যাত্রা থেকে শুরু করে 100 দিনের কাজের টাকা গরিব মানুষকে না-দেওয়া নিয়ে আন্দোলন সপ্তমে তুলেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনের আগে যখন রাজ্যের শাসক দল এই ইস্যুকে সামনে রেখে বিজেপিকে কোণঠাসা করতে প্রস্তুত, ঠিক তখন রাজ্যে এসে উলটো সুর শোনালেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী । কালীঘাট মন্দিরে পূজা দিতে এসে তিনি বলেন, "তৃণমূল ধর্না দিতে চেয়েছিল, আমার সঙ্গে দেখা করতে চায়নি।" যার পালটা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বিঁধেছে তৃণমূলও ।
একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধিরা নথি নিয়ে যাননি, গিয়েছিলেন রাজনীতি করতে।" কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই বক্তব্যের পালটা জবাব দিতে দেরি করেনি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মহুয়া মৈত্র এই নিয়ে সরাসরি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে পালটা আক্রমণ করে বলেন, "একটা জিনিস দেখে অবাক হচ্ছি দিল্লিতে যে ঘটনা ঘটেছিল তা নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লাগাতার মিথ্যা কথা বলছেন। রাজ্য থেকে সাংসদ বিধায়ক মন্ত্রীদের একটা ডেলিগেশন দিল্লিতে তাঁর অ্য়াপয়েন্টমেন্ট নিয়েই গিয়েছিল। আমাদের প্রত্যেককেই প্রায় পাঁচ বার সিকিউরিটি চেকিংয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। প্রত্যেকের নাম লিস্টে উল্লেখ আছে। তিনি আমাদের সঙ্গে দেখা না করেই বেরিয়ে গিয়েছিলেন।"
একই সঙ্গে, মহুয়া আরও বলেন, "আমরা বারবার তাঁকে বার্তা দিয়েছি আমাদের সঙ্গে অন্তত একবার দেখা করুন। আমরা আমাদের সঙ্গে ভুক্তভোগীদের পরিবারকেও নিয়ে গিয়েছিলাম। তাদেরও সিকিউরিটি চেক হয়েছে। অর্থাৎ তারা যে গিয়েছিলেন তারও প্রমাণ রয়েছে। তিনি পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। এখন রাজ্যে এসে কার্যত নাটক করছেন তিনি।" এদিন মহুয়া মৈত্র জানান, বারবার রাজ্যে এসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজেপির প্রপাগান্ডা প্রচারের চেষ্টা করছেন। এই নিয়ে তীব্র নিন্দাও করেছেন মহুয়া ।
এদিন মহুয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন কুণাল ঘোষও। তিনি বলেন, "সামনে লোকসভা ভোট। তাই মানুষকে বিভ্রান্ত করতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কলকাতায় এসে মিথ্যাচার করছেন। তবে এসব করে কোনও লাভ হবে না। নাটক না করে গরিব মানুষের প্রাপ্য হকের টাকা দ্রুত মেটানোর ব্যবস্থা করুন।"
আরও পড়ুন