ETV Bharat / state

মূর্তির পিছনে CCTV ছিল, কেন ফুটেজ সামনে আনা হচ্ছে না ? : জয়প্রকাশ মজুমদার

জয়প্রকাশ বলেন, "বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনাই প্রমাণ করে দিচ্ছে তৃণমূল কতখানি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে । ওরা পরাজয়ের গন্ধ পেয়েছে তাই এতখানি নিচে নেমে এসেছে । নির্বাচনের আগে বিদ্যাসাগরের মতো মানুষকে জড়িয়ে যদি কিছু ফায়দা তোলা যায় সেই চেষ্টা করে মানুষের কাছে ফেরার চেষ্টা করছে ।"

জয়প্রকাশ মজুমদার
author img

By

Published : May 16, 2019, 11:18 PM IST

Updated : May 16, 2019, 11:32 PM IST

বর্ধমান, 16 মে : তৃণমূল কংগ্রেস আভাস পেয়েছে তাদের পরাজয় নিশ্চিত, সেকারণেই নির্বাচনের আগে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে নোংরা রাজনীতি শুরু করেছে, আজ একথা বলেন BJP নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার । আজ বর্ধমান লায়ন্স ক্লাবে BJP -র রাঢ়বঙ্গ জ়োনের বিশেষ বৈঠক ছিল । সেখানে একথা বলেন তিনি ।

তিনি বলেন, "বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনাই প্রমাণ করে দিচ্ছে তৃণমূল কতখানি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে । ওরা পরাজয়ের গন্ধ পেয়েছে তাই এতখানি নিচে নেমে গিয়েছে । নির্বাচনের আগে বিদ্যাসাগরের মতো মানুষকে জড়িয়ে যদি কিছু ফায়দা তোলা যায় সেই চেষ্টা করে মানুষের কাছে ফেরার চেষ্টা করছে । কিন্তু মানুষ যা বোঝার বুঝতে পেরেছে । তৃণমূল ও পুলিশ চক্রান্ত করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে । ওই কেন্দ্রে বিপুল ভোটে হারবে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ।" তিনি আরও বলেন, "তৃণমূল CCTV ফুটেজ দেখাতে পারবে না । কারণ মূর্তি ভাঙার পেছনে BJP-র কোনও হাত নেই ।"

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

তিনি প্রশ্নের সুরে বলেন, "কলেজ চত্বরে দুটি ঘর পেরিয়ে তার ভিতরে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ছিল । ভিতরে ঢুকে বিদ্যাসাগরের মূর্তি কে কারা বের করে আনল ? ক্যাম্পাসের দরজার তালা ভাঙা হয়নি। দরজাও অক্ষত ছিল। মূর্তির পিছনে CCTV ছিল । তবুও সেই ফুটেজ কেন সামনে আনা হচ্ছে না ? ওই দিন দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসের আশপাশে কালো পতাকা নিয়ে গুন্ডারা জড়ো হয়েছিল । পুলিশ কেন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ? পুলিশ স্টেটমেন্ট দিয়েছে, ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি শুরু হলে TMCP -র ছাত্রদের বিদ্যাসাগর কলেজের ভিতর ঢুকিয়ে দেওয়া হয় । এর থেকেই প্রমাণ হচ্ছে তৃণমূলের লোকেরাই কলেজের ভিতরে ছিল । তারাই একাজ করেছে ।"

বর্ধমান, 16 মে : তৃণমূল কংগ্রেস আভাস পেয়েছে তাদের পরাজয় নিশ্চিত, সেকারণেই নির্বাচনের আগে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে নোংরা রাজনীতি শুরু করেছে, আজ একথা বলেন BJP নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার । আজ বর্ধমান লায়ন্স ক্লাবে BJP -র রাঢ়বঙ্গ জ়োনের বিশেষ বৈঠক ছিল । সেখানে একথা বলেন তিনি ।

তিনি বলেন, "বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনাই প্রমাণ করে দিচ্ছে তৃণমূল কতখানি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে । ওরা পরাজয়ের গন্ধ পেয়েছে তাই এতখানি নিচে নেমে গিয়েছে । নির্বাচনের আগে বিদ্যাসাগরের মতো মানুষকে জড়িয়ে যদি কিছু ফায়দা তোলা যায় সেই চেষ্টা করে মানুষের কাছে ফেরার চেষ্টা করছে । কিন্তু মানুষ যা বোঝার বুঝতে পেরেছে । তৃণমূল ও পুলিশ চক্রান্ত করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে । ওই কেন্দ্রে বিপুল ভোটে হারবে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ।" তিনি আরও বলেন, "তৃণমূল CCTV ফুটেজ দেখাতে পারবে না । কারণ মূর্তি ভাঙার পেছনে BJP-র কোনও হাত নেই ।"

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

তিনি প্রশ্নের সুরে বলেন, "কলেজ চত্বরে দুটি ঘর পেরিয়ে তার ভিতরে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ছিল । ভিতরে ঢুকে বিদ্যাসাগরের মূর্তি কে কারা বের করে আনল ? ক্যাম্পাসের দরজার তালা ভাঙা হয়নি। দরজাও অক্ষত ছিল। মূর্তির পিছনে CCTV ছিল । তবুও সেই ফুটেজ কেন সামনে আনা হচ্ছে না ? ওই দিন দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসের আশপাশে কালো পতাকা নিয়ে গুন্ডারা জড়ো হয়েছিল । পুলিশ কেন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ? পুলিশ স্টেটমেন্ট দিয়েছে, ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি শুরু হলে TMCP -র ছাত্রদের বিদ্যাসাগর কলেজের ভিতর ঢুকিয়ে দেওয়া হয় । এর থেকেই প্রমাণ হচ্ছে তৃণমূলের লোকেরাই কলেজের ভিতরে ছিল । তারাই একাজ করেছে ।"

Intro:তৃণমূল পরাজয়ের গন্ধ পেয়েছে তাই মূর্তি ভেঙে রাজনীতি করছে ঃ জয়প্রকাশ মজুমদার

পুলক যশ, বর্ধমান

সপ্তম দফা ভোটের আগেই তৃণমূল কংগ্রেস আভাস পেয়ে গেছে তাদের পরাজয় নিশ্চিত, আর সেই কারণেই নির্বাচনের আগে তারা বিদ্যাসাগরের মতো নিশির মূর্তি ভেঙে নোংরা রাজনীতি শুরু করেছে। বর্ধমান লায়ন্স ক্লাবে ভারতীয় জনতা পার্টির রাঢ়বঙ্গ জোনের বিশেষ বৈঠকে যোগ দিতে এসে এ কথা বললেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার।
তিনি বলেন সপ্তম দফা ভোটের আগে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনা প্রমাণ করেছে তৃণমূল কতখানি মরিয়া এবং বেপরোয়া হয়ে গেছে। তাদের নাকে এতখানি পরাজয়ের গন্ধ এসেছে যে তারা এত নিচে নেমেছে। নির্বাচন এবং রাজনীতিতে বিদ্যাসাগরের মতো মানুষকে জড়িয়ে যদি কিছু ফায়দা তোলা যায় সেই চেষ্টা করে মানুষের ইমোশন কে জাগিয়ে তুলে মানুষের কাছে ফেরার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু মানুষ যা বোঝার বুঝতে পেরে গেছে। এটা প্রমাণ হয়ে গেছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং তার পুলিশ বাহিনী চক্রান্ত করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি দাবি করেন ওরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখাতে পারবে না ওরা প্রমাণ করতে পারবে না। এই ঘটনার জেরে তৃণমূল কংগ্রেসের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ওই কেন্দ্রে বিপুল ভোটে পরাজিত হবেন। তিনি জোর গলায় বলেন বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার পিছনে বিজেপির কোন হাত নেই কোন প্ররোচনা নেই এবং কোন অংশগ্রহণ নেই। বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে এসেছে যার জবাব রাজ্য সরকার তথা রাজ্য পুলিশ এখনো দিতে পারেনি। ওই যে ক্যাম্পাস যে ক্যাম্পাসের মধ্যে বিজেপির কোন লোক ঢোকেনি, তালা অক্ষুন্ন ছিল, দরজা অক্ষুন্ন ছিল কোন ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়নি যে ভিতরে লোক ঢুকেছে। বরং দেখা গেছে ভিতর থেকে ইট-পাথরে আসছে। বরং ভিতরে যারা ছিল তারাই বিজেপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা করেছে এটাও দেখা গেছে। প্রশ্ন উঠছে দুটি ঘর পেরিয়ে তার ভিতরে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ছিল ভিতরে ঢুকে বিদ্যাসাগরের মূর্তি কে কারা বের করে আনল। যেখানে মূর্তি ছিল তার পিছনে লেখা ছিল যে আপনি সিসিটিভি নজরদারিতে আছেন সেই সিসিটিভি ফুটেজ কেন এখনো পর্যন্ত রাজ্য সরকার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিংবা পুলিশ কেন প্রকাশ করতে পারছে না সেই ঘটনা যদি বিজেপি জড়িয়ে থাকে তাহলে তাহলে সেই ছবি সেই ভিডিও ফুটেজ কেন প্রকাশ করা হচ্ছে না সেই প্রশ্ন তোলেন জয়প্রকাশ মজুমদার।

তিনি আরো বলেন ওই মহা মিছিল ওই মহামিছিলের দিনে দুপুর থেকেই কলেজ ক্যাম্পাসের আশেপাশে অস্ত্রসহ গুন্ডারাজ কালো পতাকা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জড়ো হচ্ছিল। পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। বিদ্যাসাগর কলেজ এর আশেপাশে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হয়েছিল তখন কেন তাদেরকে কন্ট্রোলে নেওয়া হয়নি। পুলিশ কি করছিল? জয়প্রকাশ মজুমদার আরো বলেন, পুলিশ বলল যখন কলেজের ভিতর থেকে ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি শুরু হলো তখন তৃণমূল কংগ্রেসের যারা ছিল তাদেরকে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছাত্রদের আমরা বিশ্ববিদ্যালয় তথা বিদ্যাসাগর কলেজের ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়ে এটা পুলিশের অফিশিয়াল স্টেটমেন্ট।
এটা থেকেই প্রমাণ হচ্ছে কলেজের ভিতরে বিজেপি নয় তৃণমূলের যারা অভিযুক্ত তারা কলেজের ভিতরে ছিল।Body:তৃণমূল পরাজয়ের Conclusion:গন্ধ পেয়েছে তাই মূর্তি ভেঙে রাজনীতি করছে
Last Updated : May 16, 2019, 11:32 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.